শত শত মসজিদ বন্ধ করে দিচ্ছে চীন সরকার

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৫ , অনলাইন ভার্সন
চীনের উত্তরাঞ্চলীয় নিংজিয়া ও গানসু অঞ্চলে শত শত মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। জিনজিয়াংয়ের পর এই চীনা দুই অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি মুসলিম বাস করেন।  মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলছে, সংখ্যালঘুদের চীনাকরণ করার অংশ হিসেবে মসজিদগুলো বন্ধ করছে চীন সরকার। 
এইচআরডব্লিউর গবেষকরা জানিয়েছেন, চীন সরকার স্বায়ত্তশাসিত নিংজিয়া অঞ্চল এবং গানসু প্রদেশে মসজিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। 

চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) অনেক দিন ধরেই চীনের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর কঠোর চাপ বজায় রেখেছে। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ধর্মকে চীনাকরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। 

২০১৮ সালের এপ্রিলে চীন সরকার ইসলাম ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ এবং বিন্যাস কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে স্থাপনাগুলো বেশি ধ্বংস এবং কম নির্মাণের নীতি মেনে চলা শুরু করে।
 
স্যাটেলাইট ইমেজের ছবি পরীক্ষা করে এইচআরডব্লিউর গবেষকরা জানান, নিংজিয়ার দুটি গ্রামে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাতটি মসজিদের মিনার ও গম্বুজ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া চারটি মসজিদ অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদের তিনটি প্রধান ভবন ধ্বংস করা হয়েছে এবং একটির অজু করার স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব প্লাইমাউথের লেকচারার হান্নাহ থিয়েকার বলেন, অজু করার স্থান না থাকলে সাধারণত আপনি উপসনালয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এর মানে হলো উপাসনার স্থান কার্যতভাবে অপসারণ করা হচ্ছে।  

হান্না থিয়েকার ও ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টারের গবেষক ডেভিড স্ট্রপ জানান, নিংজিয়ায় প্রায় এক হাজার ৩০০ মসজিদ নিবন্ধিত ছিল। ২০২০ সাল থেকে এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বন্ধ হয়ে গেছে। 

নেপালের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়াতে চায় চীন নেপালের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়াতে চায় চীন। তবে এইচআরডব্লিউ ঠিক কত মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। তবে সরকারি প্রতিবেদন বলা হছে, এই সংখ্যা শত শত। নিংজিয়া প্রদেশের ঝোংওয়েই শহরের বাসিন্দা ১০ লাখের বেশি। ২০১৯ সালে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা ২১৪টি মসজিদের স্থান পরিবর্তন করেছে, ৩৭টি নিষিদ্ধ করেছে ও ৫৮টি একত্রিত করা হয়েছে।  

নিংজিয়ার এক ইমাম রেডিও ফ্রি এশিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আড়াই কিলোমিটারের মধ্যে দুটি মসজিদ থাকলে সেগুলো এক করে ফেলা হয়েছে। মসজিদগুলো বন্ধ হওয়ায় অনেক তরুণ ও মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিরা ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে না। এর ফলে পরবর্তী প্রজন্ম ধীরে ধীরে ইসলামের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে। আর এভাবে মুসলিমদের চীনাকরণ ঘটবে।  

চীনের এইচারডব্লিউর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মায়া ওয়াং বলেন, ইসলামের অনুশীলনকে রোধ করার মসজিদ বন্ধ, ধ্বংস চীন সরকারের একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রচেষ্টার অংশ।
চীন সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, 'অন্যান্য দেশের মতো চীনও আইন অনুযায়ী ধর্মীয় বিষয়গুলো পরিচালনা করে। আমরা ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রত্যাখ্যান এবং লড়াইয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।' 
 
অস্ট্রেলিয়ান থিংকট্যাংক দ্য অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট জানায়, ২০১৭ সাল থেকে জিনজিয়াংয়ের ১৬ হাজার মসজিদের ৬৫ শতাংশ ধ্বংস করা হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান 

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041