জরুরি পরিস্থিতিতে ড্রোনের ব্যবহার বিবেচনা করছে যুক্তরাজ্য

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৯ , অনলাইন ভার্সন
জরুরি অবস্থায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়ক যন্ত্র হিসেবে প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য।
২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের নরফোক কাউন্টিতে এই পরীক্ষা চালানো হবে। আর পরীক্ষাটি সফল হলে, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ভবনে এইসব ডিভাইস যুক্ত করা হবে। এছাড়া, কোনো ঘটনা সম্পর্কে তথ্য পেতে এগুলোকে প্রথমে অপরাধ স্থলে পাঠানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

‘ইগল এক্স’ নামের এ প্রাথমিক পরীক্ষাটি নরফোক কাউন্টিতে করার কারণ, সেখানে যুক্তরাজ্যের ‘ন্যাশনাল পুলিশ এয়ার সার্ভিস (এনপিএএস)’-এর বিভিন্ন হেলিকপ্টার প্রবেশের সুযোগ সীমিত।

আর পরবর্তী পরীক্ষা টেমস ভ্যালি এলাকার পুলিশ স্টেশন ও হ্যাম্পশায়ার কাউন্টিতে চালানোর কথা রয়েছে।
“উদ্ধারকাজে কতগুলো ফায়ার ইঞ্জিন ও অ্যাম্বুলেন্স লাগতে পারে, সে তথ্য জানাবে এটি,” বলেন যুক্তরাজ্যের ‘ন্যাশনাল পুলিশ চিফ কাউন্সিলের’ পরামর্শক নিল স্যাক্সটন।

“ঘটনাস্থলের ওপর অবস্থান করে এটি আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবেই জানিয়ে দেবে, বড় কোনো সড়ক দুর্ঘটনা আসলেই গুরুতর না কি কেউ অতি উৎসাহী হয়ে খবর পাঠিয়েছে।”
এই পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ডিয়েগো’তে একই ধরনের পরীক্ষা চালানো পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের পুলিশ বিভাগ।

‘ড্রোনস অ্যাজ ফার্স্ট রেস্পন্ডার্স (ডিএফআর)’ নামের এইসব ডিভাইস নিয়ে বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসেও পরীক্ষা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
স্যাক্সটনের মতে, “ডিএফআর এমন এক ধরনের ড্রোন, যা সাধারণত শহরের কোনো বিল্ডিংয়ের ছাদে খোলসবন্দী ও সুরক্ষিত অবস্থায় থাকে।”

“এটি ৯৯৯ কল পাওয়া কোনো কন্ট্রোল স্টেশন এমনকি দূরবর্তী কোনো জায়গা থেকেও চালানো যাবে, যা ঘটনাস্থলের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে ওই পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
আর কেবল কন্ট্রোল রুম বা স্টেশনই নয়, বরং ঘটনাস্থলে সবার আগে যাওয়া উদ্ধারকর্মীদের পর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে সহযোগিতাও করতে পারবে এটি।”
আশা করা হচ্ছে, ৯৯৯-এ কল করে জানানো অভিযোগের মাত্রা ও গুরুত্ব সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য পাওয়া যাবে এইসব ড্রোনের মাধ্যমে।

“জনসাধারণের ফোন কলের ভিত্তিতে কোনো ঘটনাস্থলের ওপর এমন ক্ষুদ্রাকৃতির এয়ারক্রাফট পাঠানোর সক্ষমতা নিয়ে এখনও কাজ চলছে।” --বলেন স্যাক্সটন।

বর্তমানে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস পুলিশ বিভাগের কাছে প্রায় চারশটি ড্রোন থাকলেও এগুলো চালাতে অপারেটরকে কাছাকাছি থাকতে হয়।
তবে, পুলিশ অপারেটরদের ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার লক্ষ্যে নীতিমালা সংশোধন করতে হবে। আর আগামী বছর দুর্গম এলাকার আকাশ পথে এগুলো পরীক্ষা করা হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
এছাড়া ‘ফেইশল রিকগনিশন’ প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়টিও পরিকল্পনায় রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গেল মে মাসে এ প্রযুক্তির ব্যবহার দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন বাহিনীর নীতিনির্ধারকরা।

পুলিশিং খাতের জন্য বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে বায়োমেট্রিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডিএনএ বিশ্লেষণের পদ্ধতিকে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাস্টডি শট বিষয়ক ডেটাবেজের সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে কোনো সন্দেহভাজনের ছবিকে তুলনা করা হয়।

যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘মেট্রোপলিটান পুলিশ’ এরইমধ্যে বলেছে, তারা এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে দোকানের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ থেকে কুখ্যাত চোরদের শনাক্ত করবে।
অন্যদিকে, ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তির অন্যতম শীর্ষ ব্যবহারকারী বাহিনী সাউথ ওয়েলস পুলিশ ও কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে এমন সফটওয়্যার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, বর্তমানে প্রায় ৫০ জন কর্মকর্তা নিজেদের ফোনে সন্দেহভাজনের সঙ্গে বাহিনীর মাগশট ডেটাবেজের তুলনা করার অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা পান।
পরীক্ষাটি সফল হলে গোটা ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে এ পদ্ধতি চালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041