১৬ ডিসেম্বর ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের রজতজয়ন্তী

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:৫৬ , অনলাইন ভার্সন
দ্য ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশের (ভাব) রজতজয়ন্ত্রী অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের গ্রাম-বাংলার দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের সেবায় সংগঠনটি ২৫ বছর ধরে কাজ  করছে। এই সংস্থার প্রধান কার্যালয় হলো নিউইয়র্কে, আর কান্ট্রি অফিস ঢাকায়। ঢাকা থেকে ভাবের কান্ট্রি অফিস দেশের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও সুবিধাবঞ্চিত উপজেলায় গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান করে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পরে গত ২৫ বছরে ভাব ১৫ হাজার ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তি দিয়েছে। ১৪ হাজারেরও বেশি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে গণিত ও ইংরেজিতে টিউটোরিং সহায়তা জুগিয়েছে। প্রায় নয় হাজার এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করেছে। প্রায় ৭ হাজার ২০০ কিশোর-কিশোরীকে ইংরেজি ও অঙ্কে সাহায্য করেছে। ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও কম্পিউটারে ১ হাজার ২০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সর্বমোট প্রায় ১০০ গ্রামীণ স্কুলে কম্পিউটার, বিজ্ঞান ল্যাবের সরঞ্জাম, লাইব্রেরি বই, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, প্রিন্টার এবং ক্রীড়াসামগ্রী দিয়েছে ভাব।
ভাব ডিরেক্টর ও কোষাধ্যক্ষ (২০২০-২৩ টার্ম) মতিলাল পাল জানান, ভাবের অর্থায়নের মূল উৎস হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাতারা, বেশির ভাগই প্রবাসী বাংলাদেশি এবং কিছু অ-বাংলাদেশি। তারা বছরে প্রায় এক লাখ ডলার দান করেন। বাংলাদেশেও কিছু স্থানীয় দাতা আছেন। আর রয়েছে কয়েকটি করপোরেট দাতা। তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো : শেভরন বাংলাদেশ, আমেরিকান অ্যান্ড ইফার্ড (বিডি), ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক বিষয়ে ভাব সর্বোচ্চ মানের স্বচ্ছতা রক্ষার প্রয়াস করে। প্রতিবছর ‘ভাব’কে আর্থিক ও পরিচালনার বিষয়ে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। ব্যবস্থাপনা ও পর্যবেক্ষণ-সংক্রান্ত বিষয়ে আমেরিকায় আইআরএস ও নিউইয়র্ক রাজ্যের চ্যারিটিজ ব্যুরোতে ব্যুরো অব চ্যারিটিস, আর বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধীনে এনজিও ব্যুরোতে।
ভাবের নাম অনুসারে সংস্থাটির পরিচালক এবং কর্মকর্তারা স্বেচ্ছাসেবক। পরিচালনা পর্ষদ, বোর্ড অব ডাইরেক্টরস সংস্থার জন্য বিস্তৃত নীতি এবং পরিকল্পনা তৈরি করে এবং সামগ্রিক তদারকি প্রদান করে। ব্যবস্থাপনা কমিটি (ম্যানেজমেন্ট কমিটিÑএমসি) প্রধান কার্যালয় এবং কান্ট্রি অফিস উভয়েরই তত্ত্বাবধান করে, যদিও কান্ট্রি অফিসের তত্ত্বাবধানে কান্ট্রি অফিসের যথেষ্ট পরিমাণে স্বায়ত্তশাসন রয়েছে।
ভাবের কর্মকাণ্ডের প্রথম ২৫ বছর পূর্ণ হবে ১৬ ডিসেম্বর। ভাব এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামী ২৫ বছর ও তার পরবর্তী ভবিষ্যতের জন্যÑমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সদর দপ্তর এবং বাংলাদেশের কান্ট্রি অফিস উভয় স্থানেই। যেহেতু ২০২৪-এর পয়লা জানুয়ারি থেকে ভাবের পরিচালক ও কর্মকর্তাদের নতুন মেয়াদ শুরু হবে চার বছরের জন্য, তাই ভাব সাতটি পদের জন্য নির্বাচন পরিচালনা করেছে। এই সাতটি পদের মধ্যে রয়েছে ভাব পরিচালনা পর্ষদে দুটি এবং ভাব ব্যবস্থাপনা কমিটিতে (এমসি) পাঁচটি।
গত ৫ নভেম্বর নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় অনুষ্ঠিত ভাব পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক সভায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ সদস্য পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন। এর মধ্যে থাকবেন ড. এহসানুর রহমান চেয়ারম্যান, ড. ফজলুর রহমান চৌধুরী ভাইস চেয়ারম্যান, খুরশিদ আনোয়ার, ড. মাকসুদ চৌধুরী, পিটার ভন ক্রিস্টিয়ারসন, মিসেস তানভীর (রুমি) কে হক, ড. দেলোয়ার হুসেন, এস সামিউল ইসলাম, আনম মোস্তফা খন্দকার, মতিলাল পাল, ড. এটি রফিকুর রহমান, মিজানুর এম রহমান, মিসেস নাশরা রহমান, আব্দুস সিকদার এবং শহীদ উল্লাহ। ৫ সদস্যের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হবে। এর দায়িত্বে থাকবেন ড. এটি রফিকুর রহমান সভাপতি, ড. মাকসুদ চৌধুরী প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট, মিজানুর এম রহমান সহসভাপতি, মতিলাল পাল সাধারণ সম্পাদক এবং আনম মোস্তফা খন্দকার কোষাধ্যক্ষ। ড. রহমান ভাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর সভাপতি হিসেবে রয়েছেন।
পরিচালনা পর্ষদের সভায় আগামী কয়েক বছরের জন্য ভাবের কর্মকাণ্ডের মধ্যে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে প্রধান হলো ভাবের দুটি নতুন প্রণয়নকৃত প্রোগ্রাম। একটি হলো গ্রামীণ স্কুলে একাডেমিকভাবে স্বল্প দক্ষ কিন্তু অভাবী শিক্ষার্থীদের দক্ষতা প্রশিক্ষণে ডিপ্লোমা অর্জন করার জন্য এবং তারপর কর্মজীবন শুরু করার জন্য বৃত্তি/উপবৃত্তি প্রদান করা। ভাবের অন্য বৃত্তি/উপবৃত্তি প্রোগ্রামটিতে গ্রামীণ স্কুলে কৃতী কিন্তু অভাবী শিক্ষার্থীদের তৃতীয় স্তর পর্যন্ত উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করার জন্য এবং কর্মজীবন শুরু করার জন্য সাহায্য প্রদান করা হবে। এই দুটি উপবৃত্তি কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হবে শিক্ষার্থী এবং তার পরিবারের জন্য উপযুক্ত আয়-উপার্জনের ওপর। আর জোর দেওয়া হবে গ্রামীণ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এবং তাদের পরিবারকে দারিদ্র্য থেকে তুলে আনার ক্ষেত্রে স্পনসর এবং দাতাদের অবদানের জবাবদিহির ওপর।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078