চাঁদের মাটিতে চাষাবাদে সহায়ক হবে ব্যাকটেরিয়া?

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৪ , অনলাইন ভার্সন
চাঁদের মাটির উর্বরতা বাড়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে ব্যাকটেরিয়া; এ প্রক্রিয়ায় মানুষের সেখানে বসবাসের সুযোগও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন এক যুগান্তকারী গবেষণায় তিনটি পৃথক ব্যাকটেরিয়াকে একত্রিত করে সেগুলোকে চাঁদের মাটির ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে, যেখানে ব্যাকটেরিয়াগুলোর মাধ্যমে চাঁদে গাছ উৎপাদন সম্ভব কি না, তা যাচাই করা হয়।

চীনা এক গবেষক দলের এ পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, চাঁদ থেকে সংগ্রহ করা উপাদানের উর্বরতা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। সেসব উপাদানের সঙ্গে ওই তিন ব্যাকটেরিয়া যোগ করে ‘বেন্থ’ নামের এক প্রজাতির তামাক গাছ উৎপাদন করেছেন গবেষকরা।

ব্যাকটেরিয়াগুলো কাজ করে মাটিতে ফসফরাসের পরিমাণ বাড়ানোর মাধ্যমে। এটি গাছের জন্য বড় পুষ্টিগুণ হিসেবে কাজ করে। এর মানে, গাছগুলো আরও সহজে ও বিস্তৃত পরিসরে জন্মাতে পারবে।
এর আগের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের মাটিতে শাক উৎপাদন সম্ভব হলেও অন্যান্য গাছ উৎপাদন করা জটিল। সেসব গবেষণায় আরও দেখা যায়, চাঁদের মাটির গুণগত মান ভূপৃষ্ঠে থাকা আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের চেয়েও বাজে।

এছাড়া চাঁদের মাটিতে নাইট্রোজেনও কম, যা গাছ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে থাকা ফসফরাসও গাছের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানুষ চাঁদে বাস করতে চাইলে বিজ্ঞানীদেরকে গাছ উৎপাদনের নতুন উপায় খুঁজে দেখতে হবে। এজন্য প্রয়োজন চাঁদের মাটির গুণগত মান উন্নত করা। গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, এ ব্যাকটেরিয়াত্রয়ীর ব্যবহার ওই যুগান্তকারী লক্ষ্যমাত্রার জন্য বড় পদক্ষেপ হতে পারে। শুক্রবার প্রকাশিত এ বিষয়ক গবেষণাপত্রে গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, ভবিষ্যতে চাঁদের ঘাটিতে জীবন ধারণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে এ পদ্ধতি।

গবেষণাটির বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে ‘ফসফরাস-সলুব্লাইজিং ব্যাকটেরিয়া

ইমপ্রুভ দ্য গ্রোথ অব নিকোটানিয়া বেন্থামাইনা অন লুনার রিগলিথ সিম্যুল্যান্ট বাই ডিসোসিয়েটিং ইনসলিউবল ইনঅর্গানিক ফসফরাস’ শীর্ষক নতুন গবেষণাপত্রে। এটি প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘কমিউনিকেশন্স বায়োলজি’তে।

এ গবেষণা চালিয়েছেন চীনের সাবেক কৃষিমন্ত্রী ঝেনচাই সান ও বেইজিংয়ে অবস্থিত ‘চায়না অ্যাগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি’র গবেষকরা।

গবেষণায় চাঁদের মাটিতে বেন্থ গাছের বীজ রোপন করার পর এতে যোগ করা হয় ‘বি. মুসিলাজিনোসাস’, ‘বি. মেগাটেরিয়াম’ ও ‘পি. ফ্লুরোসেন্ট’ নামের তিনটি ভিন্ন ব্যাকটেরিয়া। এর মাধ্যমে গাছ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় গজাতে থাকে।

গবেষকরা খুঁজে পান, মৃত ব্যাকটেরিয়া যুক্ত মাটির তুলনায় ব্যাকটেরিয়া যুক্ত মাটিতে উৎপাদিত গাছগুলোর মধ্যে ক্লোরোফিলের মাত্রা ১০৪ শতাংশ বেশি। এই বিশেষ উদ্দীপকের সহায়তায় জন্মানো গাছগুলোতে ছয় দিনের মধ্যেই লম্বা কাণ্ড ও শেকড় দেখা গেছে।

২৪ দিন পর ওই শ্রেণির বিভিন্ন গাছের পাতা ভারী হওয়ার পাশাপাশি সেগুলো আরও বিস্তৃত পরিসরে গজাতে দেখা যায়। গবেষকদের মতে, ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধান খাতের জন্য বড় সম্ভাবনা দেখাচ্ছে এসব উপাদান।

তবে তারা বলছেন, এমন উপাদান ব্যবহারের সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিজ্ঞানীদের মতে, অপরিচিত মাটিতে এমন ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার ‘নভোচারীদের হুমকির কারণ’ হয়ে উঠতে পারে।

ঠিকানা/এসআর


 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041