ক্ষমতা ছেড়ে হার্ভার্ডের পথে নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা

প্রকাশ : ২৬-০৪-২০২৩ ০১:৫৪:০৭ পিএম , অনলাইন ভার্সন
এ বছরের প্রথমেই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জাসিন্ডা আরডার্ন। এখন জানা গেলো, রাজনীতি ফেলে তিনি মূলত বিদেশে নিরিবিলি শিক্ষকতার জীবন বেছে নিতে যাচ্ছেন। সিএনএনের খবরে জানানো হয়, জাসিন্ডা এখন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘স্কুল অব পাবলিক পলিসি এন্ড গভার্নমেন্ট’-এ ডুয়াল ফেলোশিপে নিযুক্ত হয়েছেন জাসিন্ডা। 

সেখানে ‘অ্যাঞ্জেলোপোলোস গ্লোবাল পাবলিক লিডারস ফেলো’ প্রোগ্রামে কাজ করবেন তিনি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলি বৃদ্ধি করা। কেনেডি স্কুলের ডিন ডগলাস এলমেনডর্ফ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, জাসিন্ডা আরডার্ন বিশ্বকে শক্তিশালী এবং সহানুভূতিশীল রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। তিনি তার দেশের বাইরেও বিশ্বজুড়ে সম্মান অর্জন করেছেন। তিনি আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টির জন্ম দিতে পারবেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে জাসিন্ডা বলেন, আমি একজন সহকর্মী হিসাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করতে পেরে কৃতজ্ঞতা অনুভব করছি। এটি কেবল আমাকে অন্যদের সাথে আমার অভিজ্ঞতা ভাগ করার সুযোগই দেবে না, এটি আমাকে শেখারও সুযোগ দেবে।

একই সময়ে জাসিন্ডা হার্ভার্ড ল স্কুলের ‘বার্কম্যান ক্লেইন সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটি’তে একটি পৃথক ফেলোশিপ সম্পন্ন করবেন, যেখানে তিনি অনলাইনে চরমপন্থী বিষয়বস্তু মোকাবিলার উপায় অধ্যয়ন করবেন।

বুধবার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জাসিন্ডা বলেন যে, তিনি এখন কথা বলবেন, শিক্ষকতা করবেন এবং শিখবেন। তিনি যোগ করেছেন যে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে চরমপন্থী হামলার সময় হার্ভার্ড এগিয়ে এসেছিল। ২০১৯ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ওই হামলায় ৫১ জন নিহত হয়েছিলেন। হামলার দুই মাসের মাথায় ‘ক্রাইস্টচার্চ কল’ নামে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন জাসিন্ডা। এর উদ্দেশ্য ছিল, অনলাইনে সন্ত্রাসবাদী এবং সহিংস চরমপন্থী কন্টেন্টগুলোর মোকাবিলা করা। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলাকারী ঘটনাটি লাইভ স্ট্রিম করেছিল এবং আগেই অনলাইনে একটি ইশতেহার প্রকাশ করেছিল।

তিনি আরও জানান, হার্ভার্ডে থাকলেও মাঝে একটি সেমিস্টার তিনি নিউজিল্যান্ডে যাবেন। সেসময় সেখানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ফেলোশিপের শেষে তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন। তিনি বলেন, দিন শেষে নিউজিল্যান্ডই আমার বাড়ি। 

২০১৭ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন জাসিন্ডা। তিনি ছিলেন দেশটির ইতিহাসের তৃতীয় নারী প্রধান এবং বিশ্বের অন্যতম তরুণ শাসক। এছাড়া ক্ষমতায় থাকার সময় সন্তান জন্ম দেয়া দ্বিতীয় শাসকও হন তিনি। তাকে তার শাসনামলে বেশ কিছু বড় সংকটের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এরমধ্যে আছে ক্রাইস্টচার্চ হামলা, ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও বৈশ্বিক মহামারি।

তবে দ্রুতই তিনি বিশ্বজুড়ে প্রগতিশীলদের আইকন হয়ে উঠেছিলেন। ক্রাইস্টচার্চে হামলার সময় তার সহানুভূতিশীল অবস্থান বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। তিনি কঠোরভাবে নিউজিল্যান্ডের বন্দুক আইন সংস্কার করেছিলেন। আবার নিজের সন্তান কোলে নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অংশ নিয়েও আলোচিত হয়েছিলেন তিনি।  যদিও তার আমলে নিউজিল্যান্ডে অর্থনৈতিক সংকট জোরদার হয়েছিল। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, আবাসন সংকট এবং অর্থনৈতিক উদ্বেগ সর্বোচ্চ ছিল সেসময়। তার বিরুদ্ধে একাধিক সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিল রাজধানী ওয়েলিংটনে। গত জানুয়ারি মাসে আকস্মিকভাবে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাসিন্ডা। তিনি জানান, আগামী নির্বাচনে লড়ার জন্য যথেষ্ট জ্বালানি নেই তার মধ্যে। এ মাসের প্রথমে পার্লামেন্টে একটি আবেগঘন বক্তৃতার মধ্য দিয়ে রাজনীতিকে বিদায় জানান তিনি।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041