
শুধু বাংলাদেশ বললে ভুল হবে, যুদ্ধাপরাধসহ বিশ্বে যত প্রকার অপরাধকর্ম আছে, তার মধ্যে অন্যতম বর্বরতম অপরাধকর্ম বলে ইতিহাসে গণ্য ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশে জেল হত্যাকাণ্ড। একই বছরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে তাঁর পরিবারের প্রায় সব সদস্যকে হত্যা করা হয়। বিদেশে অবস্থান করায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাÑজ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। নিজ পরিবারের বাইরে তাঁর রক্তের স্বজনসহ মোট ১৯ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করেন। এই শোক বাঙালি জাতি আজও বুকে গভীর ক্ষত নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছে। ১৯৭৫-এর সেই অভিশপ্ত ৩ নভেম্বর আর দুদিন বাদেই।
বাঙালি জাতি বিশ্বের যে প্রান্তেই অবস্থান করুক, সে দেশে হোক বা বিদেশে, তারা গভীর শ্রদ্ধায় ও বেদনায় স্মরণ করবে চার জাতীয় বীর নেতা, স্বাধীন বাংলা সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার দুই প্রভাবশালী সদস্য ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যারা হত্যা করেছিল, ওই একই দুর্বৃত্ত দল, যারা স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্বাস করত না এবং মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় থেকেই জানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত ছিল, তারাই চার জাতীয় নেতাকে জেলের ভেতরে ঢুকে বিশ্বের সব মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, জেল কোডের তোয়াক্কা না করে, হত্যা করে।
বাহ্য দৃষ্টিতে তারা ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিপথগামী সদস্য। কিন্তু প্রকৃত পরিচয়ে তারা ছিল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পাকিস্তানি চেতনা এবং বোধে বিশ্বাসী চর। যাদের পেছনে ছিল পরাজিত পাকিস্তানি আদর্শের বিদেশি শক্তির মদদ। বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাঙালি জাতির ওপর যে প্রভাব, যাঁর অঙ্গুলিহেলনে বাঙালি জাতি ডানে-বামে, অগ্রে-পশ্চাতে চলতে শুরু করে, ঘাতকেরা ভেবে নিয়েছিল সেই নেতাকে হত্যা করতে পারলেই বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সব শেষ! কিন্তু তাদের সেই ভাবনায় ঘুণ ধরে, যখন তারা দেখতে পেল আওয়ামী লীগের অনেকেই যখন সারি ধরে ঘাতকদের সঙ্গে যোগ দিতে শুরু করলেও সেই চার নেতা কোনোভাবেই মাথানত করছেন না। বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানের কারাগারে, তখন এই চার নেতাই বঙ্গবন্ধুর নামে মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। অবিশ্বাস্যভাবে তারা বাংলাদেশ স্বাধীন করে জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজ সঠিকভাবে সমাপ্ত করতে সক্ষম হন। এই ভাবনা থেকেই ঘাতকরা জাতীয় চার নেতাকে জীবিত রাখাটা তাদের জন্য নিরাপদ নয় মোটেও। এই ধারণা ও বিশ্বাস থেকেই ঘাতকেরা আন্তর্জাতিক সব নিয়মনীতি ভঙ্গ করে তৎকালীন ঘাতক সরকারের শীর্ষ অবস্থানের অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘাতকেরা সম্পন্ন করে।
সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও সম্পন্ন হয়নি। এখনো ঘাতককুলের অনেকে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের বিচার চায়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ লক্ষ করছে, জাতীয় চার নেতা যে স্বীকৃতি ও সম্মান নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে উজ্জ্বল করার কথা, তাদেরকে জাতীয়ভাবে সম্মানের সেই আসন দেওয়া হচ্ছে না। ইতিহাস বলেÑজাতীয় বীরদের সম্মান ও স্বীকৃতি না দিলে সেই জাতিতে বীরের জন্ম হয় না।
জাতীয় চার নেতার মৃত্যু দিবসে রইল আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে সমগ্র জাতি। দেশপ্রেমিক জনতার জেগে ওঠার মধ্য দিয়েই ঘাতকদের দর্প পরিপূর্ণভাবে চূর্ণ হতে পারে।
বাঙালি জাতি বিশ্বের যে প্রান্তেই অবস্থান করুক, সে দেশে হোক বা বিদেশে, তারা গভীর শ্রদ্ধায় ও বেদনায় স্মরণ করবে চার জাতীয় বীর নেতা, স্বাধীন বাংলা সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার দুই প্রভাবশালী সদস্য ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যারা হত্যা করেছিল, ওই একই দুর্বৃত্ত দল, যারা স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্বাস করত না এবং মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় থেকেই জানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত ছিল, তারাই চার জাতীয় নেতাকে জেলের ভেতরে ঢুকে বিশ্বের সব মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, জেল কোডের তোয়াক্কা না করে, হত্যা করে।
বাহ্য দৃষ্টিতে তারা ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিপথগামী সদস্য। কিন্তু প্রকৃত পরিচয়ে তারা ছিল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পাকিস্তানি চেতনা এবং বোধে বিশ্বাসী চর। যাদের পেছনে ছিল পরাজিত পাকিস্তানি আদর্শের বিদেশি শক্তির মদদ। বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাঙালি জাতির ওপর যে প্রভাব, যাঁর অঙ্গুলিহেলনে বাঙালি জাতি ডানে-বামে, অগ্রে-পশ্চাতে চলতে শুরু করে, ঘাতকেরা ভেবে নিয়েছিল সেই নেতাকে হত্যা করতে পারলেই বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সব শেষ! কিন্তু তাদের সেই ভাবনায় ঘুণ ধরে, যখন তারা দেখতে পেল আওয়ামী লীগের অনেকেই যখন সারি ধরে ঘাতকদের সঙ্গে যোগ দিতে শুরু করলেও সেই চার নেতা কোনোভাবেই মাথানত করছেন না। বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানের কারাগারে, তখন এই চার নেতাই বঙ্গবন্ধুর নামে মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। অবিশ্বাস্যভাবে তারা বাংলাদেশ স্বাধীন করে জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজ সঠিকভাবে সমাপ্ত করতে সক্ষম হন। এই ভাবনা থেকেই ঘাতকরা জাতীয় চার নেতাকে জীবিত রাখাটা তাদের জন্য নিরাপদ নয় মোটেও। এই ধারণা ও বিশ্বাস থেকেই ঘাতকেরা আন্তর্জাতিক সব নিয়মনীতি ভঙ্গ করে তৎকালীন ঘাতক সরকারের শীর্ষ অবস্থানের অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘাতকেরা সম্পন্ন করে।
সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও সম্পন্ন হয়নি। এখনো ঘাতককুলের অনেকে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের বিচার চায়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ লক্ষ করছে, জাতীয় চার নেতা যে স্বীকৃতি ও সম্মান নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে উজ্জ্বল করার কথা, তাদেরকে জাতীয়ভাবে সম্মানের সেই আসন দেওয়া হচ্ছে না। ইতিহাস বলেÑজাতীয় বীরদের সম্মান ও স্বীকৃতি না দিলে সেই জাতিতে বীরের জন্ম হয় না।
জাতীয় চার নেতার মৃত্যু দিবসে রইল আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে সমগ্র জাতি। দেশপ্রেমিক জনতার জেগে ওঠার মধ্য দিয়েই ঘাতকদের দর্প পরিপূর্ণভাবে চূর্ণ হতে পারে।