নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার কোনোই সম্ভাবনা নেই। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে সে সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপের কথা ভাবছে না। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান সাপ্তাহিক ঠিকানাকে বলেছেন, এখন সংলাপের কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি যেখানে আমাদের পদত্যাগ চায়, তারা আমাদের মান্য করে না, সেখানে সংলাপের সুযোগ কোথায়?
মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, সংলাপ হতে হবে শর্তহীন। শর্ত দিয়ে কোনো সংলাপ হতে পারে না। বিএনপি প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলোপ করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পূরণ সাপেক্ষে সংলাপের কথা বলেছে। শর্ত সাপেক্ষে সংলাপ হয় না।
অপরদিকে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান এ প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নেই। তফসিল ঘোষণার আর দুই সপ্তাহ বাকি আছে। আমরা তাদের দু’দফা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন আর সময়, সুযোগও নেই।
কবে নাগাদ তফসিল ঘোষণা হতে পারে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে বলেন, জানুয়ারির ৪ কি ৫ তারিখে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ কিংবা জানুয়ারির ৪ তারিখ ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তারিখ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
কতগুলো দেশ ও সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, কোনো দেশ ও প্রতিষ্ঠান এখনো আবেদন করেনি। অনলাইনে তারা আবেদন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর তারা তা করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা আবেদন করতে পারবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও পর্যবেক্ষক পাঠাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষক পাঠানোর ব্যাপারে সবাইকে উৎসাহিত করছে।
নির্বাচনের পরিবেশ, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টির জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেÑপ্রশ্ন করা হলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অপরিহার্য পূর্বশর্ত হচ্ছে সব দল ও প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। কমিশন তা করতে বদ্ধপরিকর। সরকারি-বেসরকারি বেতার, টেলিভিশনে সব দলের প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খলভাবে মিটিং-মিছিল, প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমূহ যদি চায় নির্বাচন কমিশন প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একমঞ্চে সব প্রার্থীর সভা-সমাবেশের আয়োজন করবে। যেখানে কোনো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কটাক্ষ, আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখতে পারবেন না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, কোনো প্রার্থী ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চাইলে কমিশন সে ব্যবস্থা করবে। তা ছাড়া আলাদা করে কোনো প্রার্থীর জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকবে না। কেউ কোনোভাবে হুমকি দিলে, প্রচার-প্রচারণা, সভা-সমাবেশ, মিছিলে বাধা দিলে স্থানীয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কোনো ভোটারকে ভোটদানে বাধা দিলে, হুমকি ও অবৈধভাবে প্রভাবিত করলে, কোনো নাগরিকের ওপর আক্রমণ হলে, কোনো অঘটন ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তেমন কিছু যাতে কেউ করতে না পারে, সে জন্য আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনের আগে থেকেই মাঠে থাকবে। কেউ ভয়ভীতি দেখালে, নির্বাচনী প্রচারণা, ভোটদানে বাধা প্রদান, নির্বাচনী বিধিনিষেধ লঙ্ঘন, হুমকি প্রদর্শন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ নজরদারি থাকবে। আগে থেকেই সেসব এলাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়মিত টহল দেবে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান করবে। অতীতে বিএনপি-জামায়াত সারা দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর, তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে অবর্ণনীয় ক্ষতিসাধন করেছিল। সেই অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে সরকার ও নির্বাচন কমিশন বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশকে নির্বাচন কমিশন থেকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, সংলাপ হতে হবে শর্তহীন। শর্ত দিয়ে কোনো সংলাপ হতে পারে না। বিএনপি প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলোপ করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পূরণ সাপেক্ষে সংলাপের কথা বলেছে। শর্ত সাপেক্ষে সংলাপ হয় না।
অপরদিকে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান এ প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নেই। তফসিল ঘোষণার আর দুই সপ্তাহ বাকি আছে। আমরা তাদের দু’দফা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন আর সময়, সুযোগও নেই।
কবে নাগাদ তফসিল ঘোষণা হতে পারে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে বলেন, জানুয়ারির ৪ কি ৫ তারিখে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ কিংবা জানুয়ারির ৪ তারিখ ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তারিখ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
কতগুলো দেশ ও সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, কোনো দেশ ও প্রতিষ্ঠান এখনো আবেদন করেনি। অনলাইনে তারা আবেদন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর তারা তা করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা আবেদন করতে পারবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও পর্যবেক্ষক পাঠাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষক পাঠানোর ব্যাপারে সবাইকে উৎসাহিত করছে।
নির্বাচনের পরিবেশ, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টির জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেÑপ্রশ্ন করা হলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অপরিহার্য পূর্বশর্ত হচ্ছে সব দল ও প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। কমিশন তা করতে বদ্ধপরিকর। সরকারি-বেসরকারি বেতার, টেলিভিশনে সব দলের প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খলভাবে মিটিং-মিছিল, প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমূহ যদি চায় নির্বাচন কমিশন প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একমঞ্চে সব প্রার্থীর সভা-সমাবেশের আয়োজন করবে। যেখানে কোনো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কটাক্ষ, আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখতে পারবেন না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, কোনো প্রার্থী ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চাইলে কমিশন সে ব্যবস্থা করবে। তা ছাড়া আলাদা করে কোনো প্রার্থীর জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকবে না। কেউ কোনোভাবে হুমকি দিলে, প্রচার-প্রচারণা, সভা-সমাবেশ, মিছিলে বাধা দিলে স্থানীয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কোনো ভোটারকে ভোটদানে বাধা দিলে, হুমকি ও অবৈধভাবে প্রভাবিত করলে, কোনো নাগরিকের ওপর আক্রমণ হলে, কোনো অঘটন ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তেমন কিছু যাতে কেউ করতে না পারে, সে জন্য আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনের আগে থেকেই মাঠে থাকবে। কেউ ভয়ভীতি দেখালে, নির্বাচনী প্রচারণা, ভোটদানে বাধা প্রদান, নির্বাচনী বিধিনিষেধ লঙ্ঘন, হুমকি প্রদর্শন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ নজরদারি থাকবে। আগে থেকেই সেসব এলাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়মিত টহল দেবে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান করবে। অতীতে বিএনপি-জামায়াত সারা দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর, তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে অবর্ণনীয় ক্ষতিসাধন করেছিল। সেই অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে সরকার ও নির্বাচন কমিশন বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশকে নির্বাচন কমিশন থেকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।