ইংলিশদের পর এবার পাকিস্তান-বধ আফগানদের

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ২২:৫২ , অনলাইন ভার্সন
শাদাব খানের স্পিনে লং অন দিয়ে চার মেরে দলীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করেন নিজের ফিফটি। তারও আগে ইব্রাহিম জাদরান ৫০ রান ছুঁয়ে ফেলেছিলেন। বিনা উইকেটে উদ্বোধনীতে শতরানের জুটিতে আশা দেখাচ্ছিল আরও একটা আফগান রূপকথার। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে শাহিন আফ্রিদির ডেলিভারিতে হাসমতউল্লাহ শহিদি যখন ৪ মারলেন, তখনই নিশ্চিত হয় ৮ উইকেটের জয়। তাতে ইতিহাস গড়া এক জয় পায় আফগানরা। এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনোই পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি তারা। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে এসে তারা বাবর আজমদের হারিয়ে প্রথমবার পাক-বধের স্বাদ পেয়েছে।

ইংলিশদের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টাই আফগানদের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার বিজয়। যে জয়ের পথে তারা পেয়েছে তিন ফিফটির দেখা।

২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আফগানরা শুরুটা করেছে দুর্দান্ত। পাক বোলারদের তুলাধোনা করতে থাকেন গুরবাজ আর জাদরান। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৬০ রান তুলে নেন তারা। পরের ১০ ওভারে আরও ৬৮। তাদের ধুন্ধুমার ব্যাটে শাহিন আফ্রিদি-হাসান আলিরা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন। পাক অধিনায়ক বাবর আজমের মুখ যেন শুকিয়ে গিয়েছিল। তবে জুটিকে ১৩০ রানের বেশি হতে দেননি আফ্রিদি।

ইনিংসের ২২তম ওভারের প্রথম বলেই গুরবাজকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন আফ্রিদি। তার শর্ট বলে ডিপ থার্ডে উসামা মিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান গুরবাজ। ফেরার আগে ৫৩ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬৫ রান করেন এই ওপেনার। তিনি ফিরে গেলেও উইকেট আঁকড়ে ধরেছিলেন ইবরাহিম জাদরান। দেখেশুনে সতর্কভাবে মোকাবিলা করছিলেন পাক বোলারদের। এগোচ্ছিলেন তিন অঙ্কের রানের দিকে। তাতে বিশ্বকাপের প্রথম আফগান সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে নাম লেখাতে পারতেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খুব কাছে গিয়েও পারেননি সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। ৯৬ রান করে সেদিন আউট হয়ে গিয়েছিলেন। জাদরানের সেটা টপকানোর সুযোগ ছিল।

কিন্তু হাসান আলি সেটা আর হতে দিলেন না। তার অফ লেংথের এক্সট্রা বাউন্সারে টোকা দিতে গিয়েছিলেন জাদরান। সেটা এজ হয়ে ধরা দেয় মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। থামার আগে ১১৩ বলে ১০টি চারে সাজান তার ৮৭ রানের ইনিংসটি।

গুরবাজ আউট হওয়ার পর রানের চাকার গতি একটু কমেছিল। ২০ থেকে ৩০ ওভারের মধ্যে ৪৭ রান আসে ১ উইকেট হারিয়ে। পরের ১০ ওভারে আসে ৪৬ রান। কিন্তু রানরেটে তা কোনো প্রভাব ফেলেনি। কারণ রহমত শাহ আর হাসমতউল্লাহ শহিদি মিলে বাকি কাজটা সেরে নেন। রহমত ৭৭ ও অধিনায়ক হাসমত ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে দুই ফিফটি আর শেষ বেলায় ইফতিখার আহমেদের ঝড়ে ভর করে ২৮২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। ইমাম-উল-হক ও আব্দুল্লাহ শফিক উদ্বোধনী জুটি গড়েন ৫৬ রানের। পাওয়ার প্লেতেই আসে সেই রান। সেটা ভাঙে শফিকের বিদায়ে। ৫৮ রান করেছেন ৭৫ বলে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। তারপর বাবর ও শফিক মিলে আরও ৫৪ রানের জুটি গড়েন। বাবর আজমের ‍সুযোগ ছিল ইনিংসটাকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়ার। কিন্তু পাননি, আফগান স্পিনার নুর আহমেদের স্পিনে এক্সট্রা কাভার দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদ নবি সেটা দ্রুতই তালুবন্দী করেন। তাতে ৯২ বল স্থায়ী ইনিংসটির সমাপ্তি হয়। তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা। শেষ বেলায় ২৭ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৪০ রান করেছেন ইফতেখার। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন সহ-অধিনায়ক শাদাবকে, তিনিও ৪০ রান করে আউট হয়েছেন ৩৮ বলে ১ ছক্কা ও ১ চারে।

আফগানদের হয়ে নুর আহমেদ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন। এ ছাড়া নাভিন দুটি এবং নবি ও ওমরজাই একটি করে উইকেট শিকার করেছেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান।

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078