ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বিমান হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। হামলার নিন্দার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি, সমর্থন ও প্রার্থনা জানাচ্ছে লাখো-কোটি মানুষ।
তারই ধারাবাহিকতায় সরকার ও পুলিশের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই যুক্তরাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয়েছে দেশটির প্রধান দুই শহর লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে।
বিবিসির এক প্রতিবেদন মতে, ১৪ অক্টোবর শনিবার লন্ডনে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেন্ট্রাল লন্ডনের এই সমাবেশ অংশ নেয় হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী। সমাবেশের পর তারা একটি মিছিলও বের করে।
মিছিলটি বিবিসির নিউ ব্রডকাস্টিং হাউস থেকে শুরু হয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এলাকা ডাউনিং স্ট্রিটে শেষ হয়। এ সময় ওই এলাকায় এক হাজারের বেশি পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল।
ইউরোপের কয়েকটি দেশের মতো ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ-সমাবেশ আগেই নিষিদ্ধ করেছে ব্রিটিশ সরকার। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন মতে, চলতি সপ্তাহে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ানো বেআইনি ঘোষণা করেন।
শুধু তা-ই নয়, তিনি আরও বলেন, পতাকা ওড়ানো ফৌজদারি অপরাধ হতে পারে। এখানেই শেষ নয়, যারা ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের নির্দেশ দেন তিনি।
সেই নির্দেশনা থেকে বিক্ষোভ থামাতে যুক্তরাজ্যজুড়ে হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও হুমকি দিয়ে বলা হয়, কেউ হামাসের পক্ষে সমর্থন জানালে তাকে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু পুলিশের এই হুমকি উপেক্ষা করেই শনিবার লন্ডনে মহাসমাবেশ হয়েছে।
লন্ডনের মিছিল-সমাবেশ থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা রোরি চালানডস জানান, এটি একটি বড় ধরনের সমাবেশ। ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন’ নামের এই সমাবেশে সমবেত জনতা ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ বন্ধের দাবি জানান।
এই মহাসমাবেশের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের হাতে শোভা পাচ্ছে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ তথা ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘নো জাস্টিস, নো পিস’ লেখা রঙের ব্যানার ও পোস্টার।
এদিন লন্ডন সমাবেশে আরও অনেক রাজনীতিকের সঙ্গে অংশ নেন ব্রিটিশ সাংসদ ও বিরোধী দল লেবার পার্টির সাবেক প্রধান জেরেমি করবিনও। সমাবেশে ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য দেন তিনি। দখলদার ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন দেওয়ায় ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও রাজনীতিকদের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
করবিন বলেন, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের ইসরায়েলের বোমা হামলার সমর্থন করা উচিত নয়। লন্ডন সমাবেশ ও মিছিলকে ‘সংহতির দিন’ অভিহিত করে এই রাজনীতিক বলেন, ‘আপনি যদি আন্তর্জাতিক আইনে বিশ্বাস করেন, যদি মানবাধিকারে বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় যা করছে, তার নিন্দা করতে হবে।’
বাইরে ম্যানচেস্টার, লিভারপুল, ব্রিস্টল, ক্যামব্রিজ, নরউইচ, কভেন্ট্রি, এডিনবার্গ, সোয়ানসিসহ বেশ কয়েকটি শহরে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্য ছাড়াও সরকারের চাপ উপেক্ষা করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালিসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
ঠিকানা/এনআই
তারই ধারাবাহিকতায় সরকার ও পুলিশের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই যুক্তরাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয়েছে দেশটির প্রধান দুই শহর লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে।
বিবিসির এক প্রতিবেদন মতে, ১৪ অক্টোবর শনিবার লন্ডনে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেন্ট্রাল লন্ডনের এই সমাবেশ অংশ নেয় হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী। সমাবেশের পর তারা একটি মিছিলও বের করে।
মিছিলটি বিবিসির নিউ ব্রডকাস্টিং হাউস থেকে শুরু হয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এলাকা ডাউনিং স্ট্রিটে শেষ হয়। এ সময় ওই এলাকায় এক হাজারের বেশি পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল।
ইউরোপের কয়েকটি দেশের মতো ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ-সমাবেশ আগেই নিষিদ্ধ করেছে ব্রিটিশ সরকার। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন মতে, চলতি সপ্তাহে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ানো বেআইনি ঘোষণা করেন।
শুধু তা-ই নয়, তিনি আরও বলেন, পতাকা ওড়ানো ফৌজদারি অপরাধ হতে পারে। এখানেই শেষ নয়, যারা ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের নির্দেশ দেন তিনি।
সেই নির্দেশনা থেকে বিক্ষোভ থামাতে যুক্তরাজ্যজুড়ে হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও হুমকি দিয়ে বলা হয়, কেউ হামাসের পক্ষে সমর্থন জানালে তাকে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু পুলিশের এই হুমকি উপেক্ষা করেই শনিবার লন্ডনে মহাসমাবেশ হয়েছে।
লন্ডনের মিছিল-সমাবেশ থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা রোরি চালানডস জানান, এটি একটি বড় ধরনের সমাবেশ। ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন’ নামের এই সমাবেশে সমবেত জনতা ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ বন্ধের দাবি জানান।
এই মহাসমাবেশের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের হাতে শোভা পাচ্ছে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ তথা ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘নো জাস্টিস, নো পিস’ লেখা রঙের ব্যানার ও পোস্টার।
এদিন লন্ডন সমাবেশে আরও অনেক রাজনীতিকের সঙ্গে অংশ নেন ব্রিটিশ সাংসদ ও বিরোধী দল লেবার পার্টির সাবেক প্রধান জেরেমি করবিনও। সমাবেশে ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য দেন তিনি। দখলদার ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন দেওয়ায় ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও রাজনীতিকদের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
করবিন বলেন, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের ইসরায়েলের বোমা হামলার সমর্থন করা উচিত নয়। লন্ডন সমাবেশ ও মিছিলকে ‘সংহতির দিন’ অভিহিত করে এই রাজনীতিক বলেন, ‘আপনি যদি আন্তর্জাতিক আইনে বিশ্বাস করেন, যদি মানবাধিকারে বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় যা করছে, তার নিন্দা করতে হবে।’
বাইরে ম্যানচেস্টার, লিভারপুল, ব্রিস্টল, ক্যামব্রিজ, নরউইচ, কভেন্ট্রি, এডিনবার্গ, সোয়ানসিসহ বেশ কয়েকটি শহরে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্য ছাড়াও সরকারের চাপ উপেক্ষা করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালিসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
ঠিকানা/এনআই