ফিলিস্তিনিদের এলাকা ছাড়তে আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন হাজারো মানুষ। ফলে শহরের পথে মানুষের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
গাজার দেইর আল-বালাদ থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক সাফওয়াত আলকাহলুত জানান, আমার এখান থেকে গাজা শহরে যেতে সাধারণত ১৫ মিনিট সময় লাগে কিন্তু এখন আমার ২ ঘণ্টার মতো সময় লাগছে। কারণ এখানকার বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের পরিবার নিয়ে উত্তরাঞ্চল ছেড়ে দক্ষিণের দিকে রওয়া হয়েছে। তারা যে যেভাবে পারছে, সে সেভাবে করে হেঁটে বা গাড়িতে করে এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমি এখানকার প্রকৃত ট্র্যাজেডি দেখতে পাচ্ছি। হাজার হাজার মানুষ তাদের সন্তানদের সঙ্গে করে নিয়ে এলাকা থেকে পালাচ্ছে। এসব মানুষ কেউ লেপ-তোশক আবার কেউ ব্যাগে ছোট ছোট করে প্রয়োজনীয় কাগজ ও বাচ্চাদের কাপড়সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এসব মানুষের বেশির ভাগ তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে হেঁটে রওনা দিয়েছে। তাদের সঙ্গে কোনো গাড়িও নেই।
এসব এলাকার অনেকে এখনো এলাকা ছাড়েনি। তারা বলছে, তারা কোথায় যাবে? আসলে কি দক্ষিণে আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো জায়গা আছে! আল-জাজিরার এ সাংবাদিক বলেন, তারা সবাই উত্তর থেকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার সংবাদকে অনুসরণ করছে। তাদের এমন প্রশ্ন করার কারণ হলো আসলে গাজার কোনো জায়গা এখন আর নিরাপদ নয়।
এর আগে শুক্রবার গাজার প্রায় ১১ লাখ বাসিন্দাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। তাদের এই নির্দেশনার জবাবে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস বলছে, ইসরায়েলের নির্দেশ মানা হবে না, গাজাবাসী তাদের ঘর ছেড়ে কোথাও যাবে না।
হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম আল-জাজিরাকে বলেন, আমাদের সামনে দুটি পথ আছে। এক. ইসরায়েলি নিপীড়নের অবসান ঘটানো। দুই. আমাদের ঘরে বসে থেকে মৃত্যুবরণ করা। তাই ১৯৪৮ সালের মতো আমরা আরেকটি নাকবা বা বিপর্যয় ঘটাতে চাই না। তখন ইসরায়েলের নিপীড়নের মুখে ৭ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের ঘর ছেড়ে পালিয়েছিল।
ঠিকানা/এনআই
গাজার দেইর আল-বালাদ থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক সাফওয়াত আলকাহলুত জানান, আমার এখান থেকে গাজা শহরে যেতে সাধারণত ১৫ মিনিট সময় লাগে কিন্তু এখন আমার ২ ঘণ্টার মতো সময় লাগছে। কারণ এখানকার বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের পরিবার নিয়ে উত্তরাঞ্চল ছেড়ে দক্ষিণের দিকে রওয়া হয়েছে। তারা যে যেভাবে পারছে, সে সেভাবে করে হেঁটে বা গাড়িতে করে এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমি এখানকার প্রকৃত ট্র্যাজেডি দেখতে পাচ্ছি। হাজার হাজার মানুষ তাদের সন্তানদের সঙ্গে করে নিয়ে এলাকা থেকে পালাচ্ছে। এসব মানুষ কেউ লেপ-তোশক আবার কেউ ব্যাগে ছোট ছোট করে প্রয়োজনীয় কাগজ ও বাচ্চাদের কাপড়সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এসব মানুষের বেশির ভাগ তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে হেঁটে রওনা দিয়েছে। তাদের সঙ্গে কোনো গাড়িও নেই।
এসব এলাকার অনেকে এখনো এলাকা ছাড়েনি। তারা বলছে, তারা কোথায় যাবে? আসলে কি দক্ষিণে আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো জায়গা আছে! আল-জাজিরার এ সাংবাদিক বলেন, তারা সবাই উত্তর থেকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার সংবাদকে অনুসরণ করছে। তাদের এমন প্রশ্ন করার কারণ হলো আসলে গাজার কোনো জায়গা এখন আর নিরাপদ নয়।
এর আগে শুক্রবার গাজার প্রায় ১১ লাখ বাসিন্দাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। তাদের এই নির্দেশনার জবাবে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস বলছে, ইসরায়েলের নির্দেশ মানা হবে না, গাজাবাসী তাদের ঘর ছেড়ে কোথাও যাবে না।
হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম আল-জাজিরাকে বলেন, আমাদের সামনে দুটি পথ আছে। এক. ইসরায়েলি নিপীড়নের অবসান ঘটানো। দুই. আমাদের ঘরে বসে থেকে মৃত্যুবরণ করা। তাই ১৯৪৮ সালের মতো আমরা আরেকটি নাকবা বা বিপর্যয় ঘটাতে চাই না। তখন ইসরায়েলের নিপীড়নের মুখে ৭ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের ঘর ছেড়ে পালিয়েছিল।
ঠিকানা/এনআই