ডেঙ্গু, মানবতার আরেক শত্রু বাংলাদেশকে ঘিরে ধরেছে। জাতীয় শত্রুর মতো। একজন মানুষকেও ছেড়ে কথা বলবে না-এই যেন ডেঙ্গুর প্রতিজ্ঞা। ডেঙ্গু প্রতিদিন মৃত্যু এবং আক্রান্তের নিজের রেকর্ড যেন নিজেই ভেঙে চলেছে। এক মাসকে অতিক্রম করে যাচ্ছে আরেকটা মাস। থামার লক্ষণ নেই। থামানোর কেউ নেই। প্রকৃতি যেন খেপে উঠেছে। ডেঙ্গু দিয়ে যেন প্রতিশোধ নিচ্ছে। সাধারণ মানুষ জানে না তাদের অপরাধ কী। সাধারণ মানুষ জানে না ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ লাভের পথ কী। আদৌ আছে কি না, তা-ও জানে না। উত্তরের মেয়র, দক্ষিণের মেয়র, পূবের কমিশনার, পশ্চিমের পলিটিশিয়ান-তাদের উদ্যোগের কথা, প্রয়াসের কথা সব সময় শোনা যায়, কিন্তু ফল দেখা যায় না। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে সহস্রাধিক প্রাণ। আক্রান্ত হয়েছেন সোয়া দুই লাখেরও বেশি মানুষ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। বাসা-বাড়িতে আক্রান্ত এবং মৃত রোগী এ সংখ্যার বাইরে।
ডেঙ্গুতে মৃত্যু এবং আক্রান্ত নিয়ে প্রতিদিন খবরের কাগজসহ সব মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। সেসবে সুখবর নেই। মানুষের স্বস্তির কোনো খবর নেই। ঠিকানার গত ২০ সেপ্টেম্বর এবং ২৭ সেপ্টেম্বর পরপর দুটি সংখ্যাতেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ আছে। ২০ সেপ্টেম্বর সংখ্যার খবরটি প্রকাশিত হয়েছে তৃতীয় পৃষ্ঠায়। শিরোনাম : ‘ডেঙ্গু : আগস্টকে ছাড়িয়ে গেল সেপ্টেম্বর’। ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞরা এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন। তাদের আশঙ্কা ছিল আগস্টকে ছাড়িয়ে যাবে সেপ্টেম্বর। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু আসলেই আগস্টকে ছাড়িয়ে গেছে সেপ্টেম্বর। আগস্ট মাসের প্রথম ১৮ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ছিল ৪৪ হাজার ৪৫ জন। মৃত্যু ছিল ২০২ জন। একই সময়ে সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ৯৬০ জন এবং মৃতের সংখ্যা ২৪৬। অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সংখ্যা ঠিকানায় ডেঙ্গু নিয়ে যে খবরটি প্রকাশ পেয়েছে ৩-এর পাতায়, তার শিরোনাম : ‘ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছুঁই-ছুঁই’। ডেঙ্গুতে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা দুই-ই প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। সংবাদটিতে বলা হয়েছে, ‘দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছেই। সর্বশেষ এক দিনে রেকর্ডসংখ্যক ৩ হাজার ১২৩ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখে ৩ হাজার ১২২ জন রোগী ভর্তির সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল দেশে। সব মিলিয়ে চলতি বছরের প্রায় ৯ মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছুঁই-ছুঁই করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অক্টোবরে সেপ্টেম্বর মাসের মৃত্যু এবং আক্রান্ত দুই ক্ষেত্রেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গু প্রশমনের কোনো লক্ষণই নেই। বরং কোভিড-১৯-এর মতো বৈশ্বিক মহামারির রূপ নেওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে ডেঙ্গু এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও দেখা যাচ্ছে। এ বিশ্বটা কিছুদিন আগেই দেখেছে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির ভয়ংকর রূপ। চীনের উহানে আবির্ভূত হয়ে বিশ্বময় যে তাণ্ডব দেখিয়ে গেল, তাতে ৬০ লাখের মতো মানুষের প্রাণ হরণ করে নিল। আক্রান্ত হয়ে ভুগেছে কয়েক কোটি মানুষ। সেই ঘাতক কোভিড এখনো বিদায় নেয়নি। নানা নামে এখনো মানবসভ্যতাকে চোখ রাঙাচ্ছে। মানবসভ্যতা এখন যদি কোভিড ও ডেঙ্গুর মিলিত আক্রমণের মুখে পড়ে, তাহলে মানবতার কী হাল যে হবেÑতা ভাবতে গেলেই অসহায় বোধ হয়। ইতিমধ্যেই আমেরিকাসহ আরও কয়েকটি দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে কোভিডের মতোই একটু আশার আলো মানুষ দেখতে পাচ্ছে সুড়ঙ্গের এক মাথায়। ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন হতে যাচ্ছে। মানুষের আশাজাগানিয়া এই সংবাদটি সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়া থেকে প্রচারিত হয়েছে যে, ডেঙ্গুর ভ্যাকসিনও শিগগিরই তৈরি হচ্ছে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি বাজারে আনার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুটি সফল পরীক্ষা হয়েছে এবং আশাব্যঞ্জক ইতিবাচক ফলও মিলেছে। এখন মানুষের ওপর তৃতীয় পরীক্ষাটি সফল হলেই হয়তো তা বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসবে। ডেঙ্গুর হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর এটাই হয়তো শেষ ভরসা।
যাদের বা সেসব সংস্থার ওপর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল, সবার বিচারেই তারা ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সবার প্রত্যাশা এবং প্রার্থনা-ল্যাবরেটরির এই গবেষণা সফল হোক। ডেঙ্গুর হাত থেকে মানুষ রক্ষা পাক।
ডেঙ্গুতে মৃত্যু এবং আক্রান্ত নিয়ে প্রতিদিন খবরের কাগজসহ সব মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। সেসবে সুখবর নেই। মানুষের স্বস্তির কোনো খবর নেই। ঠিকানার গত ২০ সেপ্টেম্বর এবং ২৭ সেপ্টেম্বর পরপর দুটি সংখ্যাতেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ আছে। ২০ সেপ্টেম্বর সংখ্যার খবরটি প্রকাশিত হয়েছে তৃতীয় পৃষ্ঠায়। শিরোনাম : ‘ডেঙ্গু : আগস্টকে ছাড়িয়ে গেল সেপ্টেম্বর’। ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞরা এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন। তাদের আশঙ্কা ছিল আগস্টকে ছাড়িয়ে যাবে সেপ্টেম্বর। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু আসলেই আগস্টকে ছাড়িয়ে গেছে সেপ্টেম্বর। আগস্ট মাসের প্রথম ১৮ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ছিল ৪৪ হাজার ৪৫ জন। মৃত্যু ছিল ২০২ জন। একই সময়ে সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ৯৬০ জন এবং মৃতের সংখ্যা ২৪৬। অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সংখ্যা ঠিকানায় ডেঙ্গু নিয়ে যে খবরটি প্রকাশ পেয়েছে ৩-এর পাতায়, তার শিরোনাম : ‘ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছুঁই-ছুঁই’। ডেঙ্গুতে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা দুই-ই প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। সংবাদটিতে বলা হয়েছে, ‘দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছেই। সর্বশেষ এক দিনে রেকর্ডসংখ্যক ৩ হাজার ১২৩ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখে ৩ হাজার ১২২ জন রোগী ভর্তির সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল দেশে। সব মিলিয়ে চলতি বছরের প্রায় ৯ মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছুঁই-ছুঁই করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অক্টোবরে সেপ্টেম্বর মাসের মৃত্যু এবং আক্রান্ত দুই ক্ষেত্রেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গু প্রশমনের কোনো লক্ষণই নেই। বরং কোভিড-১৯-এর মতো বৈশ্বিক মহামারির রূপ নেওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে ডেঙ্গু এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও দেখা যাচ্ছে। এ বিশ্বটা কিছুদিন আগেই দেখেছে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির ভয়ংকর রূপ। চীনের উহানে আবির্ভূত হয়ে বিশ্বময় যে তাণ্ডব দেখিয়ে গেল, তাতে ৬০ লাখের মতো মানুষের প্রাণ হরণ করে নিল। আক্রান্ত হয়ে ভুগেছে কয়েক কোটি মানুষ। সেই ঘাতক কোভিড এখনো বিদায় নেয়নি। নানা নামে এখনো মানবসভ্যতাকে চোখ রাঙাচ্ছে। মানবসভ্যতা এখন যদি কোভিড ও ডেঙ্গুর মিলিত আক্রমণের মুখে পড়ে, তাহলে মানবতার কী হাল যে হবেÑতা ভাবতে গেলেই অসহায় বোধ হয়। ইতিমধ্যেই আমেরিকাসহ আরও কয়েকটি দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে কোভিডের মতোই একটু আশার আলো মানুষ দেখতে পাচ্ছে সুড়ঙ্গের এক মাথায়। ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন হতে যাচ্ছে। মানুষের আশাজাগানিয়া এই সংবাদটি সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়া থেকে প্রচারিত হয়েছে যে, ডেঙ্গুর ভ্যাকসিনও শিগগিরই তৈরি হচ্ছে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি বাজারে আনার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুটি সফল পরীক্ষা হয়েছে এবং আশাব্যঞ্জক ইতিবাচক ফলও মিলেছে। এখন মানুষের ওপর তৃতীয় পরীক্ষাটি সফল হলেই হয়তো তা বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসবে। ডেঙ্গুর হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর এটাই হয়তো শেষ ভরসা।
যাদের বা সেসব সংস্থার ওপর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল, সবার বিচারেই তারা ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সবার প্রত্যাশা এবং প্রার্থনা-ল্যাবরেটরির এই গবেষণা সফল হোক। ডেঙ্গুর হাত থেকে মানুষ রক্ষা পাক।