প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খানকে হলুদ একটি খামে ডাকযোগে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছিলেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। প্রায় দুই দশক আগের সেই দিনের ঘটনা এক ফেইসবুক পোস্টে তুলে ধরেছেন কবি গুলতেকিন। ১০ অক্টোবর (মঙ্গলবার) চিঠি হাতে পাওয়ার ২০০৪ সালের ৬ জুনের সেই দিনে তাদের কণ্যা শীলা আহমেদের সঙ্গে সেই চিঠি নিয়ে তাদের কথোপকথনও তুলে ধরেছেন ফেইসবুক পোস্টে। পরে এ নিয়ে আরও একটি পোস্ট করেছেন; কমেন্ট সেকশনে মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন। তার এ পোস্টের পর তা নিয়ে ফেইসবুকে অনেকে কথা বলেছেন; শেয়ার ও কমেন্ট করছেন।
বিচ্ছেদ নোটিসের সেই চিঠির খাম ও নোটিসটির ছবি ফেইসবুকে শেয়ার করে গুলতেকিন লেখেন, ‘এ ধরণের হলদে খামে চিঠি আসলে আমার মেয়ে শীলা বলতো, এগুলো তোমাকে লেখা প্রেমপত্র। শীলার বাবার লেখা আত্মজীবনিমূলক বই পড়ে অনেকেই আমাকে চিঠি লিখতো।’
পরে আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি হাসতে হাসতে বললাম, শীলা বাবা, তোমার daddy তো আমাকে divorce দিয়েছে।’
২০০৪ সালের ৬ জুন হলুদ খামে ‘তালাকের নোটিস’ আসার কথা জানিয়ে গুলতেকিন লেখেন, ‘জুন মাসের ৬ (২০০৪ সালের) তারিখে স্কুল থেকে ফিরতেই, শীলা বললো, ‘তোমার একটা প্রেমপত্র এসেছে’। আমি খামটি খুলতে খুলতে সিডি (এখানে ড এর নীচে একটি ফোটা থাকার কথা) বেয়ে ওপরে উঠছিলাম, ওপরে উঠে চিঠিতে চোখ রাখতেই বের হয়ে আসলো একটি কাগজ।’
নোটিসে হুমায়ূন লিখেছিলেন, ‘বিবাহের পর থেকেই তাহার সহিত আমার কোনোমতেই বনিবনা হইতেছে না। ভবিষ্যতেও বনিবনা হইবার কোনোরূপ সম্ভাবনা না থাকায় আমি অপারগ…’
পোস্টের নিচে কমেন্ট বক্সে গুলতেকিন লেখেন, ‘আমার সাথে তাঁর কোনো রকম বিরোধ নেই। আমি তাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত একটিও নেগেটিভ কথা কারও কাছেই বলিনি। এটি আমার স্বভাবের সাথে যায় না।’
এ বিষয়ক আরেক পোস্টে এ খাম খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে গুলতেকিন লেখেন, ‘এই খামটির ভেতরে খুব যত্ন করে রাখা ছিল আরেকটি খাম, আজকে tax এর জন্য কিছু কাগজ খুঁজতে গিয়ে এটি পেয়ে গেলাম।’
উল্লেখ্য, গুলতেকিনের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের বিয়ে হয় ১৯৭৩ সালে। এরপর ২০১৯ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আফতাব আহমদকে বিয়ে করেন গুলতেকিন। কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় স্বামী আফতাব প্রয়াত হয়েছেন।
ঠিকানা/এসআর
বিচ্ছেদ নোটিসের সেই চিঠির খাম ও নোটিসটির ছবি ফেইসবুকে শেয়ার করে গুলতেকিন লেখেন, ‘এ ধরণের হলদে খামে চিঠি আসলে আমার মেয়ে শীলা বলতো, এগুলো তোমাকে লেখা প্রেমপত্র। শীলার বাবার লেখা আত্মজীবনিমূলক বই পড়ে অনেকেই আমাকে চিঠি লিখতো।’
পরে আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি হাসতে হাসতে বললাম, শীলা বাবা, তোমার daddy তো আমাকে divorce দিয়েছে।’
২০০৪ সালের ৬ জুন হলুদ খামে ‘তালাকের নোটিস’ আসার কথা জানিয়ে গুলতেকিন লেখেন, ‘জুন মাসের ৬ (২০০৪ সালের) তারিখে স্কুল থেকে ফিরতেই, শীলা বললো, ‘তোমার একটা প্রেমপত্র এসেছে’। আমি খামটি খুলতে খুলতে সিডি (এখানে ড এর নীচে একটি ফোটা থাকার কথা) বেয়ে ওপরে উঠছিলাম, ওপরে উঠে চিঠিতে চোখ রাখতেই বের হয়ে আসলো একটি কাগজ।’
নোটিসে হুমায়ূন লিখেছিলেন, ‘বিবাহের পর থেকেই তাহার সহিত আমার কোনোমতেই বনিবনা হইতেছে না। ভবিষ্যতেও বনিবনা হইবার কোনোরূপ সম্ভাবনা না থাকায় আমি অপারগ…’
পোস্টের নিচে কমেন্ট বক্সে গুলতেকিন লেখেন, ‘আমার সাথে তাঁর কোনো রকম বিরোধ নেই। আমি তাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত একটিও নেগেটিভ কথা কারও কাছেই বলিনি। এটি আমার স্বভাবের সাথে যায় না।’
এ বিষয়ক আরেক পোস্টে এ খাম খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে গুলতেকিন লেখেন, ‘এই খামটির ভেতরে খুব যত্ন করে রাখা ছিল আরেকটি খাম, আজকে tax এর জন্য কিছু কাগজ খুঁজতে গিয়ে এটি পেয়ে গেলাম।’
উল্লেখ্য, গুলতেকিনের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের বিয়ে হয় ১৯৭৩ সালে। এরপর ২০১৯ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আফতাব আহমদকে বিয়ে করেন গুলতেকিন। কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় স্বামী আফতাব প্রয়াত হয়েছেন।
ঠিকানা/এসআর