প্লেনে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোজিনের মৃত্যু, ইঙ্গিত পুতিনের

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪৫ , অনলাইন ভার্সন
প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছিলেন রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। এমনকি প্রিগোজিনের প্লেনে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলেও অনেক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। অনেকে আবার এই জল্পনাকে বিশ্বাসযোগ্য বলেও মনে করেন। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্লেনের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্টে যে বিমান দুর্ঘটনায় ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন নিহত হয়েছিলেন, সেটি বিমানের ভেতরে হ্যান্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণের কারণে হয়েছিল বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার পুতিন ইঙ্গিত দেন, প্রিগোজিনের বিমানটি ভেতর থেকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। গুজবের কাহিনীর মতো কোনও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সেটিকে আঘাত করা হয়নি। তিনি বলেছেন, গত আগস্টে দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে বিস্ফোরকের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন।

রাশিয়ার সোচি শহরে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক সভায় পুতিন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে হাতবোমার টুকরো পাওয়া গেছে। বিমানটিতে কোনও বাহ্যিক ক্ষতির চিহ্ন ছিল না - এটি ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত সত্য।’ তার এই কথার মাধ্যমে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবিকে মিথ্যা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মার্কিন কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, প্রিগোজিনের বহনকারী বিমানটিকে গুলি করা হয়েছিল।

প্রিগোজিন এক সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেশ ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। কিন্তু গত ২৩ জুন তিনি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এমনকি নিজের যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কোর দিকে যাত্রাও শুরু করেন তিনি।

ওই ঘটনায় একদিনের ব্যবধানে প্রিগোজিন পুতিনের ‘বন্ধু থেকে শত্রুতে’ পরিণত হন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও এসব দাবিকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে মস্কো।

গত আগস্টে ‘এমব্রেয়ার লিগ্যাসি’ নামের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে রাশিয়ার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাচ্ছিলেন প্রিগোজিন। পথে কুঝেনকিনো এলাকায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। উড়োজাহাজে থাকা সাত যাত্রীর মধ্যে ছিল প্রিগোজিন ও ওয়াগনারের আরেক শীর্ষ নেতা দিমিত্রি উতকিন। এছাড়া প্রিগোজিনের চার দেহরক্ষীও সেখানে ছিলেন। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ১০ আরোহীর সকলেই নিহত হন।

তবে এক্সিকিউটিভ জেটে কীভাবে গ্রেনেড বা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো যেতে পারে সে সম্পর্কে পুতিন আর কোনও তথ্য দেননি। তবে তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের শরীরে অ্যালকোহল এবং ড্রাগ পরীক্ষা না করা তদন্তকারীদের ভুল ছিল।

পুতিন বলেন, ‘আমার মতে, এই ধরনের পরীক্ষা করা উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি।’

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041