সাগরের বুকে নতুন বাংলাদেশ

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৪ , অনলাইন ভার্সন
প্রকৃতি নাকি কাউকে বঞ্চিত করে না। মানুষকে বঞ্চিত করে আরেকজন মানুষই। প্রকৃতির মতো উদারতা আর কারও মধ্যে নেই। সেই প্রকৃতির আশীর্বাদে বাংলাদেশের আয়তন বেড়ে চলেছে। খবরটি অবশ্যই সুখবর এবং অত্যন্ত আনন্দের। বাংলাদেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে সুখবর প্রায় পাওয়াই যায় না। সামাজিক-পারিবারিক ক্ষেত্রে শত রকম ঝঞ্ঝাট, কোন্দল, অস্থিরতা। একজন আরেকজনকে দেখতে পারে না। হিংসা-পরশ্রীকাতরতা। হানাহানি, কাটাকাটি লেগেই থাকে।

আরেকদিকে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক হানাহানি, অবরোধ, মানববন্ধন, সন্ত্রাস, লুটপাট। বাংলাদেশের অর্থনীতির তত্ত্ব ফেল প্রবহমান পরিস্থিতির কাছে। বাংলাদেশে রাজনীতি টালমাটাল। এক দল আরেক দলের পথের কাঁটা, দুই চোখের বিষ। কেউ কাউকে দেখতে পারে না। নালিশের রাজনীতি, বিনাশের রাজনীতি। একটি দল অন্য আরেকটি দলের অস্তিত্ব মেনে নিতে পারে না। ধ্বংস চায়, বিনাশ চায়। ক্ষমতা নিয়ে কাড়াকাড়ি, হানাহানি। ক্ষমতায় যারা, তারা কিছুতেই ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নয়। যারা ক্ষমতার বাইরে, ক্ষমতা পাওয়ার জন্য তারা সবকিছু করতে পারে। জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে সব ছারখার করে দিতে পারে। মানুষকে পুড়িয়ে মারতেও দ্বিধা করে না। মানুষের চিৎকার-হাহাকার তাদের হৃদয় স্পর্শ করে না।

অর্থনীতির অবস্থা, অর্থনীতিবিদেরা বলে থাকেন, আরও বেহাল অবস্থা। সব ব্যাংক নাকি ফোকলা! মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা নেয় ফেরত দেবে না বলে। সরকার ঋণ নেয়, সেটাও দেওয়ার নাম থাকে না। অর্থনীতি যারা বোঝেন, যারা অর্থনীতি নিয়ে কাজ-কারবার করেন, তারাই বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ খুব ভালো নয়। মুদ্রাবাজারে বারবার ধস। লাখ লাখ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী। বাজার-ব্যবস্থায় কোনো শৃঙ্খলা নেই। ফড়িয়া, গডফাদার আর মাফিয়া চক্রে ‘দশ চক্রে ভগবান ভূত’ অবস্থা। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যে স্থিরতা নেই, শুধু বেড়েই যাচ্ছে। আজ এক জিনিসের দাম দশ টাকা তো কাল তারই দাম পনেরো টাকা। মানুষ কিছুতেই নিতে পারছে না।

এ রকম এক অস্থির সময়েই সুখবরটা পাওয়া যাচ্ছে। সুখবরটা হচ্ছে বাংলাদেশের আয়তন বৃদ্ধি পেতে চলেছে। প্রকৃতির আশীর্বাদে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠছে এক বিশাল ভূখণ্ড। খবরটির শিরোনাম : ‘সাগরের বুকে তৈরি হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ’। খবরে বলা হচ্ছে, ‘বাংলাদেশের আয়তন বৃদ্ধি পেতে চলেছে। প্রকৃতির আশীর্বাদে বঙ্গোপসাগরের বুকে হাতছানি দিচ্ছে আরেক টুকরো বাংলাদেশ। কক্সবাজার থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সাগরের মাঝে জেগে উঠছে সুন্দরবনের আদলে নতুন ভূখণ্ড। যেখানে তৈরি হবে নতুন শিল্প ও পর্যটনকেন্দ্র।’ সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, এই ভূখণ্ড ঘিরে মানুষ নতুন করে আর্থসামাজিক উন্নয়নের স্বপ্ন বুনছে। তাদের সেই উন্নয়নের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যাশায় দিন গুনছে।

জ্ঞানীজনেরা বলে থাকেন, একদিক দিয়ে গেলে আরেক দিকে প্রকৃতি পুষিয়ে দেয়। যে সময় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ সাগরে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলছেন পরিবেশবিদেরা, সে রকম সময়ে বঙ্গোপসাগরে আরেক খণ্ড বাংলাদেশের হাতছানি! অথৈ নীল জলরাশির মাঝে জেগে উঠছে মাইলের পর মাইল ভূখণ্ড। প্রকৃতি যেন নিজ হাতে বাংলাদেশকে সাজানোর ভার নিয়েছে। প্রকৃতির এই উদার দান বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য ফেরাবে। যদি কোনো লুটেরার দল সেই সম্পদ লুটে নিয়ে আশায় যারা বুক বেঁধেছে, তাদের বুকটা ভেঙে না দেয়। বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে অনেক বড় বড় অর্জন করেছে, কিন্তু সেই সুফল তারা ভোগ করতে পারেনি। সেসব লুট করে নিয়েছে বাংলাদেশেরই একশ্রেণির লুটেরা। এ ক্ষেত্রেও যদি তা-ই ঘটে, তবে সবার সব স্বপ্ন নীল সাগরের জলে ভেসে যাবে। তা যেন না হয়, সেদিকে সরকার সদা সতর্ক দৃষ্টি রাখবেÑসেটাই সবার প্রত্যাশা।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041