আইন পরিবর্তন করে হলেও অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা।
৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এমন দাবি জানিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার। তার এ পোস্টের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে এটিকে সংগঠনবিরোধী বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা। তাই তার সমালোচনা করে তাকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন তারা।
তবে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আসম ফিরোজ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
পোস্টে আব্দুল মোতালেব হাওলাদার লেখেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া হউক।’ ব্র্যাকেটে লেখেন, ‘মন্তব্য না করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।’
এ ঘটনার সমালোচনা করে বাউফল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক (আবদুল মোতালেব হাওলাদার) একজন ত্যাগী নেতা ঠিক আছে। তবে সাম্প্রতিককালে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে বিচরণ করেন। যার কারণে বিএনপি নেতাদের আদর্শে আদর্শিত হয়ে তিনি বিএনপি নেত্রীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।’
আব্দুল মোতালেবের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম ফারুক বলেন, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও ২০০৪ এর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে বিএনপি ও জিয়া পরিবার সরাসরি জড়িত। তিনি (আবদুল মোতালেব) উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে বিএনপি নেত্রীর জন্য যে মায়াকান্না ও আইন পরিবর্তন করে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি সংগঠনবিরোধী বক্তেব্যর শামিল। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
এদিকে বিরোধী দলের প্রধানের মুক্তির দাবিতে পোস্ট দেওয়ার ব্যাখ্যায় বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘শেখ হাসিনা মানবতার মা। তিনি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) যে মানবতার মা, তা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠালে সেটা আরও একবার প্রমাণ হবে। আমি রাজনৈতিক কারণে লিখেছি, এখানে দোষের কিছু দেখছি না।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান বলেন, এটি তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এর দায় আওয়ামী লীগ নেবে না।
ঠিকানা/এনআই
৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এমন দাবি জানিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার। তার এ পোস্টের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে এটিকে সংগঠনবিরোধী বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা। তাই তার সমালোচনা করে তাকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন তারা।
তবে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আসম ফিরোজ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
পোস্টে আব্দুল মোতালেব হাওলাদার লেখেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া হউক।’ ব্র্যাকেটে লেখেন, ‘মন্তব্য না করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।’
এ ঘটনার সমালোচনা করে বাউফল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক (আবদুল মোতালেব হাওলাদার) একজন ত্যাগী নেতা ঠিক আছে। তবে সাম্প্রতিককালে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে বিচরণ করেন। যার কারণে বিএনপি নেতাদের আদর্শে আদর্শিত হয়ে তিনি বিএনপি নেত্রীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।’
আব্দুল মোতালেবের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম ফারুক বলেন, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও ২০০৪ এর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে বিএনপি ও জিয়া পরিবার সরাসরি জড়িত। তিনি (আবদুল মোতালেব) উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে বিএনপি নেত্রীর জন্য যে মায়াকান্না ও আইন পরিবর্তন করে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি সংগঠনবিরোধী বক্তেব্যর শামিল। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
এদিকে বিরোধী দলের প্রধানের মুক্তির দাবিতে পোস্ট দেওয়ার ব্যাখ্যায় বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘শেখ হাসিনা মানবতার মা। তিনি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) যে মানবতার মা, তা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠালে সেটা আরও একবার প্রমাণ হবে। আমি রাজনৈতিক কারণে লিখেছি, এখানে দোষের কিছু দেখছি না।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান বলেন, এটি তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এর দায় আওয়ামী লীগ নেবে না।
ঠিকানা/এনআই