
ভালো নেই বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যেকোনো সময় অঘটন ঘটে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বারবার শারীরিক (প্রথম পাতার পর)
অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নেওয়া হচ্ছে সিসিইউতে। বর্তমানে ক্রিটিক্যাল সময় পার করছেন তিনি। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর থেকেই বেগম জিয়া বিশ্বের নজরে। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি এখন গৃহবন্দী। যেকোনো সময় পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে। নির্বাচনের আগে বেগম জিয়ার কিছু হলে রাজনীতিতে অজানা শঙ্কার খবর চাউর হচ্ছে। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ওপরই শুধু পরিস্থিতি নির্ভর করছে না, যুক্ত হয়েছে বিশ্বশক্তি। ভেতরে ভেতরে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ।
এদিকে খালেদা জিয়া ইস্যুতে রহস্যময় ভূমিকা পালনকারী বিএনপি দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অবশেষে নেত্রীর সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে একক কর্মসূচি পালন করেছে। বন্দীর পর কয়েকটি আলোচনা সভা, দোয়া, মিলাদ মাহফিল করে সময়ক্ষেপণ করলেও হঠাৎ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ক্রিটিক্যাল হওয়ায় সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। অবশ্য এরই মধ্যে আল্টিমেটামের সময় পার হয়ে গেছে! সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম জানিয়েছে, খালেদা জিয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ সময় পার করছেন।
এ নিয়ে বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা দলের হাইকমান্ডের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, খালেদা জিয়ার পুরো ইস্যুটি পরিবারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বন্দী থেকে এ পর্যন্ত রাজনৈতিকভাবে শক্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গেল দুই বছর যেমন নির্বাচন ও সরকার পতনের এক দফায় সারা দেশে আন্দোলনের আবহ তৈরি করা হয়েছে, তেমনি খালেদা জিয়ার জন্য একক কর্মসূচি দিয়ে রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করা যেত। খালেদা জিয়ার করোনা হওয়ার বিষয়টি নিয়েও লুকোচুরি করেছে দলটি। পরে এক পুত্রবধূর হস্তক্ষেপে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পরও বিএনপিতে ছিল নীরবতা। গত মাস থেকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আর উন্নতি হচ্ছে না। দিন দিন অবনতি হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার, ফুসফুস, কিডনি, হৃদরোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তার শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করা যাচ্ছে না। বহু জটিলতা থাকায় একটির ওষুধ দিলে অন্যটি ক্ষতির কারণ হচ্ছে। অনেক সময় শরীরে পালসও থাকে না। যাকে বলা চলে ক্রিটিক্যাল সময়, চিকিৎসকেরও কিছু করার থাকে না।
গত ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন। অবস্থার অবনতি দেখে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ফের তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এই আবেদনের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এর উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়াকে ৪০১ ধারায় যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এর কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। আইনের অবস্থান থেকে সরকারের কিছু করার নেই। আর করতে হলে আগের শর্তযুক্ত মুক্তির আদেশ বাতিল করতে হবে।
তবে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আদালতের আলাদা অনুমতির কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক। তিনি বলেন, সরকার প্রথমত খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। সেখানে দুটি শর্ত দেওয়া হলো, নিজের বাসায় থাকার এবং দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার। ছয় মাস শেষ হওয়ার পর আরও ছয় মাস বাড়াল। এভাবে প্রতিবার বাড়ানো হচ্ছে। প্রতিবারই কিন্তু নতুন আদেশ দিতে হচ্ছে। এর অর্থ শর্ত পরিবর্তন হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের আর কিছু করার নেই বলে আইনমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই। আগের শর্তযুক্ত মুক্তির আদেশ বাতিল করতে হবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতেও একমত নই। সরকার ৪০১ ধারা অনুযায়ী তার ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে আদালতের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে চায়, সেটাও করতে পারে। সব সুযোগই তো আইনে রয়েছে।
অন্যদিকে সরকার-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছে সরকার। এ বিষয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতির বিষয়টি সরকারের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এ অবস্থায় কোনো রকম দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হতে পারে। এ কারণে সরকারও বিষয়টি নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে।
বিএনপির কূটনৈতিক মিশনে চোখ রাখা সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার বিষয়ে কূটনৈতিক মিশনও পজিটিভ। দেশের ভেতরে খালেদা জিয়ার কোনো অঘটন হলে হাইকমান্ডেরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্ট হয়ে যাবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো কূটনৈতিক মিশন চাচ্ছে না দেশে কোনো সংঘাত, সহিংসতা হোক।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বোকার স্বর্গে বসবাস করেছিলাম। আমরা বুঝতে পারিনি খালেদা জিয়াকে কেন আটক করা হয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম, তিনি আদালতকে সম্মান জানিয়ে গেছেন, আবার সম্মান নিয়ে ফিরে আসবেন। খালেদা জিয়াকে মূলত সরকার হত্যা করার জন্যই কারাগারে নিয়ে গেছে। এটি সরকারের হত্যার পুরোপুরি পরিকল্পিত অ্যাজেন্ডা ছিল। তাকে গ্রেপ্তার করে, অসুস্থ বানিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় যদি খালেদা জিয়ার কিছু হয়ে যায়Ñআওয়ামী লীগের কারও অস্তিত্ব আমরা বাংলাদেশে রাখব না। আন্দোলনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে খালেদা জিয়ার বিষয়ে আমরা অবশ্যই রাজপথে নামব।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নেওয়া হচ্ছে সিসিইউতে। বর্তমানে ক্রিটিক্যাল সময় পার করছেন তিনি। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর থেকেই বেগম জিয়া বিশ্বের নজরে। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি এখন গৃহবন্দী। যেকোনো সময় পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে। নির্বাচনের আগে বেগম জিয়ার কিছু হলে রাজনীতিতে অজানা শঙ্কার খবর চাউর হচ্ছে। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ওপরই শুধু পরিস্থিতি নির্ভর করছে না, যুক্ত হয়েছে বিশ্বশক্তি। ভেতরে ভেতরে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ।
এদিকে খালেদা জিয়া ইস্যুতে রহস্যময় ভূমিকা পালনকারী বিএনপি দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অবশেষে নেত্রীর সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে একক কর্মসূচি পালন করেছে। বন্দীর পর কয়েকটি আলোচনা সভা, দোয়া, মিলাদ মাহফিল করে সময়ক্ষেপণ করলেও হঠাৎ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ক্রিটিক্যাল হওয়ায় সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। অবশ্য এরই মধ্যে আল্টিমেটামের সময় পার হয়ে গেছে! সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম জানিয়েছে, খালেদা জিয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ সময় পার করছেন।
এ নিয়ে বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা দলের হাইকমান্ডের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, খালেদা জিয়ার পুরো ইস্যুটি পরিবারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বন্দী থেকে এ পর্যন্ত রাজনৈতিকভাবে শক্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গেল দুই বছর যেমন নির্বাচন ও সরকার পতনের এক দফায় সারা দেশে আন্দোলনের আবহ তৈরি করা হয়েছে, তেমনি খালেদা জিয়ার জন্য একক কর্মসূচি দিয়ে রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করা যেত। খালেদা জিয়ার করোনা হওয়ার বিষয়টি নিয়েও লুকোচুরি করেছে দলটি। পরে এক পুত্রবধূর হস্তক্ষেপে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পরও বিএনপিতে ছিল নীরবতা। গত মাস থেকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আর উন্নতি হচ্ছে না। দিন দিন অবনতি হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার, ফুসফুস, কিডনি, হৃদরোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তার শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করা যাচ্ছে না। বহু জটিলতা থাকায় একটির ওষুধ দিলে অন্যটি ক্ষতির কারণ হচ্ছে। অনেক সময় শরীরে পালসও থাকে না। যাকে বলা চলে ক্রিটিক্যাল সময়, চিকিৎসকেরও কিছু করার থাকে না।
গত ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন। অবস্থার অবনতি দেখে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ফের তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এই আবেদনের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এর উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়াকে ৪০১ ধারায় যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এর কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। আইনের অবস্থান থেকে সরকারের কিছু করার নেই। আর করতে হলে আগের শর্তযুক্ত মুক্তির আদেশ বাতিল করতে হবে।
তবে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আদালতের আলাদা অনুমতির কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক। তিনি বলেন, সরকার প্রথমত খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। সেখানে দুটি শর্ত দেওয়া হলো, নিজের বাসায় থাকার এবং দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার। ছয় মাস শেষ হওয়ার পর আরও ছয় মাস বাড়াল। এভাবে প্রতিবার বাড়ানো হচ্ছে। প্রতিবারই কিন্তু নতুন আদেশ দিতে হচ্ছে। এর অর্থ শর্ত পরিবর্তন হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের আর কিছু করার নেই বলে আইনমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই। আগের শর্তযুক্ত মুক্তির আদেশ বাতিল করতে হবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতেও একমত নই। সরকার ৪০১ ধারা অনুযায়ী তার ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে আদালতের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে চায়, সেটাও করতে পারে। সব সুযোগই তো আইনে রয়েছে।
অন্যদিকে সরকার-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছে সরকার। এ বিষয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতির বিষয়টি সরকারের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এ অবস্থায় কোনো রকম দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হতে পারে। এ কারণে সরকারও বিষয়টি নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে।
বিএনপির কূটনৈতিক মিশনে চোখ রাখা সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার বিষয়ে কূটনৈতিক মিশনও পজিটিভ। দেশের ভেতরে খালেদা জিয়ার কোনো অঘটন হলে হাইকমান্ডেরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্ট হয়ে যাবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো কূটনৈতিক মিশন চাচ্ছে না দেশে কোনো সংঘাত, সহিংসতা হোক।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বোকার স্বর্গে বসবাস করেছিলাম। আমরা বুঝতে পারিনি খালেদা জিয়াকে কেন আটক করা হয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম, তিনি আদালতকে সম্মান জানিয়ে গেছেন, আবার সম্মান নিয়ে ফিরে আসবেন। খালেদা জিয়াকে মূলত সরকার হত্যা করার জন্যই কারাগারে নিয়ে গেছে। এটি সরকারের হত্যার পুরোপুরি পরিকল্পিত অ্যাজেন্ডা ছিল। তাকে গ্রেপ্তার করে, অসুস্থ বানিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় যদি খালেদা জিয়ার কিছু হয়ে যায়Ñআওয়ামী লীগের কারও অস্তিত্ব আমরা বাংলাদেশে রাখব না। আন্দোলনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে খালেদা জিয়ার বিষয়ে আমরা অবশ্যই রাজপথে নামব।