চট্টগ্রামে বাবাকে গলাটিপে হত্যার পর লাশ ১০ টুকরা করার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মো. হাসানের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান।
২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সাদ্দাম হোসেনের আদালতে এই জবানবন্দি দেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার পর নিহতের ছেলে মোস্তাফিজুর বুধবার তার বাবাকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে বিস্তারিত জবানবন্দি দিয়েছেন।’
স্বীকারোক্তিতে মোস্তাফিজুর বলেন, ‘২০ সেপ্টেম্বর পারিবারিক ও সাংসারিক নানান বিষয় নিয়ে বাবা, ছোট ভাইসহ আমরা তিনজন চট্টগ্রাম শহরে ছোট ভাইয়ের বাসায় আলোচনা করতে থাকি। একপর্যায়ে বাবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। তখন আমার বাবা আমার গালে থাপ্পড় মারেন। এতে আমার মাথা গরম হয়ে যায়। সহ্য করতে না পেরে দুই হাত দিয়ে বাবার গলা চেপে ধরি। এতে বাবা মারা যান। প্রথমে বস্তায় বাবার লাশ ঢুকিয়ে রুমের এক কোনায় রেখে রুমটি তালা মেরে বাইরে চলে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন ছোট বোনের জামাই ফোরকানকে কল দিয়ে একটি সিএনজি আনার কথা বলি। ওই সিএনজিতে করে পরে মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই।’
এরপর লাশ টুকরা করা এবং ফেলার বিস্তারিত বর্ণনা দেন তিনি।
জবানবন্দিতে মোস্তাফিজুর আরও বলেন, তারা দুই ভাই ও এক বোন। তার বয়স যখন ৬-৭ বছর, তখন তার বাবা শহরে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। তিনি মা ও দাদির কাছে বড় হন। কৃষিকাজ করেন। তার ছোট ভাই সফিকুর রহমান জাহাঙ্গীর গার্মেন্টসে চাকরি করেন এবং ছোট বোন রাজিয়া বেগমের বিয়ে হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন বাবা ফিরে না আসায় তার মা বাড়িতে বাপের ভিটায় বসবাস করতেন। প্রায় ২৮ বছর পর তার বাবা ফিরে আসেন। ৭-৮ মাস পর বাবা আবার বাড়ি থেকে চলে যান। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। তবে তার কাকা ও কাকির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। তিন মাস পর বাবা আবার বাড়ি ফিরে আসেন। প্রায়ই তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করতেন। ১০-১৫ দিন থাকার পর কাউকে না বলে বাড়ি থেকে চলে যান। দেড় মাস পর আবার ফিরে আসেন। তারপর বাবা ভিটেবাড়ি বিক্রি করে দেবেন বলে হুমকি দেন।
মোস্তাফিজুর বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের আগে বাবা চট্টগ্রাম শহরে আমার ছোট ভাইয়ের বাসায় আসেন। আমার মা আগে চিকিৎসার জন্য তখন ছোট ভাইয়ের বাসায় ছিলেন।’
২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর পতেঙ্গা বোট ক্লাবের অদূরে ১২ নম্বর গেটে একটি খালের পাড়ে পাওয়া ট্রলিব্যাগের ভেতর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির হাত-পাসহ শরীরের খণ্ডিত আটটি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ছায়া তদন্ত চালিয়ে নিশ্চিত হয়, নিহত ওই ব্যক্তি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাতারিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. হাসান (৬১)।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও মোস্তাফিজুরকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের ২৪ সেপ্টেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। পাশাপাশি মামলাটিও পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। অভিযুক্ত ছোট ছেলে ও তার স্ত্রী এখনো পলাতক।
ঠিকানা/এনআই
২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সাদ্দাম হোসেনের আদালতে এই জবানবন্দি দেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার পর নিহতের ছেলে মোস্তাফিজুর বুধবার তার বাবাকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে বিস্তারিত জবানবন্দি দিয়েছেন।’
স্বীকারোক্তিতে মোস্তাফিজুর বলেন, ‘২০ সেপ্টেম্বর পারিবারিক ও সাংসারিক নানান বিষয় নিয়ে বাবা, ছোট ভাইসহ আমরা তিনজন চট্টগ্রাম শহরে ছোট ভাইয়ের বাসায় আলোচনা করতে থাকি। একপর্যায়ে বাবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। তখন আমার বাবা আমার গালে থাপ্পড় মারেন। এতে আমার মাথা গরম হয়ে যায়। সহ্য করতে না পেরে দুই হাত দিয়ে বাবার গলা চেপে ধরি। এতে বাবা মারা যান। প্রথমে বস্তায় বাবার লাশ ঢুকিয়ে রুমের এক কোনায় রেখে রুমটি তালা মেরে বাইরে চলে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন ছোট বোনের জামাই ফোরকানকে কল দিয়ে একটি সিএনজি আনার কথা বলি। ওই সিএনজিতে করে পরে মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই।’
এরপর লাশ টুকরা করা এবং ফেলার বিস্তারিত বর্ণনা দেন তিনি।
জবানবন্দিতে মোস্তাফিজুর আরও বলেন, তারা দুই ভাই ও এক বোন। তার বয়স যখন ৬-৭ বছর, তখন তার বাবা শহরে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। তিনি মা ও দাদির কাছে বড় হন। কৃষিকাজ করেন। তার ছোট ভাই সফিকুর রহমান জাহাঙ্গীর গার্মেন্টসে চাকরি করেন এবং ছোট বোন রাজিয়া বেগমের বিয়ে হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন বাবা ফিরে না আসায় তার মা বাড়িতে বাপের ভিটায় বসবাস করতেন। প্রায় ২৮ বছর পর তার বাবা ফিরে আসেন। ৭-৮ মাস পর বাবা আবার বাড়ি থেকে চলে যান। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। তবে তার কাকা ও কাকির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। তিন মাস পর বাবা আবার বাড়ি ফিরে আসেন। প্রায়ই তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করতেন। ১০-১৫ দিন থাকার পর কাউকে না বলে বাড়ি থেকে চলে যান। দেড় মাস পর আবার ফিরে আসেন। তারপর বাবা ভিটেবাড়ি বিক্রি করে দেবেন বলে হুমকি দেন।
মোস্তাফিজুর বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের আগে বাবা চট্টগ্রাম শহরে আমার ছোট ভাইয়ের বাসায় আসেন। আমার মা আগে চিকিৎসার জন্য তখন ছোট ভাইয়ের বাসায় ছিলেন।’
২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর পতেঙ্গা বোট ক্লাবের অদূরে ১২ নম্বর গেটে একটি খালের পাড়ে পাওয়া ট্রলিব্যাগের ভেতর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির হাত-পাসহ শরীরের খণ্ডিত আটটি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ছায়া তদন্ত চালিয়ে নিশ্চিত হয়, নিহত ওই ব্যক্তি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাতারিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. হাসান (৬১)।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও মোস্তাফিজুরকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের ২৪ সেপ্টেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। পাশাপাশি মামলাটিও পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। অভিযুক্ত ছোট ছেলে ও তার স্ত্রী এখনো পলাতক।
ঠিকানা/এনআই