ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে নিখোঁজের এক দিন পর দুই শিশুসন্তানসহ গৃহবধূর মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে। ওই নারীর শাড়ির আঁচলের সঙ্গে শিশুদের বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় গৃহবধূর মা এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন। তবে গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরের দাবি, এটি আত্মহত্যা।
২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের কাসুয়াডাঙ্গা তীরনই নদী থেকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়। আগের দিন মঙ্গলবার থেকে তারা নিখোঁজ ছিল।
নিহতরা হলো ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী নাসিমা খাতুন (৩০) এবং শিশুসন্তান শাওন (৮) ও সাফাত (৪)।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা বলছে, মঙ্গলবার নাসিমা তার দুই শিশুসন্তানসহ তীরনই নদীর ধারে ছাগল চড়াতে যান। সেখানেই (নদীতে) তারা দুপুরে গোসল করেছেন। পরে সন্ধ্যা হলেও তারা বাড়িতে না ফেরায় নাসিমার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। অনেক রাত পর্যন্ত নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নেন তারা।
বুধবার সকালে নাসিমার শ্বশুর সামসুল হক তীরনই নদীর ধারে নাসিমাসহ তার দুই শিশুসন্তানের মরদেহ নদীর বালুর মধ্যে আটকে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। পরে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় মরদেহ নদী এলাকা থেকে তোলা হয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় নাসিমার শাড়ির আঁচল দিয়ে দুই শিশুসন্তানের শরীর বাঁধা ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নিহত নাসিমার মা খালেদা বেগমের দাবি, তার জামাই আব্দুর রহিম জুয়া খেলায় আসক্ত। জুয়ার টাকার জন্য তার মেয়েকে প্রায়ই অত্যাচার-নির্যাতন করতেন তিনি।
এ বিষয়ে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বকুল বলেন, ‘গতকাল থেকেই শিশুসহ ওই গৃহবধূ নিখোঁজ। রাতে অনেকবার নদীতে খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। বুধবার সকালে দুই শিশুসহ তাদের মায়ের লাশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।’
তিনি আরও বলেন, ‘মৃত্যুগুলো আসলে কীভাবে হলো, তা সঠিকভাবে বলা মুশকিল। তবে ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উন্মোচন হবে।’
এ বিষয়ে রানীশংকৈল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন আলী বলেন, মরদেহ তিনটির প্রাথমিক সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঠিকানা/এনআই
২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের কাসুয়াডাঙ্গা তীরনই নদী থেকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়। আগের দিন মঙ্গলবার থেকে তারা নিখোঁজ ছিল।
নিহতরা হলো ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী নাসিমা খাতুন (৩০) এবং শিশুসন্তান শাওন (৮) ও সাফাত (৪)।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা বলছে, মঙ্গলবার নাসিমা তার দুই শিশুসন্তানসহ তীরনই নদীর ধারে ছাগল চড়াতে যান। সেখানেই (নদীতে) তারা দুপুরে গোসল করেছেন। পরে সন্ধ্যা হলেও তারা বাড়িতে না ফেরায় নাসিমার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। অনেক রাত পর্যন্ত নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নেন তারা।
বুধবার সকালে নাসিমার শ্বশুর সামসুল হক তীরনই নদীর ধারে নাসিমাসহ তার দুই শিশুসন্তানের মরদেহ নদীর বালুর মধ্যে আটকে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। পরে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় মরদেহ নদী এলাকা থেকে তোলা হয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় নাসিমার শাড়ির আঁচল দিয়ে দুই শিশুসন্তানের শরীর বাঁধা ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নিহত নাসিমার মা খালেদা বেগমের দাবি, তার জামাই আব্দুর রহিম জুয়া খেলায় আসক্ত। জুয়ার টাকার জন্য তার মেয়েকে প্রায়ই অত্যাচার-নির্যাতন করতেন তিনি।
এ বিষয়ে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বকুল বলেন, ‘গতকাল থেকেই শিশুসহ ওই গৃহবধূ নিখোঁজ। রাতে অনেকবার নদীতে খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। বুধবার সকালে দুই শিশুসহ তাদের মায়ের লাশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।’
তিনি আরও বলেন, ‘মৃত্যুগুলো আসলে কীভাবে হলো, তা সঠিকভাবে বলা মুশকিল। তবে ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উন্মোচন হবে।’
এ বিষয়ে রানীশংকৈল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন আলী বলেন, মরদেহ তিনটির প্রাথমিক সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঠিকানা/এনআই