
দেশে অভিনব কৌশলে সংঘটিত হচ্ছে সাইবার অপরাধ। ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সাইবার অপরাধের ঘটনাও। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন ধরনের সাইবার অপরাধ বেড়েছে ২৮১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এসব সাইবার অপরাধের অন্যতম একটি কারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা।
এ অবস্থায় আগামী অক্টোবর মাসকে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস পালন করার কথা জানিয়েছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন।
২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। চার সপ্তাহে ডিজিটাল সুরক্ষার চারটি বার্তা দিয়ে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষিত মানুষেরাও এ বিষয়ে অসচেতন। খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা প্রেমিকের সঙ্গে বিশ্বাসের প্রশ্নে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড শেয়ার করেন। প্রায় ৬১ শতাংশ মেয়ে তাদের পাসওয়ার্ড শেয়ার করেন। এমনকি একজন পুরুষ শিক্ষকও এভাবে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাগত বক্তব্যে ফাউন্ডেশনের জাতীয় কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন ধরনের সাইবার অপরাধ বেড়েছে ২৮১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর এটা ঘটে অসচেতনতার কারণে। এ কারণেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার এবং অনলাইনের বাসিন্দা হতে কিংবা ডিজিটাল স্পেসে কীভাবে চলতে হবে, সেই সংস্কৃতি গড়ে তুলতে আমরা কাজ করব। সক্রেটিসের থ্রি ফিল্টার ব্যবহার শেখাব। এ জন্য আমরা চাই এই মাসটি জাতীয়ভাবে পালন করা হোক। আমরা সম্মিলিতভাবে ডিজিটাল হাইজিন গড়ে তুলতে চাই।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেসের (ব্লাস্ট) পরিচালক (সালিস এবং প্রশিক্ষণ) তাপসী রাবেয়া বলেন, শিশুর হাতে ডিভাইস তুলে দিলেও তাদের সুরক্ষার বিষয় লক্ষ রাখা হয় না। ফলে তাদের কেউ কেউ অপরাধ করছে, কেউবা আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে নারী ও শিশুদের সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে।
সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মাদ আবুল হাসান বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরা শিশুদের ইন্টারনেট ও ডিজিটাল ডিভাইস দিয়েছি কিন্তু তাদের এর ব্যবহার ও নিরাপদ থাকার কৌশল শেখাইনি। আবার আমরা নিজেরাও অসতর্ক। তাই সবাইকে সচেতন করতেই এই ক্যাম্পেইন।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সচেতনতার মাধ্যমে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে অক্টোবর মাসজুড়ে সবাইকে ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার অনুশীলন করানো হবে। চার সপ্তাহে ডিজিটাল সুরক্ষার ৪টি বার্তা দিয়ে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এবার তরুণ ও শিশুদের টার্গেট করে বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস পালন করবে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন।
ঠিকানা/এনআই
এ অবস্থায় আগামী অক্টোবর মাসকে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস পালন করার কথা জানিয়েছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন।
২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। চার সপ্তাহে ডিজিটাল সুরক্ষার চারটি বার্তা দিয়ে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষিত মানুষেরাও এ বিষয়ে অসচেতন। খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা প্রেমিকের সঙ্গে বিশ্বাসের প্রশ্নে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড শেয়ার করেন। প্রায় ৬১ শতাংশ মেয়ে তাদের পাসওয়ার্ড শেয়ার করেন। এমনকি একজন পুরুষ শিক্ষকও এভাবে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাগত বক্তব্যে ফাউন্ডেশনের জাতীয় কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন ধরনের সাইবার অপরাধ বেড়েছে ২৮১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর এটা ঘটে অসচেতনতার কারণে। এ কারণেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার এবং অনলাইনের বাসিন্দা হতে কিংবা ডিজিটাল স্পেসে কীভাবে চলতে হবে, সেই সংস্কৃতি গড়ে তুলতে আমরা কাজ করব। সক্রেটিসের থ্রি ফিল্টার ব্যবহার শেখাব। এ জন্য আমরা চাই এই মাসটি জাতীয়ভাবে পালন করা হোক। আমরা সম্মিলিতভাবে ডিজিটাল হাইজিন গড়ে তুলতে চাই।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেসের (ব্লাস্ট) পরিচালক (সালিস এবং প্রশিক্ষণ) তাপসী রাবেয়া বলেন, শিশুর হাতে ডিভাইস তুলে দিলেও তাদের সুরক্ষার বিষয় লক্ষ রাখা হয় না। ফলে তাদের কেউ কেউ অপরাধ করছে, কেউবা আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে নারী ও শিশুদের সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে।
সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মাদ আবুল হাসান বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরা শিশুদের ইন্টারনেট ও ডিজিটাল ডিভাইস দিয়েছি কিন্তু তাদের এর ব্যবহার ও নিরাপদ থাকার কৌশল শেখাইনি। আবার আমরা নিজেরাও অসতর্ক। তাই সবাইকে সচেতন করতেই এই ক্যাম্পেইন।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সচেতনতার মাধ্যমে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে অক্টোবর মাসজুড়ে সবাইকে ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার অনুশীলন করানো হবে। চার সপ্তাহে ডিজিটাল সুরক্ষার ৪টি বার্তা দিয়ে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এবার তরুণ ও শিশুদের টার্গেট করে বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস পালন করবে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন।
ঠিকানা/এনআই