তিন দেশের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) মামলা দায়ের করেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। মূলত ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানি নিষিদ্ধ করায় এই মামলা করেছে কিয়েভ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যে তিন দেশের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে, সেগুলো হলো- স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশ তিনটির বিরুদ্ধে কিয়েভের অভিযোগ হলো- তাদের এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের প্রতিবেশী ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে।
তবে দেশ তিনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ইউক্রেন থেকে সস্তায় অতিরিক্ত আমদানির জেরে কৃষিপণ্যের দাম পড়ে যাওয়ায় তাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই নিজেদের কৃষকদের রক্ষায় এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছে তাদের।
বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী ইউলিয়া সুভয়ুরয়ুদেঙ্কো বলেন, এটা আমাদের জন্য প্রমাণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, কোনো দেশ এককভাবে ইউক্রেনের শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে না। এ জন্য আমরা তাদের অর্থাৎ স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে মামলা করেছি।
তিনি আরও বলেন, বহুপক্ষীয় নিষেধাজ্ঞায় ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিকারকরা ইতোমধ্যে সংকট মোকাবিলা করছে।
এর আগে এপ্রিল মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছিল, পাঁচটি দেশ তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে ইউক্রেন থেকে আমদানি করা গম, ভুট্টা, শর্ষে ও সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করতে পারবে না। তবে এসব দেশ হয়ে অন্য কোনো দেশে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি করা যাবে। দেশগুলো হলো- পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া।
ওই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মেয়াদ শেষে ইউরোপীয় কমিশন জানায়, পাঁচ দেশের জন্য জারি করা ইউক্রেনের শস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে না। তাই চাইলে এসব দেশ ইউক্রেন থেকে আমদানি করা শস্য বিক্রি করতে পারবে।
কিন্তু এর পরও উল্লিখিত তিনটি দেশের (স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি) সরকার জানিয়েছে, তাদের দেশে ইউক্রেনের শস্য বিক্রি করা হবে না। তারা ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানি করবেও না। ফলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে কিয়েভ। যদিও ইউক্রেনের মামলার পরও আগের অবস্থান থেকে সরে আসেনি স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি সরকার।
ঠিকানা/এসআর
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যে তিন দেশের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে, সেগুলো হলো- স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশ তিনটির বিরুদ্ধে কিয়েভের অভিযোগ হলো- তাদের এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের প্রতিবেশী ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে।
তবে দেশ তিনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ইউক্রেন থেকে সস্তায় অতিরিক্ত আমদানির জেরে কৃষিপণ্যের দাম পড়ে যাওয়ায় তাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই নিজেদের কৃষকদের রক্ষায় এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছে তাদের।
বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী ইউলিয়া সুভয়ুরয়ুদেঙ্কো বলেন, এটা আমাদের জন্য প্রমাণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, কোনো দেশ এককভাবে ইউক্রেনের শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে না। এ জন্য আমরা তাদের অর্থাৎ স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে মামলা করেছি।
তিনি আরও বলেন, বহুপক্ষীয় নিষেধাজ্ঞায় ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিকারকরা ইতোমধ্যে সংকট মোকাবিলা করছে।
এর আগে এপ্রিল মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছিল, পাঁচটি দেশ তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে ইউক্রেন থেকে আমদানি করা গম, ভুট্টা, শর্ষে ও সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করতে পারবে না। তবে এসব দেশ হয়ে অন্য কোনো দেশে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি করা যাবে। দেশগুলো হলো- পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া।
ওই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মেয়াদ শেষে ইউরোপীয় কমিশন জানায়, পাঁচ দেশের জন্য জারি করা ইউক্রেনের শস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে না। তাই চাইলে এসব দেশ ইউক্রেন থেকে আমদানি করা শস্য বিক্রি করতে পারবে।
কিন্তু এর পরও উল্লিখিত তিনটি দেশের (স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি) সরকার জানিয়েছে, তাদের দেশে ইউক্রেনের শস্য বিক্রি করা হবে না। তারা ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানি করবেও না। ফলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে কিয়েভ। যদিও ইউক্রেনের মামলার পরও আগের অবস্থান থেকে সরে আসেনি স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি সরকার।
ঠিকানা/এসআর