নির্বাচন করতে গাইবান্ধা থেকে মন্ত্রী তাঁকে রাজশাহীর চারঘাটে এনেছেন—এমন দাবির পাশাপাশি মাদক ব্যবসার জন্য এক নারীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ চেয়ে ফেঁসে গেছেন চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম। তার এমন দাবির অডিও ভাইরাল হলে ১৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাতে রাজশাহীর চারঘাট থানা থেকে তাঁকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ফাঁস হওয়া ওই অডিও রেকর্ডে ওসি মাহবুবুল আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচন করতে মন্ত্রী (পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) আমাকে গাইবান্ধা থেকে চারঘাট থানায় নিয়ে এসেছেন। আমি তাঁর কথা ছাড়া আর কারও কথা শুনি না।’
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল ইসলাম ওসির অডিও ফাঁস ও তাঁকে প্রত্যাহারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। অডিওর বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসির অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় রাজশাহী জেলা পুলিশে তোলপাড় চলছে। যে নারীর সঙ্গে ওসি চারঘাট থানা কম্পাউন্ডে এসব খোশ আলাপ জমিয়েছিলেন, সেই নারীর স্বামী মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
গতকাল দুপুরে ওসি ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই নারী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগের কপি ডাকযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগে ওই নারী দাবি করেছেন, ডিবি পুলিশ তাঁর স্বামীকে সাজানো মাদক মামলা জড়িয়ে গ্রেপ্তার করেছে।
ওসি মাহবুবুল আলম মাদক মামলায় কারাগারে বন্দির স্ত্রীর সঙ্গে যে আলাপ করেন তা গোপন রেকর্ডিং যন্ত্রে রেকর্ড করা হয় বলে জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা। মোট ছয় মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের অডিওতে ওসির কথোপকথনে উঠে এসেছে পুলিশের ভেতরের চাঞ্চল্যকর অনেক অজানা কাহিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওসি মাহবুবুল আলম চারঘাট থানা কম্পাউন্ডে তাঁর শয়নকক্ষে ডেকে নিয়ে সাহারা বেগম (২৮) নামে ওই নারীর কাছে সাত লাখ টাকা দাবি করেন। গতকাল সকালে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করার পর অভিযোগকারী সাহারা বেগম ভয়ে আত্মগোপনে আছেন। তিনি চারঘাটের চামটা গ্রামের আব্দুল আলিম কালুর স্ত্রী।
সাহারা বেগমের অভিযোগ, স্থানীয় প্রতিপক্ষের দ্বারা ম্যানেজ হয়ে ডিবির পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারের টিম তাঁর স্বামীকে মাদক উদ্ধারের সাজানো মামলায় কিছু দিন আগে গ্রেপ্তার করেন। এই মামলার তদন্তের বিষয়ে সহায়তা চাইতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাহারা বেগম ও তাঁর ছেলে রাব্বী ওই দিন চারঘাট থানার ওসির কাছে যান।
এসপিকে দেওয়া অভিযোগে সাহারা বেগম আরও বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাঁর স্বামী চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে ভোট করেছিলেন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি পক্ষের সঙ্গে তাঁর স্বামী আব্দুল আলিম কালুর বিরোধ হয়। ওই প্রতিপক্ষ ডিবি পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারকে ম্যানেজ করে তার স্বামীকে মাদকের সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করান। তাঁর দাবি, তাঁর স্বামীকে ডিবি পুলিশ ফাঁসিয়েছে।
ওই অডিও রেকর্ডে চারঘাট থানা এলাকায় গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে মামলা দেওয়ার কারণে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শকের সমালোচনা করতে শোনা যায় ওসি মাহবুবুল আলমকে। অডিওতে তিনি বলেন, ‘আমাকে দুই লাখ টাকা দেন, কালকেই ডিবির আতিককে বদলি করে দেব।’
এরপর গৃহবধূ সাহারা বেগমকে ওসি বলেন, ‘আপনার স্বামী আমার অনেক ক্ষতি করে জেলে গেছে (ওসির বিরুদ্ধে এসপি অফিসে অভিযোগ করেছিলেন কালু)। এবার আপনার পরিবারের কাউকে ধরলে ১০ লাখ টাকার কমে ছাড়তে পারব না।’
ওসি আরও বলেন, ‘এখনো তোমার গায়ে আমি আঁচড় দিইনি। বহুত ফাঁকি দিয়েছ। কালকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আসবা। এখন সে রকম সময় নয় যে কেউ পয়সা খায় না। সবাই পয়সা খাচ্ছে। এমন কেউ বাদ নেই যে পয়সা খাচ্ছে না। পুরো জেলা পয়সা খাচ্ছে। এখানে আমার থানা চালাতে মাসিক অনেক টাকা লাগছে। আমি স্যারকে কথা দিয়ে এসেছি। স্যারকে বলেছি, এখানে মাদক ছাড়া টাকার আর কোনো উৎস নেই।’
ওসিকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘মুক্তার বিরুদ্ধে এখন অ্যাকশন নিতে পারব না, শুভর বিরুদ্ধেও (ছাত্রলীগ নেতা ও মাদক কারবারি) অ্যাকশন নিতে পারব না। তোমরা পাঁচ লাখ টাকা দিতে পারবা? ধরে ওদের চালান দিয়ে দেব। থাকি না থাকি ওদের সাইজ করব আমি। তোমরা এলাকার বাইরে থেকে মাদক ব্যবসা করবে। কোনো সমস্যা নেই।’
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারের সমালোচনা করে ওসি মাহবুবকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচনের আগে শুভকে ধরতে পারব না। সব কথা ভেঙে বলব না। কথা সব হয়ে গেল, যদি আতিকের বদলি চাও আরও দুই লাখ টাকা দাও। কালকেই আতিকের বদলি হয়ে যাবে।’
ওসি মাহবুবকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘পাঁচ লাখ আর দুই লাখ মিলে মোট সাত লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করো। আতিক বাদ, ওই দুজনকে (মুক্তা ও শুভ) ট্যাকেল দেওয়ার দায়িত্ব আমার। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর মন্ত্রীকে বলে ওই দুজনকে ধরে চালান করে দেব। আমার সব ওপরের লাইন। যে টাকা দিবা এই টাকাই ওপরে কাজ করবে।’
অডিওতে গৃহবধূ সাহারা বেগমের ‘সুন্দর চেহারা’ নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা যায় ওসিকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাহারা বেগম জানান, তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ও র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করেন। চারঘাট এলাকায় তার সোর্সের মাধ্যমে অনেক মাদক উদ্ধার করেছে র্যাব-পুলিশ। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি সদস্য পদে ভোট করেন। এরপর থেকে এলাকার মুক্তা, শুভ ও সাব্বিরের সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করায় তারা। ডিবিকে তারা ম্যানেজ করে।
সাহারা আরও জানান, চারঘাটের চামটা গ্রামের মুক্তা, শিবপুর গ্রামের সাব্বির ও শলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ শুভ তাঁর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। একইসঙ্গে টাকা না দিলে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। সেই অভিযোগ করতে থানায় গেলে ওসি সাত লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে তাঁকে মাদকের ব্যবসা করতে বলেন। তাতে তিনি রাজি না হলে ওসি তাঁকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমার কাছেও অডিওটা এসেছে। কিন্তু কীভাবে কী হয়েছে, আমি জানি না। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’
ঠিকানা/এসআর
ফাঁস হওয়া ওই অডিও রেকর্ডে ওসি মাহবুবুল আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচন করতে মন্ত্রী (পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) আমাকে গাইবান্ধা থেকে চারঘাট থানায় নিয়ে এসেছেন। আমি তাঁর কথা ছাড়া আর কারও কথা শুনি না।’
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল ইসলাম ওসির অডিও ফাঁস ও তাঁকে প্রত্যাহারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। অডিওর বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসির অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় রাজশাহী জেলা পুলিশে তোলপাড় চলছে। যে নারীর সঙ্গে ওসি চারঘাট থানা কম্পাউন্ডে এসব খোশ আলাপ জমিয়েছিলেন, সেই নারীর স্বামী মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
গতকাল দুপুরে ওসি ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই নারী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগের কপি ডাকযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগে ওই নারী দাবি করেছেন, ডিবি পুলিশ তাঁর স্বামীকে সাজানো মাদক মামলা জড়িয়ে গ্রেপ্তার করেছে।
ওসি মাহবুবুল আলম মাদক মামলায় কারাগারে বন্দির স্ত্রীর সঙ্গে যে আলাপ করেন তা গোপন রেকর্ডিং যন্ত্রে রেকর্ড করা হয় বলে জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা। মোট ছয় মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের অডিওতে ওসির কথোপকথনে উঠে এসেছে পুলিশের ভেতরের চাঞ্চল্যকর অনেক অজানা কাহিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওসি মাহবুবুল আলম চারঘাট থানা কম্পাউন্ডে তাঁর শয়নকক্ষে ডেকে নিয়ে সাহারা বেগম (২৮) নামে ওই নারীর কাছে সাত লাখ টাকা দাবি করেন। গতকাল সকালে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করার পর অভিযোগকারী সাহারা বেগম ভয়ে আত্মগোপনে আছেন। তিনি চারঘাটের চামটা গ্রামের আব্দুল আলিম কালুর স্ত্রী।
সাহারা বেগমের অভিযোগ, স্থানীয় প্রতিপক্ষের দ্বারা ম্যানেজ হয়ে ডিবির পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারের টিম তাঁর স্বামীকে মাদক উদ্ধারের সাজানো মামলায় কিছু দিন আগে গ্রেপ্তার করেন। এই মামলার তদন্তের বিষয়ে সহায়তা চাইতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাহারা বেগম ও তাঁর ছেলে রাব্বী ওই দিন চারঘাট থানার ওসির কাছে যান।
এসপিকে দেওয়া অভিযোগে সাহারা বেগম আরও বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাঁর স্বামী চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে ভোট করেছিলেন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি পক্ষের সঙ্গে তাঁর স্বামী আব্দুল আলিম কালুর বিরোধ হয়। ওই প্রতিপক্ষ ডিবি পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারকে ম্যানেজ করে তার স্বামীকে মাদকের সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করান। তাঁর দাবি, তাঁর স্বামীকে ডিবি পুলিশ ফাঁসিয়েছে।
ওই অডিও রেকর্ডে চারঘাট থানা এলাকায় গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে মামলা দেওয়ার কারণে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শকের সমালোচনা করতে শোনা যায় ওসি মাহবুবুল আলমকে। অডিওতে তিনি বলেন, ‘আমাকে দুই লাখ টাকা দেন, কালকেই ডিবির আতিককে বদলি করে দেব।’
এরপর গৃহবধূ সাহারা বেগমকে ওসি বলেন, ‘আপনার স্বামী আমার অনেক ক্ষতি করে জেলে গেছে (ওসির বিরুদ্ধে এসপি অফিসে অভিযোগ করেছিলেন কালু)। এবার আপনার পরিবারের কাউকে ধরলে ১০ লাখ টাকার কমে ছাড়তে পারব না।’
ওসি আরও বলেন, ‘এখনো তোমার গায়ে আমি আঁচড় দিইনি। বহুত ফাঁকি দিয়েছ। কালকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আসবা। এখন সে রকম সময় নয় যে কেউ পয়সা খায় না। সবাই পয়সা খাচ্ছে। এমন কেউ বাদ নেই যে পয়সা খাচ্ছে না। পুরো জেলা পয়সা খাচ্ছে। এখানে আমার থানা চালাতে মাসিক অনেক টাকা লাগছে। আমি স্যারকে কথা দিয়ে এসেছি। স্যারকে বলেছি, এখানে মাদক ছাড়া টাকার আর কোনো উৎস নেই।’
ওসিকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘মুক্তার বিরুদ্ধে এখন অ্যাকশন নিতে পারব না, শুভর বিরুদ্ধেও (ছাত্রলীগ নেতা ও মাদক কারবারি) অ্যাকশন নিতে পারব না। তোমরা পাঁচ লাখ টাকা দিতে পারবা? ধরে ওদের চালান দিয়ে দেব। থাকি না থাকি ওদের সাইজ করব আমি। তোমরা এলাকার বাইরে থেকে মাদক ব্যবসা করবে। কোনো সমস্যা নেই।’
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারের সমালোচনা করে ওসি মাহবুবকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচনের আগে শুভকে ধরতে পারব না। সব কথা ভেঙে বলব না। কথা সব হয়ে গেল, যদি আতিকের বদলি চাও আরও দুই লাখ টাকা দাও। কালকেই আতিকের বদলি হয়ে যাবে।’
ওসি মাহবুবকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘পাঁচ লাখ আর দুই লাখ মিলে মোট সাত লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করো। আতিক বাদ, ওই দুজনকে (মুক্তা ও শুভ) ট্যাকেল দেওয়ার দায়িত্ব আমার। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর মন্ত্রীকে বলে ওই দুজনকে ধরে চালান করে দেব। আমার সব ওপরের লাইন। যে টাকা দিবা এই টাকাই ওপরে কাজ করবে।’
অডিওতে গৃহবধূ সাহারা বেগমের ‘সুন্দর চেহারা’ নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা যায় ওসিকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাহারা বেগম জানান, তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ও র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করেন। চারঘাট এলাকায় তার সোর্সের মাধ্যমে অনেক মাদক উদ্ধার করেছে র্যাব-পুলিশ। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি সদস্য পদে ভোট করেন। এরপর থেকে এলাকার মুক্তা, শুভ ও সাব্বিরের সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করায় তারা। ডিবিকে তারা ম্যানেজ করে।
সাহারা আরও জানান, চারঘাটের চামটা গ্রামের মুক্তা, শিবপুর গ্রামের সাব্বির ও শলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ শুভ তাঁর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। একইসঙ্গে টাকা না দিলে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। সেই অভিযোগ করতে থানায় গেলে ওসি সাত লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে তাঁকে মাদকের ব্যবসা করতে বলেন। তাতে তিনি রাজি না হলে ওসি তাঁকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমার কাছেও অডিওটা এসেছে। কিন্তু কীভাবে কী হয়েছে, আমি জানি না। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’
ঠিকানা/এসআর