আ.লীগের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত হলে দুঃশাসনের মাত্রা বাড়বে : বাম জোট

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৫৪ , অনলাইন ভার্সন
অবিলম্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা।

১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমাবেশে বক্তারা ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য বাম প্রগতিশীল শক্তিকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ। সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শহিদুল ইসলাম সবুজ ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি কমরেড আব্দুল আলী।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল সাত্তার, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন ও বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা কমরেড ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য।

সভায় কমরেড মাসুদ রানা বলেন, ‘দেশের জনগণ একদিক অর্থনৈতিকভাবে সংকটে আছে, অপরদিকে রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাদের ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। আওয়ামী লীগের এই শাসনে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে দেশের বৃহৎ ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ যা যা করতে হয় সব করছে। ফলে আওয়ামী লীগের ওপর জনগণ প্রচণ্ড বিক্ষুব্ধ। জনগণ পরিবর্তন চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বৃহৎ ব্যবসায়ী শ্রেণির স্বার্থরক্ষাকারী অন্য কোনো দল এলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। আজকের দিনে এই পুঁজিপতি ব্যবসায়ীদের রক্ষাকারী হয়ে যারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, তাদেরকে ফ্যাসিবাদের পথে হাঁটতেই হবে। তাই আজকের দিনে গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো রক্ষা করতে হলে বাম গণতান্ত্রিক শক্তির আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে হবে। আর চূড়ান্ত মুক্তি আসতে পারে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।’

কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি, অংশগ্রহণমূলক হয়নি, অথচ ফলাফল ঘোষিত হয়েছে, সেই নির্বাচন নিয়ে তো প্রশ্ন থাকবে। কথার মালা সাজিয়ে, প্রচারমাধ্যমকে ব্যবহার করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি থেকে জনগণের কণ্ঠ স্তব্ধ করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। অনিয়ন্ত্রিত বাজার সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো মানুষের জীবনকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। দুর্নীতি, লুটপাট ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সরকার সর্বত্র আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নাই বরং একের পর এক বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভোট কারচুপির প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে। এ অবস্থার অবসানে সব মানুষকে রাজপথে নামতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা দীর্ঘায়িত হলে দুঃশাসনের মাত্রা বাড়বে। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে কেউ ক্ষমতা স্থায়ী করতে পারেনি। এবারও ভোটাধিকার বঞ্চিত করে, কৌশল করে, নির্বাচন কমিশন, আমলা আর নানা মহলকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকার অপচেষ্টা জনগণ রুখে দাঁড়াবে।’

কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘দেশে একটা ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চলছে। এই সরকার একটা ফ্যাসিস্ট সরকার। এরা জনগণের মুক্তিযুদ্ধের আবেগকে দমনের অস্ত্রে পরিণত করেছে। নিজেদের সকল অন্যায়কে মুক্তিযুদ্ধের আবেগের চাদর দিয়ে ঢেকে রাখতে চায়। ফলে দুর্নীতি ও দুঃশাসন চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শুধু ধ্বংস করে নাই, তার বিপরীতে লুটপাটের চেতনা দ্বারা দেশ শাসন করছে।’

সমাবেশ থেকে আগামী ১৫-৩০ সেপ্টেম্বর পক্ষকালব্যাপী রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ও সারা দেশের উপজেলাতে সমাবেশ, ৫ অক্টোবর ঢাকায় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান, ৮-১৫ অক্টোবর জেলায় ও বিভাগীয় শহরে পদযাত্রা ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোটভুক্ত দলসমূহের কয়েক হাজার নেতাকর্মী মিছিল করে এই সমাবেশ যোগ দেন।

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078