নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আবদুল কুদ্দুস (৫২) নামে এক ব্যক্তির বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক তার, পাসপোর্ট ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেগমগঞ্জ মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রফিকপুর গ্রামের খলিল মিয়ার নতুন বাড়ির বাসিন্দা ও নিহতের স্ত্রী সুরমা আক্তার আছিয়া (৪০) ও তার কথিত প্রেমিক লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী ইসমাইল হোসেন (৩৫)।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নিজের ঘরের বিছানায় বিদ্যুতের তারে জড়ানো অবস্থায় আবদুল কুদ্দুসের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের দুই পায়ে বিদ্যুতের তার পেছানো ছিল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের স্ত্রী সুরমা আক্তারকে আটক করে পুলিশ।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের স্ত্রী স্বীকার করে, তাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামের মিস্ত্রি ইসমাইল তাদের ঘরে টাইলসের কাজ করার সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ইসমাইল বিদেশে (আবুধাবি) গেলে তাদের মধ্যে মোবাইলে আরও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। গত ৬ সেপ্টেম্বর ইসমাইল দেশে এসে কাউকে না জানিয়ে সেনবাগে তার এক দূরসম্পর্কের খালার বাড়িতে ওঠে।
ওই বাড়ি থেকে সুরমার সঙ্গে যোগাযোগ করে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে ভিকটিম কুদ্দুসদের বাসার ছাদে অবস্থান করে ইসমাইল। এরই মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে আবদুল কুদ্দুস। এ সুযোগে স্ত্রী সুরমা ও ইসমাইল ছাদে থাকা বৈদ্যুতিক তার নিয়ে কুদ্দুসের পায়ে পেঁচিয়ে বিদ্যুতায়িত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। কিন্তু ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে স্ত্রী সুরমা চিৎকার-চেঁচামেচি করে ডাকাত এসেছে এবং তার স্বামীকে হত্যা করেছে বলে সবাইকে জানায়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সুরমার স্বীকারোক্তি মোতাবেক বৃহস্পতিবার ভোরে সেনবাগের মোহাম্মদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসমাইল জানায়, গত বুধবার সে আবুধাবি যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কাটে এবং আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ফ্লাইট ছিল।’
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাতিজা আরিফ হোসেন বাদী হয়ে করা মামলায় সুরমা ও ইসমাইলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ঠিকানা/এনআই
১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেগমগঞ্জ মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রফিকপুর গ্রামের খলিল মিয়ার নতুন বাড়ির বাসিন্দা ও নিহতের স্ত্রী সুরমা আক্তার আছিয়া (৪০) ও তার কথিত প্রেমিক লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী ইসমাইল হোসেন (৩৫)।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নিজের ঘরের বিছানায় বিদ্যুতের তারে জড়ানো অবস্থায় আবদুল কুদ্দুসের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের দুই পায়ে বিদ্যুতের তার পেছানো ছিল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের স্ত্রী সুরমা আক্তারকে আটক করে পুলিশ।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের স্ত্রী স্বীকার করে, তাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামের মিস্ত্রি ইসমাইল তাদের ঘরে টাইলসের কাজ করার সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ইসমাইল বিদেশে (আবুধাবি) গেলে তাদের মধ্যে মোবাইলে আরও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। গত ৬ সেপ্টেম্বর ইসমাইল দেশে এসে কাউকে না জানিয়ে সেনবাগে তার এক দূরসম্পর্কের খালার বাড়িতে ওঠে।
ওই বাড়ি থেকে সুরমার সঙ্গে যোগাযোগ করে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে ভিকটিম কুদ্দুসদের বাসার ছাদে অবস্থান করে ইসমাইল। এরই মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে আবদুল কুদ্দুস। এ সুযোগে স্ত্রী সুরমা ও ইসমাইল ছাদে থাকা বৈদ্যুতিক তার নিয়ে কুদ্দুসের পায়ে পেঁচিয়ে বিদ্যুতায়িত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। কিন্তু ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে স্ত্রী সুরমা চিৎকার-চেঁচামেচি করে ডাকাত এসেছে এবং তার স্বামীকে হত্যা করেছে বলে সবাইকে জানায়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সুরমার স্বীকারোক্তি মোতাবেক বৃহস্পতিবার ভোরে সেনবাগের মোহাম্মদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসমাইল জানায়, গত বুধবার সে আবুধাবি যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কাটে এবং আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ফ্লাইট ছিল।’
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাতিজা আরিফ হোসেন বাদী হয়ে করা মামলায় সুরমা ও ইসমাইলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ঠিকানা/এনআই