যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে ‘দুধের মাছি’ 

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:০৭ , অনলাইন ভার্সন
‘দুধের মাছি’ নিয়ে অনেক প্রবাদ আছে। এর অর্থ সুসময়ের বন্ধু। অর্থাৎ দুঃসময়ে বন্ধুর অভাব হলেও সুসময়ে বন্ধুর অভাব হয় না। প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক আগমন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিতে এখন ‘দুধের মাছি’ বসেছে। সারা বছর যাদের কোনো খোঁজ নেই, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষ্ক্রিয়, এমনকী দলের দুঃসময় বা ক্রান্তিলগ্নে যাদের দেখা মেলেনি, তারাই এখন হাত-পা বেশী নাড়াচাড়া করছেন। আর এসব দেখে রাগে-ক্ষোভে ও অভিমানে ফুঁসছেন ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। 
ত্যাগী নেতা-কর্মীরা বলছেন- আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতে যখন নানান অপপ্রচার চলছে, অপপ্রচারকারীরা যখন লবিং ফার্মে বিপুল অর্থ ঢালছে, সেই মুহূর্তে অর্থের অভাবে সরকারের পক্ষে জোরালো ভূমিকা নিতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। দলের জন্য অর্থ দেওয়ার মত নেতা বা দাতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী অর্থের অভাবে নিয়মিত সভা-সমাবেশ হচ্ছে রাস্তা- ঘাটে, বলতে অনেকটা শর্টকাটে। এসব অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিও হতাশাজনক। কর্মী ধার করে আনার ঘটনাও ঘটছে। অথচ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে নেতা-কর্মীর কোনো অভাব নেই। নেতা-কর্মীতে কিলবিল করছে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস। তাদের সরব উপস্থিতিতে ত্যাগী নেতা-কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এসব হঠাৎ সরব নেতা-কর্মীদের ত্যাগী নেতারা আখ্যায়িত করছেন ‘দুধের মাছি’ বলে। 
জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরকালীন বিগত বছরগুলোর মতো এবারো তাঁকে দলের উদ্যোগে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নাকি নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ এই সংবর্ধনার আয়োজন করবে তা নিয়ে দলের মধ্যে বিভেদ-বিভক্তিসহ নানান ধরনের বাহাস চলছে। এই সংবর্ধনা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও। 
এদিকে উল্লেখিত সংবর্ধনা ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি’র ভূমিকা ও অবস্থান নিয়ে দলের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, রফিকুর রহমান ও ইমদাদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেবার লক্ষ্যে ম্যানহাটনস্থ ম্যারিয়ট মার্কি হোটেলের সম্মেলন কক্ষ ভাড়া করা হয়েছে। অন্যদিকে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার আয়োজন করবে বলে পোস্টারিং ও সভা-সমাবেশ করছে, বিভিন্ন বরোতে চলছে টাউন হল মিটিং। এ লক্ষ্যে তারা একটি কমিটিও গঠন করেছে। নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ বলছে, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি’র নির্দেশনা পেয়েই সংবর্ধনা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন। আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুর রহমান রফিক ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডকে গহির্ত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, পোস্টারিং ও মিছিল করলেই প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা যায় না। এটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। অনেক খরচের ব্যাপার। ইতিমধ্যেই আমরা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নামে সংবর্ধনার জন্য হোটেল বুক দিয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও মতামতের ভিত্তিতেই সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। আমাদের করণীয় জানার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 
এ সময় দলের উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সহ-সভাপতি সামসুদ্দীন আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দীন দেওয়ান, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া এনাম, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মেরাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তালুকদার, কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, মোহাম্মদ সোলায়মান আলী, জি আই রাসেল, আশরাফুজ্জামান, জাকারিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মোরশেদা জামান, মাহবুবুর রহমান টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেবার বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে ওদের কোন ধারনা নেই। তা থাকলে এই দুঃসাহসিক কথা বলতো না। তারা অন্যায় কাজ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই মহানগর ও স্টেট আওয়ামী লীগগুলো। মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা যত শ্লোগান দেন বা পোস্টার লাগান না কেন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেব না। বরং তাদের নিয়েই সংবর্ধনার আয়োজন করবো। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আকাশ থকে আসেনি। এটা শেখ হাসিনারই দেওয়া। তাদের সাথে আমি কথা বলবো। তাদের সাথে আলোচনায় বসবো। মনে রাখতে হবে, আমরা সবাই শেখ হাসিনার কর্মি। নেত্রী যা করবেন সাংগঠনিকভাবেই করবেন। তার বাইরে তিনি কিছু করেন না। এই মহানগর আওয়ামী লীগও আমারই অনুমোদিত।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে কোনদিনই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে না। আমরা ইতোমধ্যেই হোটেল বুক দিয়েছি। তারা কি খোলা মাঠে জননেত্রীকে সংবর্ধনা দিতে চান? নিশ্চয়ই তা নয়। তিনি বলেন, নেত্রী জাতিসংঘের সাধারন অধিবেশনে যোগদানের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসবেন। আমরা বিমানবন্দরও তাকে স্বাগত জানাবো। জাতিসংঘে ভাষন দেবার দিন (২২ সেপ্টেম্বর দুপুর) শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছি। ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করবো ইনশাল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের কতিপয় নেতার বিরোধীতার কারনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত পর্বের কর্তৃত্ব চলে যায় তৃতীয় পক্ষের হাতে। এবার আশা করবো তা হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেনিউইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। সেই সংবর্ধনার আয়োজনের জন্য এখন প্রস্তুতি চলছে। এই প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য যে যার অবস্থান থেকে কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দাবি করছেন তারাই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা। 
এদিকে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান। তিনিই রফিকুর রহমান রফিক ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন মহানগর আওয়ামী লীগের সংবর্ধনার সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন। 
ডা. মাসুদুল হাসান ঠিকানাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য নিউইয়র্কে আসছেন। নিউইয়র্কে তিনি আসার পর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিবেন। অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেওয়ার পর ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তার সম্মানে এক নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে। এই আয়োজন করছি আমরা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমি নিজে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছি। টেলিফোনে কথা বলার পর তিনি আমাকে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য বলেছেন এবং বলেছেন এটি মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া আমাদের পক্ষে এটি একা করা সম্ভব হতো না। প্রধানমন্ত্রী বলার কারণেই আমরা করছি। 
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এই নাগরিক সংবর্ধার আয়োজন করছেন বলে তারা দাবি করেছেন, এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. মাসুদুল হাসান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তারা দাবি করতেপ ারেন যে অনুষ্ঠান তারা করছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে নয়ব রং আমাদেরকেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব দিয়েছেন। এই জন্য আমরা করছি। 
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ম্যারিয়ট- এর হল রুম বুকিং দিয়েছে বলে দাবি করেছে, এটা কি ঠিক? মাসুদুল হাসান বলেন, হ্যাঁ,এটা ঠিক। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ হলবুকিং দিয়েছে। এটা সত্য। কিন্তু হল বুকিং তারা দিলেও আমরা অনুষ্ঠান করবো, আয়োজক আমরাই। 
তারা অনুষ্ঠানের ভেন্যু ভাড়া করলেন, সেটাতে কি আপনাদের ব্যানারে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে? হোটেল কর্তৃপক্ষই কি অ্যালাউ করবে একজনের বুকিং দেওয়া ভেন্যুতে আর একজনকে অনুষ্ঠান করতে দেওয়ার, এই বিষয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান। নাগরিক সংবর্ধনার অনুষ্ঠান। বুকিং যেই দিক অনুষ্ঠানতো একটাই। আমরাই করবো। হলের পেমেন্টের ব্যবস্থা আমরাই করবো। 
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। তবে তিনি সবার সাথে আলোচনা করে সবাইকে নিয়েই আলোচনা করেই একটি সফল অনুষ্ঠান করতে চান। এই ব্যাপারে আপনারা আলোচনায় বসে এক সাথে অনুষ্ঠান করবেন কিনা জানতে চাইলে ডা. মাসুদুল হাসান বলেন, এটি একটি সার্বজনীন অনুষ্ঠান। জননেত্রী শেখ হাসিনার সার্বজনীন নাগরিক সংবর্ধনা। সবাই এই অনুষ্ঠানে আসবেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনা নিবেন। কিন্তু অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা আমরাই। নিউইয়র্ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুর রহমান চৌধুরী (ইমদাদ)  অর্থ্যাৎ ইমদাদ চৌধুরী অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক। আর আমাকে পুরোঅনুষ্ঠান সফল করাসহ এর সব কিছু বাস্তবায়নের মনিটরিং করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সেই হিসাবেই আমি করছি। 
তিনি বলেন, মনানীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব দেয়ার কারণে অনেকেই এটা মেনে নিতে পারছেন না। পাগল হয়ে গেছেন। কিন্তু এটা হলেতো হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবং তার ইচ্ছেতেই আমরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। এই অনুষ্ঠানের সকল ব্যয়ও আমরাই বহন করবো।
ডা. মাসুদুল হাসান বলেন, আমরা চাই এই অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য। যাতে সবচেয়ে ভাল একটি অনুষ্ঠান হয় এবং সুন্দর এবং সফল হয়। কোন ধরনের ঘাটতি না থাকে। 
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা হঠাৎ সক্রিয় নেতাদের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, এখন যারা লাফালাফি করছেন তাদের অন্য সময় দেখা পাওয়া যায় না। অথচ প্রধানমন্ত্রী আসার সময় হলেই তারা জ্যাকসন হাইটসে স্যুট-টাই পরে ঘুরে বেড়ান। প্রধানমন্ত্রীর হোটেলের লবি ও চারপাশে ঘুরঘুর করেন। এসব নেতারাই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যবসা বাণিজ্য করেন। দলের দুঃসময়ে যাদের পাওয়া যায় না, সুসময়ে দুধের মাছির মত উড়ে এসে জুড়ে বসেন, তারা কখনোই দলের ভালো চান না। এদের চিহ্নিত করা উচিত। 
তারা বলেন, আগে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার মঞ্চে বসার জন্য একেকটি চেয়ার অলিখিত চড়া দামে বিক্রি হতো। যাদের দলের কর্মকাণ্ডে পাওয়া যেত না, তারা অর্থের জোরে সংবর্ধনা মঞ্চের চেয়ার কিনে প্রধানমন্ত্রীর সারিতে বসতেন। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সংবর্ধনার নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর চেয়ারের ক্রেতাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। তারা সংবর্ধনার খরচের ব্যাপারেও নীরব ভূমিকা পালন করছেন। তাদের একটি মহল এখন বেশ সক্রিয়। এরাই মূলত দুধের মাছি। 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078