২০১৫ সালের পর অনূর্ধ্ব-১৬ বয়সের টুর্নামেন্ট আর আয়োজন করেনি সাফ। মাঝের সময়টাতে অনূর্ধ্ব-১৫ বয়সের তিনটি এবং অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সের একটি আসর হয়েছে। সেই হিসাবে আজকের ফাইনালে বাংলাদেশ নেমেছিল শিরোপাধারী হিসেবে। ভারতকে আরেকবার হারিয়ে স্বপ্ন ছিল দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে এই ভারতকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের কিশোররা। তবে ভারত আট বছর আগের সেই হারের প্রতিশোধ নিল আজ। ভুটানের চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৬ আসরে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলল দক্ষিণ এশিয়ার পরাশক্তিরা।
এই টুর্নামেন্টে দুই দলের এটি ছিল দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। গ্রুপের লড়াইয়ে ভারত জিতেছিল ১-০ গোলে। প্রাধান্য বিস্তার করে সেই ম্যাচেও গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। একই ঘটনা ঘটেছে আজ। সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে আসা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা ভারতের গোলের দরজাটাই খুঁজে পায়নি অনেক চেষ্টা করেও। আক্রমণে, বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও ভারতের জমাট রক্ষণের কাছে বারবার খেই হারিয়েছে সব আক্রমণ।
তুলনায় ভারত খেলেছে কৌশলী ফুটবল। আগেভাগে লিড নিয়ে তারা মনোযোগী হয়েছে ঘর সুরক্ষায়। ভারতের সেই কৌশলকে ভুল প্রমাণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। রক্ষণের দুর্বলতায় ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই গোল হজম করে বাংলাদেশ। ভারতের ফরোয়ার্ড ল্যাভিস জাংমিনলুনের দারুণ এক থ্রু পাস ধরে আগুয়ান বাংলাদেশ কিপার নাহিদুল ইসলামের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়ান ভারত লাইরেনজাম। ধারার বিপরীতে পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া আক্রমণ চালায় বাংলাদেশ। মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা আক্রমণে গেলেও ভারতের রক্ষণভাগ তাদের কোনো সুযোগই দেয়নি।
১৪ মিনিটে নাজমুল হুদার ফ্রি-কিক পোস্টের অনেক দূর দিয়ে যায়। ৩৪ মিনিটে ভারতের মোহাম্মদ আরবাজের হেড বাংলাদেশ কিপার নাহিদুল ইসলাম এক হাত দিয়ে প্রতিহত করে প্রতিপক্ষকে ব্যবধান বাড়াতে দেননি। বিরতি থেকে ফিরেও একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বাংলাদেশের আক্রমণভাগকে বারবার হতাশ করেছে ভারতের ডিফেন্ডাররা। উল্টো ৭৩ মিনিটে বাংলাদেশের বাজে ডিফেন্ডিংয়ের সুযোগে দারুণ গোলে ভারতকে আরও এগিয়ে নেন ল্যাভিস। সতীর্থের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডারকে সহজেই পরাস্ত করে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে জমা দেন। সেই গোলেই আসলে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যাওয়া বাংলাদেশ রেফারির শেষ বাঁশির পর হতাশ চোখে দেখেছে তেরঙা পতাকা নিয়ে ভারতীয়দের শিরোপা উল্লাস।
ঠিকানা/এনআই
এই টুর্নামেন্টে দুই দলের এটি ছিল দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। গ্রুপের লড়াইয়ে ভারত জিতেছিল ১-০ গোলে। প্রাধান্য বিস্তার করে সেই ম্যাচেও গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। একই ঘটনা ঘটেছে আজ। সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে আসা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা ভারতের গোলের দরজাটাই খুঁজে পায়নি অনেক চেষ্টা করেও। আক্রমণে, বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও ভারতের জমাট রক্ষণের কাছে বারবার খেই হারিয়েছে সব আক্রমণ।
তুলনায় ভারত খেলেছে কৌশলী ফুটবল। আগেভাগে লিড নিয়ে তারা মনোযোগী হয়েছে ঘর সুরক্ষায়। ভারতের সেই কৌশলকে ভুল প্রমাণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। রক্ষণের দুর্বলতায় ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই গোল হজম করে বাংলাদেশ। ভারতের ফরোয়ার্ড ল্যাভিস জাংমিনলুনের দারুণ এক থ্রু পাস ধরে আগুয়ান বাংলাদেশ কিপার নাহিদুল ইসলামের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়ান ভারত লাইরেনজাম। ধারার বিপরীতে পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া আক্রমণ চালায় বাংলাদেশ। মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা আক্রমণে গেলেও ভারতের রক্ষণভাগ তাদের কোনো সুযোগই দেয়নি।
১৪ মিনিটে নাজমুল হুদার ফ্রি-কিক পোস্টের অনেক দূর দিয়ে যায়। ৩৪ মিনিটে ভারতের মোহাম্মদ আরবাজের হেড বাংলাদেশ কিপার নাহিদুল ইসলাম এক হাত দিয়ে প্রতিহত করে প্রতিপক্ষকে ব্যবধান বাড়াতে দেননি। বিরতি থেকে ফিরেও একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বাংলাদেশের আক্রমণভাগকে বারবার হতাশ করেছে ভারতের ডিফেন্ডাররা। উল্টো ৭৩ মিনিটে বাংলাদেশের বাজে ডিফেন্ডিংয়ের সুযোগে দারুণ গোলে ভারতকে আরও এগিয়ে নেন ল্যাভিস। সতীর্থের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডারকে সহজেই পরাস্ত করে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে জমা দেন। সেই গোলেই আসলে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যাওয়া বাংলাদেশ রেফারির শেষ বাঁশির পর হতাশ চোখে দেখেছে তেরঙা পতাকা নিয়ে ভারতীয়দের শিরোপা উল্লাস।
ঠিকানা/এনআই