নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : জ্যামাইকায় অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটছে। সেখানকার বাড়িগুলো কিছুটা দূরে দূরে। বেশির ভাগ মানুষ ব্যস্ত থাকেন কাজকর্ম নিয়ে। যেসব পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে থাকেন, তাদের বেশির ভাগই ব্যস্ত থাকেন। কাজের জন্য তারা সাধারণত ঘরের বাইরেই বেশি সময় অতিবাহিত করেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, কোনো কোনো বাসায় রাত ১০টা পর্যন্ত দেখা যায় কেউ বাসায় থাকেন না। ফলে বাসা খালি থাকায় চোরদের পক্ষে চুরি করা অনেক সহজ হয়। সাধারণত এসব বাড়ির ওপর চোরেরা নজর রাখে। তারা মার্ক করে রাখে, কে কখন বাসায় থাকে আর কে কখন বাইরে যায়। তারা কতক্ষণ বাইরে থাকে। কয়েক দিন দেখার পর তারা চুরির পরিকল্পনা সফল করে থাকে বলে ধারণা করছেন চুরির শিকার হওয়া মানুষ।
ঘটনার শিকার হয়েছেন এমন একটি সূত্র জানান, কিছুদিন আগে আমার বাসায় চুরি হয়েছে। আমি জ্যামাইকায় থাকি। এটি নিরাপদ এলাকা। আগে কখনো এখানে চুরির ঘটনা ঘটত না। এখন প্রায়ই ঘটছে। চুরির ঘটনা ঘটলেও কিছুই করা যাচ্ছে না। কারণ যারা চুরি করে, তারাও এটা জানে যে ওই বাড়ির কোন কোন স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কেমন করে সংগ্রহ করা হতে পারে। তারা এটাও জানে, ওই সিটি টিভি বিকল করতে হলে অথবা তাদের ছবি যাতে না ওঠে, সে জন্য কী করতে হবে। আবার তারা যে বাড়িতে চুরি করে, ওই বাড়ির সিসি ক্যামেরা আগেই নষ্ট করে। সেই সঙ্গে আশপাশের কোনো বাসায়ও যাতে সিসিটিভির ফুটেজ না পাওয়া যায়, সে জন্য তারা কৌশল করে। ফলে সব চুরির ঘটনার ভিডিওচিত্র পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ও মেয়ে কাজ করেন। চুরির ঘটনার দিন তারা রাতে বাসায় আসেন। আমিও ওইদিন বাসায় ছিলাম না, আমরা সবাই বাইরে ছিলাম। এই সুযোগে চোরেরা বাসায় এসে মূল্যবান সব জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এর মধ্যে সোনার গহনা থেকে শুরু করে নগদ অর্থও ছিল। চোরদের মূল লক্ষ্য হলো স্বর্ণালংকারসহ দামি গহনা এবং নগদ অর্থ। তিনি বলেন, বাংলাদেশি পরিবারের বেশির ভাগ বাসায়ই নগদ কিছু অর্থ থাকে। এটা চোরদের ধারণা হয়ে গেছে। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলেও বাংলাদেশি আমেরিকানরা কমবেশি সবার ঘরেই বিপদ-আপদের জন্য নগদ অর্থ রাখেন। ফলে এ ধরনের বাসাগুলোতে চুরি হয়। তিনি বলেন, চুরির ঘটনার পর এ নিয়ে আমরা পুলিশে রিপোর্টও করেছি।
অন্য একটি সূত্র জানান, তার বন্ধু জ্যামাইকায় থাকেন। তারা পাশাপাশি থাকেন। তিনি একজন অ্যারাবিয়ান ব্যবসায়ী। তার অঢেল অর্থবিত্ত। ফলে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ তাদের ঘরে সব সময়ই থাকে। ওই বন্ধুর বাসায়ও ছিল। তারা বেশির ভাগ সময়ই বাসার বাইরে থাকেন। চোরেরা মার্ক করেছে যে তারা কখন থাকেন না। ফলে চোরেরা ওই সময়ে বাসায় আসে এবং সেখান থেকে নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। যে পরিমাণ ডলার তাদের বাসা থেকে চুরি হয়েছে, তা দিয়ে জ্যামাইকায় একটি বাড়ি কেনা যাবে। ঘটনার পর তিনি পুলিশে রিপোর্ট করেননি। এর কারণ প্রথমেই প্রশ্ন আসবে এত অর্থ তিনি কোথায় পেয়েছেন আর কেনই-বা নগদে রেখেছিলেন। এতে ঝামেলা বাড়তে পারে মনে করে তিনি আর সেদিকে যাননি। আর ইন্স্যুরেন্সও ক্লেম করেননি।
জ্যামাইকায় চুরির বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন সেখানকার কিছু কিছু বাসিন্দা। কারণ চুরির সব ঘটনার রিপোর্ট না হওয়ায় অনেকেই জানতে পারছেন না। অনেকে চুরির ঘটনা চেপে যাচ্ছেন। ফলে চোরেরা চুরি করতে উৎসাহ পাচ্ছে। তবে ভেতরে ভেতরে জ্যামাইকার বাসিন্দারা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। অপরিচিত কেউ বাসার সামনে হাঁটাচলা করলে এবং সন্দেহজনক কিছু করলে তার দিকে নজর রাখছেন। যেসব বাড়ির সব এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নেই, সেসব জায়গায়ও সিটি টিভি লাগাচ্ছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের পরিচালনা পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি আবতাব মান্নান। তিনি বলেন, জ্যামাইকা অত্যন্ত নিরাপদ এলাকা। সেখানে নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থাও আছে। আগে আমাদের এলাকায় চুরি হতো না। এখন চুরির ঘটনা ঘটছে। আমার বাড়িতেও চুরি হয়েছে। এতে আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, চুরি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। জ্যামাইকায় এখন অনেক অপরিচিত মানুষ এসেছে। এরা কারা কেউ জানে না। আবার অনথিভুক্ত অনেক মানুষেকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকেও মানুষ আসতে পারে। এটাও আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। সিটি মেয়রের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
ঘটনার শিকার হয়েছেন এমন একটি সূত্র জানান, কিছুদিন আগে আমার বাসায় চুরি হয়েছে। আমি জ্যামাইকায় থাকি। এটি নিরাপদ এলাকা। আগে কখনো এখানে চুরির ঘটনা ঘটত না। এখন প্রায়ই ঘটছে। চুরির ঘটনা ঘটলেও কিছুই করা যাচ্ছে না। কারণ যারা চুরি করে, তারাও এটা জানে যে ওই বাড়ির কোন কোন স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কেমন করে সংগ্রহ করা হতে পারে। তারা এটাও জানে, ওই সিটি টিভি বিকল করতে হলে অথবা তাদের ছবি যাতে না ওঠে, সে জন্য কী করতে হবে। আবার তারা যে বাড়িতে চুরি করে, ওই বাড়ির সিসি ক্যামেরা আগেই নষ্ট করে। সেই সঙ্গে আশপাশের কোনো বাসায়ও যাতে সিসিটিভির ফুটেজ না পাওয়া যায়, সে জন্য তারা কৌশল করে। ফলে সব চুরির ঘটনার ভিডিওচিত্র পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ও মেয়ে কাজ করেন। চুরির ঘটনার দিন তারা রাতে বাসায় আসেন। আমিও ওইদিন বাসায় ছিলাম না, আমরা সবাই বাইরে ছিলাম। এই সুযোগে চোরেরা বাসায় এসে মূল্যবান সব জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এর মধ্যে সোনার গহনা থেকে শুরু করে নগদ অর্থও ছিল। চোরদের মূল লক্ষ্য হলো স্বর্ণালংকারসহ দামি গহনা এবং নগদ অর্থ। তিনি বলেন, বাংলাদেশি পরিবারের বেশির ভাগ বাসায়ই নগদ কিছু অর্থ থাকে। এটা চোরদের ধারণা হয়ে গেছে। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলেও বাংলাদেশি আমেরিকানরা কমবেশি সবার ঘরেই বিপদ-আপদের জন্য নগদ অর্থ রাখেন। ফলে এ ধরনের বাসাগুলোতে চুরি হয়। তিনি বলেন, চুরির ঘটনার পর এ নিয়ে আমরা পুলিশে রিপোর্টও করেছি।
অন্য একটি সূত্র জানান, তার বন্ধু জ্যামাইকায় থাকেন। তারা পাশাপাশি থাকেন। তিনি একজন অ্যারাবিয়ান ব্যবসায়ী। তার অঢেল অর্থবিত্ত। ফলে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ তাদের ঘরে সব সময়ই থাকে। ওই বন্ধুর বাসায়ও ছিল। তারা বেশির ভাগ সময়ই বাসার বাইরে থাকেন। চোরেরা মার্ক করেছে যে তারা কখন থাকেন না। ফলে চোরেরা ওই সময়ে বাসায় আসে এবং সেখান থেকে নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। যে পরিমাণ ডলার তাদের বাসা থেকে চুরি হয়েছে, তা দিয়ে জ্যামাইকায় একটি বাড়ি কেনা যাবে। ঘটনার পর তিনি পুলিশে রিপোর্ট করেননি। এর কারণ প্রথমেই প্রশ্ন আসবে এত অর্থ তিনি কোথায় পেয়েছেন আর কেনই-বা নগদে রেখেছিলেন। এতে ঝামেলা বাড়তে পারে মনে করে তিনি আর সেদিকে যাননি। আর ইন্স্যুরেন্সও ক্লেম করেননি।
জ্যামাইকায় চুরির বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন সেখানকার কিছু কিছু বাসিন্দা। কারণ চুরির সব ঘটনার রিপোর্ট না হওয়ায় অনেকেই জানতে পারছেন না। অনেকে চুরির ঘটনা চেপে যাচ্ছেন। ফলে চোরেরা চুরি করতে উৎসাহ পাচ্ছে। তবে ভেতরে ভেতরে জ্যামাইকার বাসিন্দারা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। অপরিচিত কেউ বাসার সামনে হাঁটাচলা করলে এবং সন্দেহজনক কিছু করলে তার দিকে নজর রাখছেন। যেসব বাড়ির সব এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নেই, সেসব জায়গায়ও সিটি টিভি লাগাচ্ছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের পরিচালনা পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি আবতাব মান্নান। তিনি বলেন, জ্যামাইকা অত্যন্ত নিরাপদ এলাকা। সেখানে নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থাও আছে। আগে আমাদের এলাকায় চুরি হতো না। এখন চুরির ঘটনা ঘটছে। আমার বাড়িতেও চুরি হয়েছে। এতে আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, চুরি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। জ্যামাইকায় এখন অনেক অপরিচিত মানুষ এসেছে। এরা কারা কেউ জানে না। আবার অনথিভুক্ত অনেক মানুষেকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকেও মানুষ আসতে পারে। এটাও আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। সিটি মেয়রের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।