অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ে বিশ্বের সব দেশেই কমবেশি আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক হয়। গণতান্ত্রিক দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরেও আলোচনা হয়। সমাজতান্ত্রিক, ইসলামিক বা একনায়কতান্ত্রিক দেশের অভ্যন্তরে রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে সাধারণ্যে আলোচনা নিষিদ্ধ থাকলেও বহির্বিশ্বে আলোচনা বন্ধ থাকে না। বিশ্ববাসী সেসব আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক থেকেই যতটুকু জানার সুযোগ পায়। তবে প্রকাশ্যে আলোচনা করার সুযোগ থাক বা না থাক, সাধারণ মানুষ সবকিছু জানতে পারুক বা না পারুক, ‘চোখ বন্ধ রাখলেই প্রলয় বন্ধ থাকে না’র মতো যা বাস্তব, তা সর্বাবস্থাতেই বাস্তব। শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায় না, তেমনি জেল-জুলুম, নিপীড়নের ভয় দেখিয়ে সবকিছু লুকিয়ে রাখা যায় না।
বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে অর্থনীতি, রাজনীতি নিয়ে কথাবার্তা একটু বেশিই হয়। তা সে দেশের ভেতরে যেমন, দেশের বাইরেও তেমন। রাজনীতির উত্তাপ যেমন রাজপথে ছড়িয়ে পড়ে, তেমনি বাইরের দেশগুলোতেও সেই উত্তাপের আঁচ লাগে। অনেকে নাক গলানোরও সুযোগ পায়। বিশেষ করে, নির্বাচনের ডামাডোল, নির্বাচন নিয়ে হাঙ্গামা, মিটিং-মিছিল, রক্তপাত-জীবনহানি, ভাঙচুরÑএসব কেবল দেশের মানুষকেই আতঙ্কিত করে তোলে না, বিশ্বপল্লির যুগে বিশ্বকেও স্পর্শ করে। তারাও উদ্বিগ্ন হয়। তারাও নাক গলানোর সুযোগ পায়। পরিস্থিতির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের উদ্যোগ নেয়। অনেক সময় তাদের এই উদ্যোগ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে শুধু হস্তক্ষেপই করে ফেলে না, আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম স্ট্যাটাসকে আঘাতও করে ফেলে।
আর অর্থনীতির হালচাল দেশের মানুষ তাদের জীবন দিয়েই বুঝতে পারেন। তাদের পকেট পুড়ে যায়। জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। খেয়েপরে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। বাজার তাদের কাছে একটা আতঙ্কের জায়গা হয়ে দাঁড়ায়। প্রোটিনের অভাবে ছোট ছেলেমেয়েরা অপুষ্টিতে ভুগে এবং ভবিষ্যতে একটি স্বাস্থ্যহীন প্রজন্ম উপহার দেয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে না। কালো অর্থনীতির দাপটে বৈধ অর্থনীতি অসহায়। মাফিয়া চক্র, গডফাদার, কালোবাজারি, মধ্যস্বত্বভোগীদের দখলে বাজার-ব্যবস্থা। কথা হয় প্রায়ই, বাংলাদেশের রাজনীতি-অর্থনীতি কোন পথে। সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে বড় বড় অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী, সমাজ-সংস্কারক ভালো ভালো কথা বলেন, বাস্তবায়নে সেসব কথা এবং পরামর্শ কাগজেই থেকে যায়। বাস্তবের আলো দেখতে পায় না।
উপরে এতগুলো কথা নতুন করে বলতে হলো গত ৩০ আগস্ট প্রকাশিত ঠিকানার প্রথম পাতায় নিচের দিকে ছোট শিরোনামে প্রকাশিত একটি খবরকে কেন্দ্র করে। ‘দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি কোন পথে’ শিরোনামের খবরটিতে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভুল পথে যাচ্ছে বলে মনে করেন আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ। বেশির ভাগ মানুষ বলেছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি তাদের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।’ দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক জরিপে দেশের মানুষের এই মতামত উঠে এসেছে।
বিআইজিডির জরিপে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দেশের অর্থনীতি ভুল দিকে এগোচ্ছে এবং ৪৮ শতাংশ মানুষ দেশের রাজনীতি ভুল পথে চলছে বলে মনে করেন। দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে মানুষের ধারণা জানতে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৩ সালের অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে পরিচালিত জরিপটিতে ৬৪ জেলার ১০ হাজার ২৪০ জন নারী-পুরুষ অংশ নেন। গত আগস্ট মাসের ২৯ তারিখ জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
রাজনীতিতে এক দলের একচ্ছত্র আধিপত্য মানুষ পছন্দ করতে পারছে না বলেই জরিপের এই ফলাফল বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা এবং লাগামহীন বাজার-ব্যবস্থায় মানুষজন ইতিবাচকতা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছা এবং সতর্ক করে দেওয়ার পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় জনমনে আরও বেশি হতাশা নেমে এসেছে।
যেকোনোভাবেই হোক মানুষ এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে মরিয়া। অভিজ্ঞজনেরা মনে করছেন, পরিস্থিতির অবনতি ছাড়া উন্নতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে উন্নতি না হলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে।
বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে অর্থনীতি, রাজনীতি নিয়ে কথাবার্তা একটু বেশিই হয়। তা সে দেশের ভেতরে যেমন, দেশের বাইরেও তেমন। রাজনীতির উত্তাপ যেমন রাজপথে ছড়িয়ে পড়ে, তেমনি বাইরের দেশগুলোতেও সেই উত্তাপের আঁচ লাগে। অনেকে নাক গলানোরও সুযোগ পায়। বিশেষ করে, নির্বাচনের ডামাডোল, নির্বাচন নিয়ে হাঙ্গামা, মিটিং-মিছিল, রক্তপাত-জীবনহানি, ভাঙচুরÑএসব কেবল দেশের মানুষকেই আতঙ্কিত করে তোলে না, বিশ্বপল্লির যুগে বিশ্বকেও স্পর্শ করে। তারাও উদ্বিগ্ন হয়। তারাও নাক গলানোর সুযোগ পায়। পরিস্থিতির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের উদ্যোগ নেয়। অনেক সময় তাদের এই উদ্যোগ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে শুধু হস্তক্ষেপই করে ফেলে না, আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম স্ট্যাটাসকে আঘাতও করে ফেলে।
আর অর্থনীতির হালচাল দেশের মানুষ তাদের জীবন দিয়েই বুঝতে পারেন। তাদের পকেট পুড়ে যায়। জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। খেয়েপরে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। বাজার তাদের কাছে একটা আতঙ্কের জায়গা হয়ে দাঁড়ায়। প্রোটিনের অভাবে ছোট ছেলেমেয়েরা অপুষ্টিতে ভুগে এবং ভবিষ্যতে একটি স্বাস্থ্যহীন প্রজন্ম উপহার দেয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে না। কালো অর্থনীতির দাপটে বৈধ অর্থনীতি অসহায়। মাফিয়া চক্র, গডফাদার, কালোবাজারি, মধ্যস্বত্বভোগীদের দখলে বাজার-ব্যবস্থা। কথা হয় প্রায়ই, বাংলাদেশের রাজনীতি-অর্থনীতি কোন পথে। সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে বড় বড় অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী, সমাজ-সংস্কারক ভালো ভালো কথা বলেন, বাস্তবায়নে সেসব কথা এবং পরামর্শ কাগজেই থেকে যায়। বাস্তবের আলো দেখতে পায় না।
উপরে এতগুলো কথা নতুন করে বলতে হলো গত ৩০ আগস্ট প্রকাশিত ঠিকানার প্রথম পাতায় নিচের দিকে ছোট শিরোনামে প্রকাশিত একটি খবরকে কেন্দ্র করে। ‘দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি কোন পথে’ শিরোনামের খবরটিতে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভুল পথে যাচ্ছে বলে মনে করেন আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ। বেশির ভাগ মানুষ বলেছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি তাদের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।’ দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক জরিপে দেশের মানুষের এই মতামত উঠে এসেছে।
বিআইজিডির জরিপে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দেশের অর্থনীতি ভুল দিকে এগোচ্ছে এবং ৪৮ শতাংশ মানুষ দেশের রাজনীতি ভুল পথে চলছে বলে মনে করেন। দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে মানুষের ধারণা জানতে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৩ সালের অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে পরিচালিত জরিপটিতে ৬৪ জেলার ১০ হাজার ২৪০ জন নারী-পুরুষ অংশ নেন। গত আগস্ট মাসের ২৯ তারিখ জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
রাজনীতিতে এক দলের একচ্ছত্র আধিপত্য মানুষ পছন্দ করতে পারছে না বলেই জরিপের এই ফলাফল বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা এবং লাগামহীন বাজার-ব্যবস্থায় মানুষজন ইতিবাচকতা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছা এবং সতর্ক করে দেওয়ার পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় জনমনে আরও বেশি হতাশা নেমে এসেছে।
যেকোনোভাবেই হোক মানুষ এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে মরিয়া। অভিজ্ঞজনেরা মনে করছেন, পরিস্থিতির অবনতি ছাড়া উন্নতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে উন্নতি না হলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে।