গণভোট ও জুলাই আদেশ ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চায় জামায়াত 

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৫ , অনলাইন ভার্সন
নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন ও দ্রুত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির দাবিতে অনড় অবস্থান বজায় রেখেছে জামায়াতে ইসলামী। এ লক্ষ্য সামনে রেখে দলটি মাঠের কর্মসূচি জোরদার করার পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

দলটির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির বিষয়ে কথা বলার জন্য গত বৃহস্পতিবার জামায়াত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ চেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সময় দেওয়া হয়নি।

জামায়াতের অবস্থান, নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজনের জন্য এখনই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি জরুরি। কিন্তু সরকার সময়ক্ষেপণ করছে, যা গণভোট অনিশ্চিত করে তুলছে। ফলে দলটির নেতারা এখন সরকারের অবস্থান বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন।

দলটির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যদি আমাদের এমন অবস্থায় ঠেলে দেওয়া হয় যে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়, তবে প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব।’

জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, লন্ডন বৈঠকের পর থেকে সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার প্রভাবে সরকারপ্রধান বিএনপির প্রতি ঝুঁকেছেন। তাদের মতে, জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনসহ সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলো বিএনপির দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। গণভোটের ক্ষেত্রেও সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা বিএনপির অবস্থানকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে তারা মনে করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের এক নেতা বলেন, ‘সরকার এখন একটি দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে। এমন পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, এতে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা হারাচ্ছে।’

গণভোটের সময় ও ধরন নিয়েও বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। বিএনপি বলছে, জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে—দুটি ব্যালটে। অন্যদিকে জামায়াতের দাবি, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর আলাদা সময়ে গণভোট আয়োজন করতে হবে, তারপর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন।

ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘একটি মহল নির্বাচন বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্র করছে।’

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজন সংস্কার বাস্তবায়নকে গুরুত্বহীন করে দেবে, এতে কার্যত সংস্কার প্রক্রিয়া ভণ্ডুল হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নজরে রাখছি। সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করছি। জামায়াত রাষ্ট্রসংস্কারে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। এ পথে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে আমরা মাঠে থাকব।’

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041