মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের এখন দুটি ইস্যু। দুটি ইস্যু কি একটি অন্যটির পরিপূরক নাকি দুটি ইস্যু বিনিময় হিসেবে ব্যবহৃত হবেÑএটি এখন কূটনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। গত দুই বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছিল। এ জন্য তারা সরকারের ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপও প্রয়োগ করেছিল। গত ২৪ মে এ নিয়ে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এই নির্বাচনে যেন সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটাও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।
এ রকম একটি পরিস্থিতি নিয়ে যখন বাংলাদেশের ওপর অব্যাহত চাপ দেওয়া হচ্ছে, ঠিক সেই সময় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস ইস্যুটি সামনে এসেছে। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে মামলা এখন নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি (বিবৃতি) পাঠিয়েছেন বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ১৬০ ব্যক্তি। তাদের মধ্যে ১০৭ জন নোবেলজয়ী রয়েছেন। শিকাগোভিত্তিক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান সিজিয়ন পিআর নিউজওয়্যার তাদের ওয়েবসাইটে গত ২৮ আগস্ট এই চিঠি প্রকাশ করে। প্রশ্ন হলো, এই দুটি ইস্যুর মধ্যে কোনটিকে প্রাধান্য দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কূটনীতিকেরা মনে করছেন, দুটি ইস্যু সম্পূর্ণ ভিন্ন। একটির সঙ্গে অন্যটির সম্পর্ক নেই। নির্বাচনের ব্যাপারে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অনড়, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়, ঠিক তেমনি ইউনূসের ব্যাপারেও তারা অনমনীয় অবস্থানে আছে। তারা মনে করেন, ড. ইউনূসের বিচারগুলো যেন স্থগিত করা হয়। আবার কোনো কোনো কূটনীতিক মনে করছেন, নির্বাচনের ইস্যু এবং ড. ইউনূস ইস্যু একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে চাপে ফেলার জন্য বা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানোর জন্য দুটি ইস্যুকে সমান্তরালভাবে সামনে আনা হয়েছে। তবে কোনো কোনো কূটনীতিক মনে করছেন, ড. ইউনূস ইস্যুটি আসলে দর-কষাকষির উপায়। যদি ড. ইউনূসের মামলা স্থগিত করা হয় বা মামলাগুলোকে আড়াল করা হয় কিংবা মামলাগুলোর ব্যাপারে সরকার নমনীয় নীতি গ্রহণ করে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের যে প্রস্তাব সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ ইউনূসের মামলা বা অন্য বিষয়গুলোর ব্যাপারে সরকারের অবস্থান নরম হলে নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও নরম হবে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা সরকার করেনি। এটি শ্রমিকেরা করেছে। আর বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। বিচার বিভাগের ওপর কোনো রকম হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার সরকারের নেই। সরকার দুটি ইস্যুর কোনোটি থেকেই সরে দাঁড়াবে না।
এ রকম একটি পরিস্থিতি নিয়ে যখন বাংলাদেশের ওপর অব্যাহত চাপ দেওয়া হচ্ছে, ঠিক সেই সময় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস ইস্যুটি সামনে এসেছে। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে মামলা এখন নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি (বিবৃতি) পাঠিয়েছেন বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ১৬০ ব্যক্তি। তাদের মধ্যে ১০৭ জন নোবেলজয়ী রয়েছেন। শিকাগোভিত্তিক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান সিজিয়ন পিআর নিউজওয়্যার তাদের ওয়েবসাইটে গত ২৮ আগস্ট এই চিঠি প্রকাশ করে। প্রশ্ন হলো, এই দুটি ইস্যুর মধ্যে কোনটিকে প্রাধান্য দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কূটনীতিকেরা মনে করছেন, দুটি ইস্যু সম্পূর্ণ ভিন্ন। একটির সঙ্গে অন্যটির সম্পর্ক নেই। নির্বাচনের ব্যাপারে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অনড়, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়, ঠিক তেমনি ইউনূসের ব্যাপারেও তারা অনমনীয় অবস্থানে আছে। তারা মনে করেন, ড. ইউনূসের বিচারগুলো যেন স্থগিত করা হয়। আবার কোনো কোনো কূটনীতিক মনে করছেন, নির্বাচনের ইস্যু এবং ড. ইউনূস ইস্যু একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে চাপে ফেলার জন্য বা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানোর জন্য দুটি ইস্যুকে সমান্তরালভাবে সামনে আনা হয়েছে। তবে কোনো কোনো কূটনীতিক মনে করছেন, ড. ইউনূস ইস্যুটি আসলে দর-কষাকষির উপায়। যদি ড. ইউনূসের মামলা স্থগিত করা হয় বা মামলাগুলোকে আড়াল করা হয় কিংবা মামলাগুলোর ব্যাপারে সরকার নমনীয় নীতি গ্রহণ করে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের যে প্রস্তাব সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ ইউনূসের মামলা বা অন্য বিষয়গুলোর ব্যাপারে সরকারের অবস্থান নরম হলে নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও নরম হবে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা সরকার করেনি। এটি শ্রমিকেরা করেছে। আর বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। বিচার বিভাগের ওপর কোনো রকম হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার সরকারের নেই। সরকার দুটি ইস্যুর কোনোটি থেকেই সরে দাঁড়াবে না।