যুক্তরাষ্ট্রে চলমান শাটডাউন কারণে আগামী নভেম্বর থেকেই দেশটির চার কোটি মানুষের খাদ্য সহায়তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)।
বিভাগটি জানিয়েছে, ‘মূল কথা হলো—তহবিল শেষ।’ তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নোটিশে বলা হয়, সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের ‘অচলাবস্থা তৈরির’ কারণেই এই সংকট তৈরি হয়েছে। খবর বিবিসির।
বর্তমানে ‘সাপ্লিমেন্টাল নিউট্রিশন অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম’ (এসএনএপি) যুক্তরাষ্ট্রে চার কোটির বেশি মানুষ ব্যবহার করে থাকেন, যা মূলত নিম্নআয়ের পরিবারগুলোর জন্য খাদ্য কেনার সহায়তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এই মাসের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন জরুরি তহবিল ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা ব্যবহার করা হলে নভেম্বরে খাদ্য সুবিধা অব্যাহত রাখা যেত। প্রশাসন দাবি করে, ওই অর্থ ভবিষ্যতের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো জরুরি পরিস্থিতির জন্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
ডেমোক্র্যাট নেতারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে ‘নিষ্ঠুর ও অবৈধ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। কংগ্রেস সদস্য রোসা ডেলরো ও অ্যাঞ্জি ক্রেগ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি ট্রাম্প প্রশাসনের এখন পর্যন্ত নেওয়া সবচেয়ে নির্মম এবং বেআইনি সিদ্ধান্তগুলোর একটি।’
তারা একই সঙ্গে অভিযোগ করেন, ট্রাম্প বিদেশে (আর্জেন্টিনায়) সহায়তা পাঠাচ্ছেন এবং সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকা সত্ত্বেও হোয়াইট হাউসের নতুন বলরুম নির্মাণে অর্থ ব্যয় করছেন।
ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রলিন্স-এর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এসএনএপি তহবিলের জরুরি রিজার্ভে এখনো উল্লেখযোগ্য অর্থ রয়েছে যা নভেম্বরে প্রোগ্রাম চালাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কিন্তু রলিন্স পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন— ‘এই তহবিল শুধুমাত্র প্রকৃত জরুরি পরিস্থিতিতে, যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে, ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত।’
একটি চার সদস্যের পরিবার গড়ে মাসে প্রায় ৭১৫ ডলার (প্রতি ব্যক্তি দৈনিক প্রায় ৬ ডলার) খাদ্য সহায়তা পায়। কিন্তু সরকারি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেলে এই সহায়তা ঝুঁকিতে পড়বে।
কিছু রাজ্য তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে সাময়িক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ স্পষ্ট জানিয়েছে—এই ব্যয় ফেরত দেওয়া হবে না।
ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের প্রায় ১০ লাখ মানুষ এ সুবিধার ওপর নির্ভরশীল। রাজ্যটি বলেছে, তাদের নিজেদের তহবিল এই ঘাটতি পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়।
খাদ্য বিতরণে সহায়তার জন্য ক্যালিফোর্নিয়া ইতোমধ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রম স্থগিতের আজ ২৬তম দিন, যা দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘতম শাটডাউন হিসেবে রেকর্ড হয়েছে।
ঠিকানা/এএ
বিভাগটি জানিয়েছে, ‘মূল কথা হলো—তহবিল শেষ।’ তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নোটিশে বলা হয়, সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের ‘অচলাবস্থা তৈরির’ কারণেই এই সংকট তৈরি হয়েছে। খবর বিবিসির।
বর্তমানে ‘সাপ্লিমেন্টাল নিউট্রিশন অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম’ (এসএনএপি) যুক্তরাষ্ট্রে চার কোটির বেশি মানুষ ব্যবহার করে থাকেন, যা মূলত নিম্নআয়ের পরিবারগুলোর জন্য খাদ্য কেনার সহায়তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এই মাসের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন জরুরি তহবিল ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা ব্যবহার করা হলে নভেম্বরে খাদ্য সুবিধা অব্যাহত রাখা যেত। প্রশাসন দাবি করে, ওই অর্থ ভবিষ্যতের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো জরুরি পরিস্থিতির জন্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
ডেমোক্র্যাট নেতারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে ‘নিষ্ঠুর ও অবৈধ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। কংগ্রেস সদস্য রোসা ডেলরো ও অ্যাঞ্জি ক্রেগ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি ট্রাম্প প্রশাসনের এখন পর্যন্ত নেওয়া সবচেয়ে নির্মম এবং বেআইনি সিদ্ধান্তগুলোর একটি।’
তারা একই সঙ্গে অভিযোগ করেন, ট্রাম্প বিদেশে (আর্জেন্টিনায়) সহায়তা পাঠাচ্ছেন এবং সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকা সত্ত্বেও হোয়াইট হাউসের নতুন বলরুম নির্মাণে অর্থ ব্যয় করছেন।
ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রলিন্স-এর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এসএনএপি তহবিলের জরুরি রিজার্ভে এখনো উল্লেখযোগ্য অর্থ রয়েছে যা নভেম্বরে প্রোগ্রাম চালাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কিন্তু রলিন্স পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন— ‘এই তহবিল শুধুমাত্র প্রকৃত জরুরি পরিস্থিতিতে, যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে, ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত।’
একটি চার সদস্যের পরিবার গড়ে মাসে প্রায় ৭১৫ ডলার (প্রতি ব্যক্তি দৈনিক প্রায় ৬ ডলার) খাদ্য সহায়তা পায়। কিন্তু সরকারি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেলে এই সহায়তা ঝুঁকিতে পড়বে।
কিছু রাজ্য তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে সাময়িক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ স্পষ্ট জানিয়েছে—এই ব্যয় ফেরত দেওয়া হবে না।
ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের প্রায় ১০ লাখ মানুষ এ সুবিধার ওপর নির্ভরশীল। রাজ্যটি বলেছে, তাদের নিজেদের তহবিল এই ঘাটতি পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়।
খাদ্য বিতরণে সহায়তার জন্য ক্যালিফোর্নিয়া ইতোমধ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রম স্থগিতের আজ ২৬তম দিন, যা দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘতম শাটডাউন হিসেবে রেকর্ড হয়েছে।
ঠিকানা/এএ