রাজনীতিতে তৃতীয় স্রোত কি অবশ্যম্ভাবী

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৪৪ , অনলাইন ভার্সন
‘সত্য কথায় ভাত নাই’-এটি একটি বাংলা প্রবাদ, যা দীর্ঘকাল ধরে শুনে আসছি। যদিও এটি বহুল আলোচিত প্রবাদ, তবু বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। তোষামোদ বা প্রশংসাসূচক বক্তব্য না বলে সত্য কথা যার উদ্দেশে বলা হয়, তিনি সত্যকে আমলে নেন না। বরং যিনি বলেন, তার প্রতি বিরাগ বা বিরক্ত হন, এটাই বাস্তবতা।

সম্প্রতি (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০২৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিএনপিপন্থী ছাত্রদল প্যানেলকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে জামায়াতে ইসলামীপন্থী ছাত্রশিবির প্যানেলের ভূমিধস বিজয়ে অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। টক শো, বিভিন্ন মিডিয়াসহ সর্বত্র আলোচনার ঝড় বইছে এবং আলোচনার বিষয় একটাই-তা হলো ‘জামায়াতপন্থীরা এত ভোট পেল কেন?’

বেশি দিন হয়নি, মাত্র দুই মাস আগে বিএনপির সিনিয়র নেতা, ভাইস চেয়ারম্যান, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা দখল করেছি টেম্পু স্ট্যান্ড, বাস স্ট্যান্ড ও লঞ্চঘাট; অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী দখল করেছে ইউনিভার্সিটি।’
শেষ পর্যন্ত চৌধুরী সাহেবের দেওয়া তথ্যই সত্য বলে প্রমাণিত হলো। যদি তার কথা শীর্ষ নেতৃত্ব আমলে নিতেন, তাহলে জনপ্রিয় দলের বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতির ভরাডুবি হতো না।

বাংলাদেশে কোনো কথা/পরামর্শ/আলোচনা-সমালোচনা যদি শীর্ষ নেতার মনমতো না হয়, তাহলে বক্তাকেই ‘সাইজ’ হতে হয়! যেমন অনেক জনপ্রিয় নেতা বড় দলের রাজনীতিতে সাইজ হয়েছেন। বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ, ড. কামাল হোসেন, মোস্তফা মহসীন মন্টু, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) আওয়ামী লীগ থেকে ছিটকে পড়েছেন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রথম স্থায়ী কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কর্নেল ড. অলি আহমদ, তানভীর আহাম্মদ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাসহ জনপ্রিয় নেতারা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তুলে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মন্ত্রিত্ব হারিয়ে পরবর্তীতে তিনবার বহিষ্কৃত হয়েছেন।
অন্যান্য বড় দলেও একই অবস্থা। কে কখন দলের উঁচু তলায়, কে কখন নিচু তলায় বা ছিটকে পড়ে-তা শীর্ষ নেতার মন-মর্জির ওপর নির্ভর করে। আর এ কারণেই বড় দলগুলো ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে’ পরিণত হয়েছে। ফলে একজনকে খুশি রাখতে পারলেই বাজিমাত!
আমার আলোচনার বিষয়বস্তু এখানেই শেষ নয়। আমাদের দেশের রাজনীতি কোন দিকে এগোচ্ছে, এটাই পর্যালোচনার বিষয়।
সম্প্রতি বিদায়ী/পতিত প্রধানমন্ত্রী-কন্যা পুতুলের একটি ভিডিও বার্তা ভাইরাল হয়েছে। তার বক্তব্য মতে, দলীয় প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ এবং আত্মীয়স্বজনেরাই তার মাকে (শেখ হসিনা) ভালো পরামর্শ দেওয়ার পরিবর্তে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে বিদেশে পালিয়েছে, যা তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা করেনি।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে-প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ ছাড়া কি লুটপাট, স্বেচ্ছাচারিতা সম্ভব হয়েছে?
তবু পুতুলকে ধন্যবাদ তার উপলব্ধির জন্য। এ উপলব্ধি যদি সময়মতো হতো, তবে তার মাকে সপরিবারে দেশান্তরী হতে হতো না। বিগত সকল জাতীয় নির্বাচনে যদি একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা না হতো, তবে কি আজ ভাগ্যের পরিণতি এমন হতো? জনগণ অনেক সময় সোচ্চার, আবার অনেক সময় নীরব, কিন্তু জবাব দেয় সময়মতো। যখন সময় দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে, যেমনটি হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল নির্বাচনে ৫৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিপি পদে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছে, যা ইতিপূর্বে কোনো দিন ঘটেনি। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পদেই জিততে পারেনি ছাত্রদল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল এজিএস পদে জিতেছে ছাত্রদল। ২৬টি পদের মধ্যে ভিপি-জিএসসহ ২৪টি পদেই শিবির জয়ী হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জিএসসহ দুটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ছাত্রদল আর বাকি সব পদে শিবিরের জয়জয়কার।

আমাদের দেশের ভোটাররা দল, মার্কা ও প্যানেলের ভক্ত। প্রার্থীর ব্যক্তিগত গুণাগুণ বিচার-বিশ্লেষণ করে না। কলাগাছ হলেই হলো, কিন্তু ব্যতিক্রম শুরু হলো দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে। ‘শিক্ষা’ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি সহায়ক শক্তি।

পাক-ভারত উপমহাদেশের রাজনীতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্যার সলিমুল্লাহর উদ্যোগে ১৯০৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর নিখিল ভারত মুসলিম লীগ গঠিত হয়। তখন কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি যখন তার তীক্ষè বুদ্ধিমত্তায় বুঝলেন যে ভারত উপমহাদেশে মুসলিম জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী একটি শক্তিশালী জনগোষ্ঠী রয়েছে, তখনই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে স্যুট-কোট-টাইয়ের পরিবর্তে মাথায় টুপি, শেরওয়ানি, পায়জামা-ইসলামি পোশাক পরতে শুরু করলেন এবং মুসলিম জাতীয়তাবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত হন।

সময়ে সময়ে মুসলিম লীগের নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে। আইয়ুব খান প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ‘কনভেনশন মুসলিম লীগ’ নামকরণ করেন। এ দলটি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ ২৩ বছর ৭ মাস ১১ দিন অবিভক্ত পাকিস্তানকে শাসন করেছে।

ধর্মের ভিত্তিতে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা নিয়ে পাকিস্তান গঠন করার জন্য হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। পাকিস্তান নামকরণ করেছেন চৌধুরী রহমত আলী, যিনি বিনা চিকিৎসায় লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেছেন।

১৯৩৮ সালে জিন্নাহ আনুষ্ঠানিকভাবে Two Nation Theory ঘোষণা করেন। ১৯৪২ সালে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক মুসলিম লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মওলানা ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মওলানা ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’। ১৯৫৩ সালে হাজী মোহাম্মদ দানেশের নেতৃত্বে ‘গণতন্ত্রী দল’ এবং শেরেবাংলার নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘কৃষক শ্রমিক পার্টি’।

১৯৫৫ সালের ২১ অক্টোবর ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়। মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে ১৯৫৭ সালের ২৫ জুলাই ‘ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি’ গঠন করেন, যার সভাপতি মওলানা ভাসানী, সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছিলেন পাঞ্জাবের মিয়া ইফতেখার। ১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট আইন পাসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে একদলীয় শাসনব্যবস্থার নিমিত্তে গঠিত ‘বাকশাল’ (বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ), যা পরবর্তীতে বিলুপ্ত হয়ে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানে সপরিবারে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ১৯৭৭ সালের ৩০ মে গণভোটে জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদে বৈধতা নিয়ে বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে আহ্বায়ক করে ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক দল’ (জাগদল) গঠন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজেই আহ্বায়ক হয়ে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’ (বিএনপি) গঠন করেন। (বি. দ্র. উক্ত তথ্যগুলো মুহাম্মদ পি. কে. আবদুর রব প্রণীত ‘ইতিহাসের সাক্ষী-প্রসঙ্গ : ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশ’ বই থেকে সংগৃহীত।)
১৯৮৪ সালে এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করার পর ‘জাতীয় পার্টি’ গঠন করে নয় বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকেন।

ধর্মভিত্তিক দলগুলোর জনবল থাকলেও জামায়াতে ইসলামীর মতো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। বাম দলগুলো সক্রিয়, কিন্তু গণভিত্তি গড়ে তুলতে পারেনি বিধায় আদর্শ নয়, বরং নেতার নামে দলগুলো পরিচিত, যাকে One Man show বলা যায়। স্বাধীনতার পর জোরদারভাবে গড়ে ওঠা বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক দল জাসদও টিকতে পারেনি একই কারণে। জামায়াতের বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান জাসদ ছেড়ে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। জামায়াতের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াত ছেড়ে ‘আমার বাংলাদেশ’ পার্টি গঠন করেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, পরে আবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য পদে পদায়ন হন।
উপরিউক্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, যে মুসলিম লীগ পাকিস্তান গঠন করল, সেই মুসলিম লীগ পাকিস্তান ধরে রাখতে পারল না। ফলে প্রতীয়মান হয়, ‘সময়’কে ধরে রাখতে না পারলে ‘সময়’ ভিন্ন স্বাদের দল তৈরি করে। কারণ মানুষের স্বাদ ও রুচি পরিবর্তনশীল।

অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রতীয়মান হয়, এ দেশের মানুষ ক্ষমতাকেন্দ্রিক। তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা আওয়ামী লীগ গঠন করেছে বিধায় দলটি টিকে গেছে।
জিয়াউর রহমান ও এরশাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ব্যাপকভাবে গড়ে উঠতে পারত না। পাকিস্তান আমল থেকে অদ্যাবধি জামায়াতে ইসলামী সব সময়েই ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ছিল। অধ্যাপক ড. ইউনূস ২০০৭-০৮ সালে রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ক্ষমতায় ছিলেন না বলে তার প্রচেষ্টা অঙ্কুরেই বিনাশ হয়ে সাফল্যের মুখ দেখেনি। বর্তমান পটপরিবর্তনে এনসিপির বলিষ্ঠ ভূমিকা অনস্বীকার্য, তার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে তবে কতটুকু যেতে পারে, তা সময়সাপেক্ষ।

মওলানা ভাসানী ক্ষমতায় থেকে রাজনীতি করেননি বলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও তার দল সাংগঠনিক ভিত্তি পায়নি। বরং বহুভাগে বিভক্ত হয়েছে। অথচ মাতৃভাষা ও স্বাধীনতা আন্দোলনে, ফারাক্কাবিরোধী আন্দোলনসহ গণমানুষের দাবি আদায়ে এখন পর্যন্ত ভাসানীর সমকক্ষ কেউ নেই।
উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালের ৬-১১ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের কাগমারীতে অনুষ্ঠিত মহাসম্মেলনে মওলানা ভাসানী পাকিস্তানকে বিদায় জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম’। পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার জন্য এটাই ছিল প্রথম পূর্বাভাস।
রাজনীতির দিনপঞ্জি পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয়, মানুষের জীবন ও ক্ষমতা যেমন চিরস্থায়ী নয়, ঠিক তেমনি মানুষের রাজনীতির চিন্তাধারাও চিরস্থায়ী নয়। পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে মানুষ তার বাসস্থান যেমন পরিবর্তন করে, ঠিক তেমনি একই কারণে রাজনৈতিক চিন্তাধারায়ও পরিবর্তন হয়।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পিতা বলেছেন, বিএনপির ভুলের কারণে এনসিপির জন্ম হয়েছে। নাহিদের পিতা রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি নন। তার এ বক্তব্য যদি সাধারণ মানুষের চিন্তার প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকে, তবে মেনে নিতেই হবে, জনপ্রিয় বিএনপির প্রতি মানুষের যে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা ছিল, তারা এখন আলোচনা/সমালোচনার সম্মুখীন।
রাজনৈতিক নেতাদের সকালের কথা বিকেলবেলা ঠিক থাকে না। ঐকমত্যে পৌঁছা তো দূরের কথা, একজন আরেকজনকে সমালোচনা করেন তীর্যক ভাষায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিপি পদসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপক বিজয় প্রমাণ করে, মানুষ রাজনীতিতে নতুন চিন্তার প্রয়াস খুঁজছে। রাজনীতির স্বাদ এখন ভিন্ন পর্যায়ে।
লেখক : জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও কলামিস্ট।
 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041