
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আবারও সক্রিয় রাজনীতির কেন্দ্রে ফিরে এসেছেন। ডেমোক্র্যাট শিবিরে যখন স্পষ্ট নেতৃত্বের ঘাটতি তখন তাঁর এই প্রত্যাবর্তন নতুন আশার সঞ্চার করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করছেন, যা বিশেষজ্ঞদের মতে ‘একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা।’
ওবামা সম্প্রতি ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যকে ‘সত্যের ওপর সহিংসতা’ বলে অভিহিত করেন। একই সঙ্গে প্রশাসনের ‘ক্যানসেল কালচার’ ব্যবহারকেও তিনি ‘বিপজ্জনক প্রবণতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক মাস ধরে ওবামা পরিকল্পনা করছিলেন কবে এবং কীভাবে ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া জানানো যায়। তাঁর সাবেক এক উপদেষ্টার ভাষায়, ‘ওবামা বুঝতে পারছেন, এখন এমন এক সময় যখন ট্রাম্প সংবিধানের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো আচরণ করছেন, তাই নীরব থাকা দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে।’
ওবামার সাম্প্রতিক বিভিন্ন বক্তৃতায় সতর্কতা থাকলেও তাতে রাজনৈতিক উপস্থিতি ও প্রভাব স্পষ্ট। তবে ডেমোক্র্যাট মহলে অনেকে মনে করছেন, অতিরিক্ত সংযম তাঁকে অনেক সময় জনআলোচনার বাইরে রাখছে। গত জুনে দ্য আটলান্টিক এক নিবন্ধে প্রশ্ন তোলে- ‘ওবামা কোথায়?’। এরপরই তিনি প্রকাশ্যে বলেন, ‘আমেরিকা বিপজ্জনকভাবে স্বৈরাচারের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে।’ দলীয় কৌশলবিদ অ্যামি কপল্যান্ডের মতে, ‘এই মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্যভাবে কথা বলতে পারেন একমাত্র ওবামাই। মানুষ বাইডেনের কাছ থেকে কিছু শুনতে চায় না, কিন্তু ওবামা এখনো আস্থার প্রতীক।’ সাম্প্রতিক গ্যালাপ জরিপে ওবামা জীবিত প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। অন্যদিকে, মারকেট ইউনিভার্সিটি ল’ স্কুলের জরিপে তাঁর নেট ফেভারেবিলিটি +১৭ শতাংশ, যেখানে ট্রাম্পের অবস্থান -১৫ শতাংশে। অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন ওবামার এই সক্রিয়তাকে ‘ভণ্ডামি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেন, ‘যিনি আমেরিকার রাজনৈতিক বিভাজনের স্থপতি, তিনি এখন ঐক্যের কথা বলছেন- এটাই সবচেয়ে বড় পরিহাস।’ তবু ওবামার দৃশ্যমান উপস্থিতি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে- ডেমোক্র্যাট শিবিরে নেতৃত্বের ভার তিনি আবারও কাঁধে তুলতে শুরু করেছেন।
ওবামা সম্প্রতি ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যকে ‘সত্যের ওপর সহিংসতা’ বলে অভিহিত করেন। একই সঙ্গে প্রশাসনের ‘ক্যানসেল কালচার’ ব্যবহারকেও তিনি ‘বিপজ্জনক প্রবণতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক মাস ধরে ওবামা পরিকল্পনা করছিলেন কবে এবং কীভাবে ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া জানানো যায়। তাঁর সাবেক এক উপদেষ্টার ভাষায়, ‘ওবামা বুঝতে পারছেন, এখন এমন এক সময় যখন ট্রাম্প সংবিধানের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো আচরণ করছেন, তাই নীরব থাকা দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে।’
ওবামার সাম্প্রতিক বিভিন্ন বক্তৃতায় সতর্কতা থাকলেও তাতে রাজনৈতিক উপস্থিতি ও প্রভাব স্পষ্ট। তবে ডেমোক্র্যাট মহলে অনেকে মনে করছেন, অতিরিক্ত সংযম তাঁকে অনেক সময় জনআলোচনার বাইরে রাখছে। গত জুনে দ্য আটলান্টিক এক নিবন্ধে প্রশ্ন তোলে- ‘ওবামা কোথায়?’। এরপরই তিনি প্রকাশ্যে বলেন, ‘আমেরিকা বিপজ্জনকভাবে স্বৈরাচারের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে।’ দলীয় কৌশলবিদ অ্যামি কপল্যান্ডের মতে, ‘এই মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্যভাবে কথা বলতে পারেন একমাত্র ওবামাই। মানুষ বাইডেনের কাছ থেকে কিছু শুনতে চায় না, কিন্তু ওবামা এখনো আস্থার প্রতীক।’ সাম্প্রতিক গ্যালাপ জরিপে ওবামা জীবিত প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। অন্যদিকে, মারকেট ইউনিভার্সিটি ল’ স্কুলের জরিপে তাঁর নেট ফেভারেবিলিটি +১৭ শতাংশ, যেখানে ট্রাম্পের অবস্থান -১৫ শতাংশে। অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন ওবামার এই সক্রিয়তাকে ‘ভণ্ডামি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেন, ‘যিনি আমেরিকার রাজনৈতিক বিভাজনের স্থপতি, তিনি এখন ঐক্যের কথা বলছেন- এটাই সবচেয়ে বড় পরিহাস।’ তবু ওবামার দৃশ্যমান উপস্থিতি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে- ডেমোক্র্যাট শিবিরে নেতৃত্বের ভার তিনি আবারও কাঁধে তুলতে শুরু করেছেন।