নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই ইসির

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:২৮ , অনলাইন ভার্সন
নির্বাচন নিয়ে কোনো নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কোনো সংশয়, উদ্বেগ বা বাধা নেই, এর কোনো যৌক্তিক কারণও নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বরং দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভোটের উপযোগী। ২০ অক্টোবর সোমবার নির্বাচনকালীন আইনশঙ্খলাবিষয়ক প্রাক-প্রস্তুতিমূলক এক মতবিনিময় সভা শেষে বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার বরাত দিয়ে ইসির পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। দেশে এ মুহূর্তে মানুষের নিরাপত্তা নেই, নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে-এই যুক্তি দেখিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির নেতারা। এ ছাড়া রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যেও কেউ কেউ আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাদের এ সংশয়ের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের দৃঢ় অবস্থান জানাতেই ইসি নির্বাচন নিয়ে তাদের নিঃসংশয়ের কথা উল্লেখ করেছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে ইসির সামনে কোনো বাধা নেই। বরং নির্বাচনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়াই উচিত। তারা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে ঝুঁকি আছে। তবে এখনো হাতে যে সময় আছে, তাতে সমস্যা দূর করা সম্ভব।
মতবিনিময় সভা শেষে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ভোটের জন্য কোনো ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করার মতো কিছু ঘটেনি। কোনো বাহিনী থেকেও উদ্বেগের কথা বলা হয়নি। আমাদের সবার লক্ষ্য একটাই-অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ যে তারা একটা ভালো নির্বাচন দিতে চান।
বর্তমান পরিস্থিতি কিংবা পরবর্তী সময়ে ভোটের সময় নিয়ে কোনো শঙ্কাও প্রকাশ করা হয়নি বলে জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, আশঙ্কা প্রকাশ করার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। কেউ করেননি। আমি দ্বিতীয়বার এটা বললাম, তৃতীয়বারও বলছি-আশঙ্কা প্রকাশের কোনো কারণ এখানে ছিল না।
সভায় জানানো হয়, আগামী নির্বাচনে পুলিশের দেড় লাখ কর্মীবাহিনী ভোটের মাঠে থাকবে। সবচেয়ে বেশি সদস্য হিসেবে আনসার-ভিডিপির প্রায় সাড়ে ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ সদস্য ভোটের মাঠে থাকবে। এ ছাড়া ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাবাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবে।
ইসি সচিব বলেন, ভোটে সাধারণত পাঁচ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ বিষয়ে সভায় প্রস্তাব এসেছেÑএটি যেন আট দিন করা হয়। নির্বাচনের আগে তিন দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের চার দিন। আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনায় ছিল পাঁচ দিন। এখন প্রস্তাবটা আসছে আট দিন। এটা আমরা পরীক্ষা করে দেখব।
এ বিষয়ে পুলিশের সাবেক আইজি মো. আশরাফুল হুদা বলেন, জুলাই-পরবর্তী পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়েছিল। সেই জায়গা থেকে পুলিশ অনেক উন্নত হয়েছে। পুলিশের জন্য বডিওন ক্যামেরাসহ যাবতীয় সাপোর্ট দিলে ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারবে তারা, এটা আমি বিশ্বাস করি। আগের চাইতে এবার বেশি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত। এটা ভালো দিক। অতীতের তুলনায় নির্বাচনী শৃঙ্খলায় ভালো ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেই মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের উচিত অতি শিগগির নির্বাচনের দিকে যাওয়া। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে সবাই নির্বাচনমুখী হবে, দেশের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কেটে যাবে।
নির্বাচন বিশ্লেষক ড. আব্দুল আলীম বলেন, আগামী নির্বাচন অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যে নানা রকম ঘটনা ঘটছে। ভালো নির্বাচন করতে হলে দরকার নির্বাচনকে ঘিরে কী কী ঝুঁকি আসতে পারে, তার একটা তালিকা করা। ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিতে পারলেই ভালো নির্বাচন করা সম্ভব।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041