
রেজাউল করিম বিপ্লব, ময়মনসিংহ : রাজধানীর কিউর স্পেশালাইজ হাসপাতালে কিডনির জটিল রোগের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সদস্য আফজাল হোসেন হিমেলের কন্যা হুমায়রা আক্তার মৌমিতা (৫)। আজ ১৯ অক্টোবর (রবিবার) সকাল তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিজের সন্তানের জানাজাতেও থাকতে না পারায় এক বেদনাবহ অধ্যায় হয়ে রইল মৌমিতার পলাতক বাবা হিমেলের পরিবারে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরেই কিডনির জটিল রোগে ভুগছিল মৌমিতা। কিছুদিন পরপরই শরীর ফুলে যেত, নানা চিকিৎসা করেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। মেয়েকে বাঁচাতে সর্বস্ব বিক্রি করে ও মানুষের সহযোগিতায় চিকিৎসা চালিয়েছেন হিমেল। কিন্তু সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে রবিবার সকালে চিরতরে চোখ বন্ধ করে মৌমিতা।
বাদ মাগরিব মাইজবাগ ইউনিয়নের হারুয়া হারুননগর জামে মসজিদে মৌমিতার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু গ্রেপ্তার আতঙ্কে জানাজায় উপস্থিত হতে পারেননি মৌমিতার বাবা হিমেল।
তিনি ফেসবুকে লিখেন— “বাদ মাগরিব, হারুয়া হারুননগর জামে মসজিদে মৌমিতার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হইবে। আমি জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারব না। আমি আপনাদের হাতে ও মহান আল্লাহতালার হাতে আমার মেয়েকে দিয়ে দিলাম।”
কান্না ভেজা কণ্ঠে হিমেল বলেন,“মৌমিতার শরীর কিছুদিন পরপরই ফুলে যেত। চিকিৎসকরা বলেছিলেন কিডনির সমস্যা। মেয়েটাকে বাঁচাতে অনেক কিছু করেছি। কিন্তু আমার সবচেয়ে বড় কষ্ট — আমার সন্তানের শেষ বিদায়ের সময় পাশে থাকতে পারলাম না।”
মৌমিতার মৃত্যু ও বাবার অনুপস্থিতিতে জানাজা— গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোক। প্রতিবেশীরা বলছেন, “এমন মৃত্যু আমরা ভুলতে পারব না। একজন বাবার অসহায়ত্ব এতটা নির্মম হতে পারে— তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হতো না।’’
ঠিকানা/এসআর
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরেই কিডনির জটিল রোগে ভুগছিল মৌমিতা। কিছুদিন পরপরই শরীর ফুলে যেত, নানা চিকিৎসা করেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। মেয়েকে বাঁচাতে সর্বস্ব বিক্রি করে ও মানুষের সহযোগিতায় চিকিৎসা চালিয়েছেন হিমেল। কিন্তু সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে রবিবার সকালে চিরতরে চোখ বন্ধ করে মৌমিতা।
বাদ মাগরিব মাইজবাগ ইউনিয়নের হারুয়া হারুননগর জামে মসজিদে মৌমিতার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু গ্রেপ্তার আতঙ্কে জানাজায় উপস্থিত হতে পারেননি মৌমিতার বাবা হিমেল।
তিনি ফেসবুকে লিখেন— “বাদ মাগরিব, হারুয়া হারুননগর জামে মসজিদে মৌমিতার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হইবে। আমি জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারব না। আমি আপনাদের হাতে ও মহান আল্লাহতালার হাতে আমার মেয়েকে দিয়ে দিলাম।”
কান্না ভেজা কণ্ঠে হিমেল বলেন,“মৌমিতার শরীর কিছুদিন পরপরই ফুলে যেত। চিকিৎসকরা বলেছিলেন কিডনির সমস্যা। মেয়েটাকে বাঁচাতে অনেক কিছু করেছি। কিন্তু আমার সবচেয়ে বড় কষ্ট — আমার সন্তানের শেষ বিদায়ের সময় পাশে থাকতে পারলাম না।”
মৌমিতার মৃত্যু ও বাবার অনুপস্থিতিতে জানাজা— গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোক। প্রতিবেশীরা বলছেন, “এমন মৃত্যু আমরা ভুলতে পারব না। একজন বাবার অসহায়ত্ব এতটা নির্মম হতে পারে— তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হতো না।’’
ঠিকানা/এসআর