
এনসিপি প্রেরিত দরখাস্তসমুহ অনিষ্পন্ন অবস্থায় রেখে নির্বাচন কমিশন বিধি-বহির্ভূতভাবে চিঠি প্রেরণ করে এনসিপিকে স্বেচ্ছাচারীভাবে প্রার্থিত প্রতীকের বাইরে গিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতোন প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে, যা অনাকাঙ্খিত, স্বেচ্ছাচারী, এবং বেআইনি।
নির্বাচন কমিশনের আইনগত দায়িত্ব সম্পর্কে এনসিপির অবস্থান
১। প্রতীক অন্তর্ভুক্তি বা বাদ দেওয়ার মানদণ্ড প্রকাশের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা: এনসিপি লক্ষ্য করেছে যে নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত কোন লিখিত নীতিমালা, নির্দেশিকা বা মানদণ্ড প্রকাশ করেনি, যার ভিত্তিতে প্রতীক তালিকায় কোন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করা বা বাদ দেওয়া হয়।
সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, সকল নাগরিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতি সমতা এবং আইনের আশ্রয়ে ন্যায্য আচরণ নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব থেকে কমিশন অব্যাহতি পেতে পারে না।
অতএব, নির্বাচন কমিশন অনুগ্রহপূর্বক লিখিতভাবে জানাবে কোন নীতিমালা, নির্দেশিকা বা মানদণ্ডের ভিত্তিতে ‘শাপলা’, ‘সাদা শাপলা’ বা লাল শাপলা প্রতীকটি তালিকাভুক্ত প্রতীকের বাইরে রাখা হয়েছে। যদি এ বিষয়ে কোন নীতিমালা বিদ্যমান থাকে, তবে তা প্রকাশ করা ও সকল দলের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য করা আবশ্যক।
২। ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮’-এর বিধি ৭(২) ও ফরম–২ অনুসরণের বাধ্যবাধকতা:
এনসিপি’র নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপে যেতে হলে নির্বাচন কমিশনকে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮’ –এর বিধি ৭(২) এর বিধান অনুযায়ী দুইটি দৈনিক পত্রিকায় উক্ত বিধিমালার তফসিলে বিবৃত ফরম-২ বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। উল্লেখ্য উক্ত বিধিমালার ফরম-২ এ রাজনৈতিক দলের তরফে প্রার্থিত প্রতীকের নাম উল্লেখ করেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং কমিশনের তরফে এর ব্যত্যয় করা বা নিজের ইচ্ছামতন প্রতীককে রাজনৈতিক দলের প্রার্থিত প্রতীক হিসাবে চালিয়ে দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। অতএব, নির্বাচন কমিশন যদি ২০০৮ সালের বিধিমালার বিধান অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ নেয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই এনসিপি’র প্রার্থিত প্রতীক ১. শাপলা, ২. সাদা শাপলা এবং ৩. লাল শাপলা থেকে যে কোন একটি প্রতীকের নাম উল্লেখ করতে হবে।
এনসিপির দাবিসমূহ
ক) নির্বাচন কমিশন অবিলম্বে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করবে—
প্রতীক অন্তর্ভুক্তি বা বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের বিদ্যমান নীতিমালা বা মানদণ্ড কী, এবং
কোন আইনি ভিত্তিতে ‘শাপলা’, ‘সাদা শাপলা’ বা ‘লাল শাপলা’ প্রতীককে বর্তমান তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
খ) যদি এমন কোন মানদণ্ড এখনো প্রণয়ন না করা হয়ে থাকে, তবে নির্বাচন কমিশনকে তা অবিলম্বে প্রণয়ন ও প্রকাশ করতে হবে এবং সকল রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
গ) নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের বিধিমালার ফরম–২ অনুসারে এনসিপির প্রার্থিত প্রতীকের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।
ঘ) কমিশন প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে যুক্তিসংগত, স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে তার সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করবে।
এনসিপি আবারো স্পষ্ট করছে যে, গণমানুষের সাথে শাপলা প্রতীক কেন্দ্রীক এনসিপি’র যে গভীর আত্মীক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে, দেশের মানুষের সেই ভালোবাসাকে উপেক্ষা করার শক্তি তার নাই। ফলশ্রুতিতে শাপলা ব্যতীত নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারী আচরণের মাধ্যমে প্রেরিত ১৩ অক্টোম্বর ২০২৫ তারিখের হুমকিমূলক চিঠির প্রেক্ষিতে বেধে দেওয়া তালিকা থেকে অন্য কোন প্রতীক পছন্দ করা এনসিপির জন্য সম্ভবপর নয়।
এনসিপি মনে করে প্রতীক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশন এনসিপি’র সঙ্গে অন্যায্য আচরণ করছে যার ফলশ্রুতিতে নির্বাচন কমিশন জনগণের সঙ্গে তার স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার সম্পর্ককে এড়িয়ে গিয়ে নিজের খেয়াল-খুশি মতো এলোমেলোভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ফ্যাসিবাদী আমলের পাতানো নির্বাচন আয়োজনকারী কমিশনের থেকে নিজের কার্যক্রমকে আলাদা করতে পারছে না এবং দেশবাসীকে আবারো একটি সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কি না সেবিষয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এনসিপি’র প্রতি নির্বাচন কমিশনের বৈরী আচরণ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে কমিশনের সদিচ্ছা, সক্ষমতা ও আন্তরিকতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন বরাবরে এনসিপি কর্তৃক দাখিলকৃত বিগত ০৩ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এবং ০৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের আলাদা আলাদা দরখাস্ত নিষ্পত্তি করে অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে তার কার্যক্রমের আইনানুগ ভিত্তি ও স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে হবে এবং গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
সার্বিক বিবেচনায় এনসিপি আশা করে, নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার বিধি ৯(১) সংশোধনক্রমে জাতীয় নাগরিক পার্টি’র অনুকূলে ১. শাপলা, ২. সাদা শাপলা, এবং ৩. লাল শাপলা থেকে যেকোন একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে।
ঠিকানা/এএসম
নির্বাচন কমিশনের আইনগত দায়িত্ব সম্পর্কে এনসিপির অবস্থান
১। প্রতীক অন্তর্ভুক্তি বা বাদ দেওয়ার মানদণ্ড প্রকাশের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা: এনসিপি লক্ষ্য করেছে যে নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত কোন লিখিত নীতিমালা, নির্দেশিকা বা মানদণ্ড প্রকাশ করেনি, যার ভিত্তিতে প্রতীক তালিকায় কোন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করা বা বাদ দেওয়া হয়।
সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, সকল নাগরিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতি সমতা এবং আইনের আশ্রয়ে ন্যায্য আচরণ নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব থেকে কমিশন অব্যাহতি পেতে পারে না।
অতএব, নির্বাচন কমিশন অনুগ্রহপূর্বক লিখিতভাবে জানাবে কোন নীতিমালা, নির্দেশিকা বা মানদণ্ডের ভিত্তিতে ‘শাপলা’, ‘সাদা শাপলা’ বা লাল শাপলা প্রতীকটি তালিকাভুক্ত প্রতীকের বাইরে রাখা হয়েছে। যদি এ বিষয়ে কোন নীতিমালা বিদ্যমান থাকে, তবে তা প্রকাশ করা ও সকল দলের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য করা আবশ্যক।
২। ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮’-এর বিধি ৭(২) ও ফরম–২ অনুসরণের বাধ্যবাধকতা:
এনসিপি’র নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপে যেতে হলে নির্বাচন কমিশনকে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮’ –এর বিধি ৭(২) এর বিধান অনুযায়ী দুইটি দৈনিক পত্রিকায় উক্ত বিধিমালার তফসিলে বিবৃত ফরম-২ বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। উল্লেখ্য উক্ত বিধিমালার ফরম-২ এ রাজনৈতিক দলের তরফে প্রার্থিত প্রতীকের নাম উল্লেখ করেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং কমিশনের তরফে এর ব্যত্যয় করা বা নিজের ইচ্ছামতন প্রতীককে রাজনৈতিক দলের প্রার্থিত প্রতীক হিসাবে চালিয়ে দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। অতএব, নির্বাচন কমিশন যদি ২০০৮ সালের বিধিমালার বিধান অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ নেয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই এনসিপি’র প্রার্থিত প্রতীক ১. শাপলা, ২. সাদা শাপলা এবং ৩. লাল শাপলা থেকে যে কোন একটি প্রতীকের নাম উল্লেখ করতে হবে।
এনসিপির দাবিসমূহ
ক) নির্বাচন কমিশন অবিলম্বে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করবে—
প্রতীক অন্তর্ভুক্তি বা বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের বিদ্যমান নীতিমালা বা মানদণ্ড কী, এবং
কোন আইনি ভিত্তিতে ‘শাপলা’, ‘সাদা শাপলা’ বা ‘লাল শাপলা’ প্রতীককে বর্তমান তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
খ) যদি এমন কোন মানদণ্ড এখনো প্রণয়ন না করা হয়ে থাকে, তবে নির্বাচন কমিশনকে তা অবিলম্বে প্রণয়ন ও প্রকাশ করতে হবে এবং সকল রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
গ) নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের বিধিমালার ফরম–২ অনুসারে এনসিপির প্রার্থিত প্রতীকের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।
ঘ) কমিশন প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে যুক্তিসংগত, স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে তার সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করবে।
এনসিপি আবারো স্পষ্ট করছে যে, গণমানুষের সাথে শাপলা প্রতীক কেন্দ্রীক এনসিপি’র যে গভীর আত্মীক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে, দেশের মানুষের সেই ভালোবাসাকে উপেক্ষা করার শক্তি তার নাই। ফলশ্রুতিতে শাপলা ব্যতীত নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারী আচরণের মাধ্যমে প্রেরিত ১৩ অক্টোম্বর ২০২৫ তারিখের হুমকিমূলক চিঠির প্রেক্ষিতে বেধে দেওয়া তালিকা থেকে অন্য কোন প্রতীক পছন্দ করা এনসিপির জন্য সম্ভবপর নয়।
এনসিপি মনে করে প্রতীক ইস্যুতে নির্বাচন কমিশন এনসিপি’র সঙ্গে অন্যায্য আচরণ করছে যার ফলশ্রুতিতে নির্বাচন কমিশন জনগণের সঙ্গে তার স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার সম্পর্ককে এড়িয়ে গিয়ে নিজের খেয়াল-খুশি মতো এলোমেলোভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ফ্যাসিবাদী আমলের পাতানো নির্বাচন আয়োজনকারী কমিশনের থেকে নিজের কার্যক্রমকে আলাদা করতে পারছে না এবং দেশবাসীকে আবারো একটি সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কি না সেবিষয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এনসিপি’র প্রতি নির্বাচন কমিশনের বৈরী আচরণ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে কমিশনের সদিচ্ছা, সক্ষমতা ও আন্তরিকতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন বরাবরে এনসিপি কর্তৃক দাখিলকৃত বিগত ০৩ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এবং ০৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের আলাদা আলাদা দরখাস্ত নিষ্পত্তি করে অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে তার কার্যক্রমের আইনানুগ ভিত্তি ও স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে হবে এবং গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
সার্বিক বিবেচনায় এনসিপি আশা করে, নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার বিধি ৯(১) সংশোধনক্রমে জাতীয় নাগরিক পার্টি’র অনুকূলে ১. শাপলা, ২. সাদা শাপলা, এবং ৩. লাল শাপলা থেকে যেকোন একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে।
ঠিকানা/এএসম