ইংরেজিতে দুর্বল লোকেরা প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:২৯ , অনলাইন ভার্সন
যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ পরীক্ষা আগের তুলনায় একটু কঠিন করা হয়েছে। আগে ১০টির মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর সঠিক দিতে পারলেই সিভিক টেস্টে পাস করা যেত। ২০ অক্টোবর থেকে সিটিজেনশিপ পরীক্ষার নতুন নিয়ম করা হয়েছে। এই পরীক্ষার জন্য যারা আবেদন করেছেন, তাদের জন্য সেই সুযোগ থাকবে না। এখন ২০টি প্রশ্ন করা হবে, এর মধ্যে ১২টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। যারা ১২টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেবেন, তারা সিভিক টেস্টে পাস করবেন। ইংলিশ আন্ডারস্ট্যান্ডিং, স্পিকিং ও রাইটিং পরীক্ষাতেও পাস করতে হবে। আগে যারা মনে করেছেন ১০০ প্রশ্ন ও এর উত্তর শিখেই পরীক্ষায় পাস করে যাবেন, এখন আর সেই সুযোগ নেই। এখন আগের চেয়ে আরও ভালোভাবে ইংরেজি জানতে, বুঝতে, বলতে ও লিখতে পারতে হবে। বিশেষ করে, আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা ভালো জানতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে যারা যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, তাদের মধ্যে শিক্ষিত মানুষের পাশাপাশি কম শিক্ষিত ও অশিক্ষিত মানুষও রয়েছেন। আবার অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষ ইংরেজি জানলেও ইংরেজি কথা ভালো বুঝতে পারেন না বা ভালো বলতে পারেন না। এমনকি কাজ চালানোর মতোও বলতে পারেন না। সিটিজেনশিপ পরীক্ষায় কেবল কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেই হবে না। এটি হলো এমনÑআপনি বাসা থেকে যাওয়া শুরু করে কীভাবে ইন্টারভিউ দিতে গেলেন, অফিসারের সঙ্গে কুশল বিনিময় করা, তার নির্দেশনা বোঝা ও সেই অনুযায়ী ফলো করা এবং তিনি যখন সাইন করতে বলবেন সেখানে জেনে-বুঝে-শুনে সাইন করার বিষয় রয়েছে। এ ছাড়া একজন অফিসার ইংরেজিতে যেভাবে প্রশ্ন করবেন, তা সঠিকভাবে বুঝতে হবে। সঠিকভাবে বুঝতে না পারলে এবং উত্তর দিতে না পারলে অথবা ভুল কিছু বললে ওই পরীক্ষায় পাস করা যাবে না।
এ কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিতে চাইলে অবশ্যই গ্রিনকার্ড পাওয়ার পর থেকেই এ ব্যাপারে পরিকল্পনা করতে হবে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ইংরেজি শিখতে হবে। ইংরেজি ভালোভাবে বোঝা, বলতে পারা, লিখতে পারা শিখতে হবে। বিশেষ করে, ইংরেজিতে যারা দুর্বল, তাদেরকে এ বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। এখানে ইংরেজি শেখার অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে গিয়ে সিটিজেনশিপ পরীক্ষার কোর্স করা যেতে পারে। পাশাপাশি নিজে নিজেই প্রতিদিন ইংরেজি বলার চর্চা করতে হবে। সাবলীলভাবে ইংরেজি বলার সক্ষমতা অর্জন না করা পর্যন্ত সিভিক টেস্ট না দেওয়াই ভালো।
এদিকে শুধু ইংরেজি জানলে-বুঝলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না। মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে হলে কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না। পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে, এমন কোনো কাজ করা যাবে না। একজন মানুষকে গুড মোরাল ক্যারেক্টারের অধিকারী হতে হবে। আমেরিকার বিরুদ্ধে ও ইহুদি বিদ্বেষী কোনো প্রচার-প্রচারণা, মিছিল-সমাবেশ করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমেরিকার বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না। নিষিদ্ধ কোনো সংগঠন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে এমন কোনো সংগঠন, গ্রুপ কিংবা এর সহায়তা করে থাকে বা মদদ দিয়ে থাকে এমন কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া বা তাদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না। লাইসেন্স ছাড়া ও ড্রিঙ্কস করে গাড়ি চালানো যাবে না। সাবওয়ে ও বাসে বিনা ভাড়ায় চড়া যাবে না। কোনো দোকান থেকে কোনো ধরনের জিনিস চুরি করা যাবে না। মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারের কোনো সুবিধা নেওয়া যাবে না। কোনো ধরনের ফ্রড করা যাবে না। ইমিগ্রেশন সুবিধা পাওয়ার জন্য বৈবাহিক সম্পর্ক করা যাবে না। এ ছাড়া ডমেস্টিক ভায়োলেন্সসহ কোনো ধরনের ভায়োলেন্স করা যাবে না। কোনো নারীকে অপমান করা, তার সম্মানহানি করা, ধর্ষণ করা, ধর্ষণের চেষ্টা করা, নারীর স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করা, হত্যা, খুন, রাহাজানি, ডাকাতি, অপহরণ, মানব পাচার, মাদক পাচার, অর্থ পাচারসহ কোনো ধরনের অবৈধ পণ্য পাচার করা যাবে না। যদি কেউ নৈতিক ও মোরাল চরিত্রের অধিকারী না হন, তিনি সিটিজেনশিপ পাবেন না। কেউ যদি কোনো অপরাধ করে ফেলেন, তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে, তার বিরুদ্ধে মামলা হলে মামলার অবস্থা সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। এমনকি মামলা শেষ হয়ে গেলেও আসামি শাস্তি ভোগ করলেও তথ্য দিতে হবে এবং মামলার নথিপত্র দিতে হবে। কোনো ধরনের কর ফাঁকি দেওয়া যাবে না। সরকারের কোনো ধরনের কর বকেয়া রাখা যাবে না। সেই সঙ্গে এটাও খেয়াল রাখতে হবে, আশপাশের প্রতিবেশীরাও যাতে খারাপ না বলেন। কারণ এখন থেকে কোনো ব্যক্তির বিষয়ে প্রয়োজন হলে তার প্রতিবেশীর কাছেও খবর নিতে পারে। ফলে সাবধানেই থাকতে হবে। এ ছাড়া সব সঠিক ও সত্য তথ্য আবেদনে দিতে হবে। কোনো ভুল ও ত্রুটিপূর্ণ আবেদন জমা দেওয়া যাবে না। শপথ না হওয়া পর্যন্ত কেউ সিটিজেন নন। ফলে কেউ সিটিজেনশিপ পরীক্ষায় পাস করলেও তিনি শপথ নেওয়ার আগে পর্যন্ত সিটিজেন হবেন না। শপথ নেওয়ার পর সার্টিফিকেট পাওয়ার পরই কেউ এ দেশের নাগরিক। সুতরাং সিটিজেন হতে চাইলে সব ধরনের অপ্রীতিকর পরিবেশ, ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, হামলা, মামলা, দাঙ্গা-হাঙ্গামার মতো পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। মোটকথা ভালো, সৎ ও আদর্শবান চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041