
দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর কোনো গণমাধ্যমে মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি আগামী নির্বাচনে বিএনপির কৌশল, আওয়ামী লীগের রাজনীতি, নেতাকর্মীদের বিচার, এবং দেশের নির্বাচনী রাজনীতিসহ নানা সমসাময়িক বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়ন বাছাই কৌশল প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা কখনোই পেশিশক্তি, টাকার প্রভাব বা পারিবারিক বিবেচনায় প্রার্থী মনোনয়ন দিইনি, ভবিষ্যতেও দেব না। মনোনয়নের ক্ষেত্রে আমরা যে বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিই, সেটি হলো—প্রার্থী যেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সমস্যা সম্পর্কে জানেন, মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা থাকে, এবং ওই এলাকার জনগণের কল্যাণে কাজ করার সক্ষমতা রাখেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এমন একজন প্রার্থী, যার সঙ্গে এলাকার তরুণ, নারী, মুরুব্বি, ছাত্রছাত্রী—সব শ্রেণির মানুষের যোগাযোগ আছে। যার প্রতি মানুষের আস্থা ও জনসমর্থন রয়েছে। জনগণের সমর্থন যার সঙ্গে থাকবে, তাকেই আমরা প্রাধান্য দেব।’
তৃণমূলের মতামতের গুরুত্ব সম্পর্কেও কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার ভাষায়, ‘তৃণমূলের মতামত অবশ্যই আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। গণতন্ত্রে বিভিন্ন মত থাকা খুবই স্বাভাবিক। কোনো এলাকায় ৫০ জনের মধ্যে ৩০ জন একটি মত দেবে, ১৫ জন আরেকটি মত দেবে—এটাই স্বাভাবিক। আমরা যেখানে মেজরিটির মত পাই, সেটিকেই গুরুত্ব দিই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা কিন্তু দলের নেতৃত্ব নির্বাচন করছি না, বরং এমন একজনকে বেছে নিতে চাইছি, যিনি শুধু দলের নয়, দলমত নির্বিশেষে এলাকার অধিকাংশ মানুষের সমর্থন পান। কারণ নির্বাচনে শুধু দলীয় সমর্থন যথেষ্ট নয়—জনগণের অংশগ্রহণই এখানে মুখ্য।’
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য দল নিয়ে গঠিত সম্ভাব্য নতুন জোট সম্পর্কে প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, ‘যে কোনো দল যদি সংবিধান ও আইন মেনে রাজনীতি করে, তাতে উদ্বেগের কিছু দেখি না। নির্বাচন হলে প্রতিযোগিতা থাকবেই, এটিই স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।’
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘বিএনপি অতীতেও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করেছে, এবারও করবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা মানেই উদ্বেগের কারণ নয়।’
ঠিকানা/এসআর
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়ন বাছাই কৌশল প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা কখনোই পেশিশক্তি, টাকার প্রভাব বা পারিবারিক বিবেচনায় প্রার্থী মনোনয়ন দিইনি, ভবিষ্যতেও দেব না। মনোনয়নের ক্ষেত্রে আমরা যে বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিই, সেটি হলো—প্রার্থী যেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সমস্যা সম্পর্কে জানেন, মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা থাকে, এবং ওই এলাকার জনগণের কল্যাণে কাজ করার সক্ষমতা রাখেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এমন একজন প্রার্থী, যার সঙ্গে এলাকার তরুণ, নারী, মুরুব্বি, ছাত্রছাত্রী—সব শ্রেণির মানুষের যোগাযোগ আছে। যার প্রতি মানুষের আস্থা ও জনসমর্থন রয়েছে। জনগণের সমর্থন যার সঙ্গে থাকবে, তাকেই আমরা প্রাধান্য দেব।’
তৃণমূলের মতামতের গুরুত্ব সম্পর্কেও কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার ভাষায়, ‘তৃণমূলের মতামত অবশ্যই আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। গণতন্ত্রে বিভিন্ন মত থাকা খুবই স্বাভাবিক। কোনো এলাকায় ৫০ জনের মধ্যে ৩০ জন একটি মত দেবে, ১৫ জন আরেকটি মত দেবে—এটাই স্বাভাবিক। আমরা যেখানে মেজরিটির মত পাই, সেটিকেই গুরুত্ব দিই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা কিন্তু দলের নেতৃত্ব নির্বাচন করছি না, বরং এমন একজনকে বেছে নিতে চাইছি, যিনি শুধু দলের নয়, দলমত নির্বিশেষে এলাকার অধিকাংশ মানুষের সমর্থন পান। কারণ নির্বাচনে শুধু দলীয় সমর্থন যথেষ্ট নয়—জনগণের অংশগ্রহণই এখানে মুখ্য।’
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য দল নিয়ে গঠিত সম্ভাব্য নতুন জোট সম্পর্কে প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, ‘যে কোনো দল যদি সংবিধান ও আইন মেনে রাজনীতি করে, তাতে উদ্বেগের কিছু দেখি না। নির্বাচন হলে প্রতিযোগিতা থাকবেই, এটিই স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।’
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘বিএনপি অতীতেও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করেছে, এবারও করবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা মানেই উদ্বেগের কারণ নয়।’
ঠিকানা/এসআর