
দেশের বাইরে পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দল খেলছে। দেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরার চেষ্টা করছে। আর ঢাকায় ক্রিকেট সংগঠকরা বিসিবির মসনদে বসতে ব্যস্ত। ক্রিকেট সংগঠকদের নজর ছিল বিসিবির নির্বাচনে। খেলার খবর রাখার সময় নেই। সবাই বিসিবির চেয়ারে বসার দৌড়ে ব্যস্ত। ক্ষমতায় আসতে চান। গত কয়েকটি মাস বিসিবির নির্বাচন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ হয়ে গেছে। নির্বাচনের দৌড় আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। অবশেষে আলোচিত নির্বাচন আজ।
এবারের মতো বিসিবির নির্বাচন আর কখনো আলোচিত ছিল না বা সমালোচিতও ছিল না। নানা ঘটনার জন্ম দিয়েছে এবারের বোর্ডের নির্বাচন। ক্রিকেট প্রিয় সাধারণ মানুষের মুখে একটা কথা প্রায় শোনা গেছে, কী এত আকর্ষণ ওখানে। নির্বাচন করে সবাই ক্রিকেটকে বাঁচাতে চায়। আরও ওপরে নিয়ে যেতে চায়। আদালত, পালটা আদালত, সংবাদ সম্মেলন, পালটা সম্মেলন। কী না হয়েছে। সবাই ক্রিকেট উন্নয়নের মশাল ধরতে চান।
দেশের ক্রিকেটের মশাল এবার চার বছরের জন্য আমিনুল ইসলাম বুলবুলের হাতে উঠেছে। অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বুলবুল গতকাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির নির্বাচিত পরিচালক হয়ে গেছেন। জেলা ও বিভাগ ক্যাটাগরি থেকে জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বুলবুল বিনা ভোটে নির্বাচিত হন, সেই সঙ্গে নাজমুল আবেদিন ফাহিমও বিনা ভোটে পরিচালক নির্বাচিত হয়ে গেছেন। বুলবুলও পরিচালক হয়েছেন। তবে তিনি-ই হবেন বিসিবির সভাপতি। আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হোটেল সোনারগাঁওয়ে নির্বাচন হবে। সেখানে ২৫ পরিচালকের পদের মধ্যে দুটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত এবং বাকি ২৩টি পরিচালক পদ নির্ধারণ হয় ভোটের মাধ্যমে। ২৩ জনের মধ্যে আট জন নির্বাচিত হয়ে গেছেন এবং অবশিষ্ট ১৫টি পরিচালক পদের জন্য আজ নির্বাচন হবে।
নির্বাচন হওয়ার পর নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হবে। তখন নির্বাচিতরা সভায় বসে বিসিবির সভাপতি ও সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচন করবেন। এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আজ শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা। বুলবুল বলেছেন, ‘পৃথিবীর সেরা নির্বাচন হচ্ছে। যেদিন বাংলাদেশের দুটো ম্যাচ, ছেলেদের ম্যাচও জিতেছে, টি-টোয়েন্টি আফগানিস্তানের সঙ্গে, মেয়েদের দলও বিশ্বকাপে জিতেছে। কিন্তু আসল নিউজ হয়েছে নির্বাচনকে ঘিরে।’ নাম সরিয়ে নিয়ে রেদুয়ান বলেছেন, ‘রাতের নির্বাচনকে ছাড়িয়ে গেছে বিসিবির নির্বাচন।’
বিসিবিতে স্বল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন বুলবুল। সরকার থেকে তাকে সভাপতি করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের সময় দেখা যাচ্ছে সরকার বুলবুলকে দিয়ে দায়িত্ব পালনে আগ্রহী। বুলবুলেরও স্বপ্ন ছিল দেশের ক্রিকেটের জন্য কিছু করবেন। বুলবুল আইসিসি হয়ে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটে কাজ করতেন। তখন দেশের ক্রিকেটের অনেকেই বুলবুলকে বলতেন ‘আপনি দেশের হয়ে কাজ করেন না কেন’। বুলবুল যখন কাজ করতে শুরু করলেন তখন বুলবুলকে বলা হলো আপনি চলে যান না কেন। অনেক প্রতিকূল পরিবেশ দেখেছেন তিনি। দেশের ক্রিকেট নির্বাচন নিয়ে কী কী হতে পারে তার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। রাতদিন দৌড়ঝাঁপ করে ওজন কমে গেছে বুলবুলের।
বিসিবির নির্বাচন নিয়ে অনেক রকম বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবার। তপশিল ঘোষণার পরই শুরু হয় একের এর এক নাটক। কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে হয়েছে অনেক নাটক। বিশেষ করে কাউন্সিলর পাঠানোর ব্যাপারে বিসিবির সভাপতি বুলবুল নিজেই স্বাক্ষর করে চিঠি পাঠানোয় বিতর্ক শুরু হয়। বলা হয়েছিল কাউকে কিছু না বলে বোর্ড সভাপতি অন্যায় কাজটি করেছেন। তিনি চিঠি লিখে কাউন্সিলর পাঠাতে বলতে পারেন না। কিন্তু বুলবুল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সভাপতি হিসেবে একক ক্ষমতা বলে এই কাজটি করতে পারেন। কিন্তু সবার সঙ্গে কথা বলে কাউন্সিলর চেয়ে পাঠিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেন বুলবুল।
বুলবুল বলেছেন, ‘আমি চিঠি দিয়েছি। বলেছি যারা ক্রিকেট সংগঠক এবং ক্রিকেট খেলেছেন তারা যেন কাউন্সিলর হয়।’
এরপর ১৫ ক্লাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়, খসরা ভোটার তালিকায় ১৫ কাউন্সিলরের নাম ছিল না। আদালতে গেলেন সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। আদালতের রায়ে ভোটাধিকার স্থগিত করা হয়। তখনই প্রার্থী তামিম ইকবাল এবং তার সঙ্গের প্রার্থীরা নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। নির্বাচনে নতুন মোড় নেয়। তামিম নির্বাচন থেকে সরে গেলেন। তিনি বিদেশে চলে গেলেন। অন্য প্রার্থীর দেখলে নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ১৫ ক্লাবের প্রার্থী ছিলেন দুজন। বিএনপি নেতা আমীর খসরুর ছেলে ইস্রাফিল খসরু এবং ইফতেখার রহমান মিঠু। ইস্রাফিল খসরু নাম প্রত্যাহার করলেও ইফতেখার মিঠু সেটি করেননি। গতকাল ঘোষণা দেননি, অনুমান করা যায় তিনি নির্বাচন করছেন।
গতকাল আদালত থেকে ১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার পুনরায় ফিরে পেয়েছে। তারা ভোট দিতে পারবেন। তবে যারা সরে গিয়েছিলেন তারা নির্বাচনে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবু, মোহামেডানের মাসুদউজ্জামানরা সমঝোতা করতেও চেয়েছিলেন। ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন, কিন্তু সাড়া পাননি। গতকাল তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘নির্বাচনে অস্থিরতা ও দৃষ্টিকটু হস্তক্ষেপে অসহায় ক্রিকেট সংগঠকদের স্মারকলিপি’ লিখে দুই পৃষ্ঠার চিঠি দিয়েছেন।
ঠিকানা/এসআর
এবারের মতো বিসিবির নির্বাচন আর কখনো আলোচিত ছিল না বা সমালোচিতও ছিল না। নানা ঘটনার জন্ম দিয়েছে এবারের বোর্ডের নির্বাচন। ক্রিকেট প্রিয় সাধারণ মানুষের মুখে একটা কথা প্রায় শোনা গেছে, কী এত আকর্ষণ ওখানে। নির্বাচন করে সবাই ক্রিকেটকে বাঁচাতে চায়। আরও ওপরে নিয়ে যেতে চায়। আদালত, পালটা আদালত, সংবাদ সম্মেলন, পালটা সম্মেলন। কী না হয়েছে। সবাই ক্রিকেট উন্নয়নের মশাল ধরতে চান।
দেশের ক্রিকেটের মশাল এবার চার বছরের জন্য আমিনুল ইসলাম বুলবুলের হাতে উঠেছে। অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বুলবুল গতকাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির নির্বাচিত পরিচালক হয়ে গেছেন। জেলা ও বিভাগ ক্যাটাগরি থেকে জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বুলবুল বিনা ভোটে নির্বাচিত হন, সেই সঙ্গে নাজমুল আবেদিন ফাহিমও বিনা ভোটে পরিচালক নির্বাচিত হয়ে গেছেন। বুলবুলও পরিচালক হয়েছেন। তবে তিনি-ই হবেন বিসিবির সভাপতি। আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হোটেল সোনারগাঁওয়ে নির্বাচন হবে। সেখানে ২৫ পরিচালকের পদের মধ্যে দুটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত এবং বাকি ২৩টি পরিচালক পদ নির্ধারণ হয় ভোটের মাধ্যমে। ২৩ জনের মধ্যে আট জন নির্বাচিত হয়ে গেছেন এবং অবশিষ্ট ১৫টি পরিচালক পদের জন্য আজ নির্বাচন হবে।
নির্বাচন হওয়ার পর নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হবে। তখন নির্বাচিতরা সভায় বসে বিসিবির সভাপতি ও সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচন করবেন। এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আজ শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা। বুলবুল বলেছেন, ‘পৃথিবীর সেরা নির্বাচন হচ্ছে। যেদিন বাংলাদেশের দুটো ম্যাচ, ছেলেদের ম্যাচও জিতেছে, টি-টোয়েন্টি আফগানিস্তানের সঙ্গে, মেয়েদের দলও বিশ্বকাপে জিতেছে। কিন্তু আসল নিউজ হয়েছে নির্বাচনকে ঘিরে।’ নাম সরিয়ে নিয়ে রেদুয়ান বলেছেন, ‘রাতের নির্বাচনকে ছাড়িয়ে গেছে বিসিবির নির্বাচন।’
বিসিবিতে স্বল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন বুলবুল। সরকার থেকে তাকে সভাপতি করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের সময় দেখা যাচ্ছে সরকার বুলবুলকে দিয়ে দায়িত্ব পালনে আগ্রহী। বুলবুলেরও স্বপ্ন ছিল দেশের ক্রিকেটের জন্য কিছু করবেন। বুলবুল আইসিসি হয়ে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটে কাজ করতেন। তখন দেশের ক্রিকেটের অনেকেই বুলবুলকে বলতেন ‘আপনি দেশের হয়ে কাজ করেন না কেন’। বুলবুল যখন কাজ করতে শুরু করলেন তখন বুলবুলকে বলা হলো আপনি চলে যান না কেন। অনেক প্রতিকূল পরিবেশ দেখেছেন তিনি। দেশের ক্রিকেট নির্বাচন নিয়ে কী কী হতে পারে তার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। রাতদিন দৌড়ঝাঁপ করে ওজন কমে গেছে বুলবুলের।
বিসিবির নির্বাচন নিয়ে অনেক রকম বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবার। তপশিল ঘোষণার পরই শুরু হয় একের এর এক নাটক। কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে হয়েছে অনেক নাটক। বিশেষ করে কাউন্সিলর পাঠানোর ব্যাপারে বিসিবির সভাপতি বুলবুল নিজেই স্বাক্ষর করে চিঠি পাঠানোয় বিতর্ক শুরু হয়। বলা হয়েছিল কাউকে কিছু না বলে বোর্ড সভাপতি অন্যায় কাজটি করেছেন। তিনি চিঠি লিখে কাউন্সিলর পাঠাতে বলতে পারেন না। কিন্তু বুলবুল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সভাপতি হিসেবে একক ক্ষমতা বলে এই কাজটি করতে পারেন। কিন্তু সবার সঙ্গে কথা বলে কাউন্সিলর চেয়ে পাঠিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেন বুলবুল।
বুলবুল বলেছেন, ‘আমি চিঠি দিয়েছি। বলেছি যারা ক্রিকেট সংগঠক এবং ক্রিকেট খেলেছেন তারা যেন কাউন্সিলর হয়।’
এরপর ১৫ ক্লাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়, খসরা ভোটার তালিকায় ১৫ কাউন্সিলরের নাম ছিল না। আদালতে গেলেন সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। আদালতের রায়ে ভোটাধিকার স্থগিত করা হয়। তখনই প্রার্থী তামিম ইকবাল এবং তার সঙ্গের প্রার্থীরা নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। নির্বাচনে নতুন মোড় নেয়। তামিম নির্বাচন থেকে সরে গেলেন। তিনি বিদেশে চলে গেলেন। অন্য প্রার্থীর দেখলে নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ১৫ ক্লাবের প্রার্থী ছিলেন দুজন। বিএনপি নেতা আমীর খসরুর ছেলে ইস্রাফিল খসরু এবং ইফতেখার রহমান মিঠু। ইস্রাফিল খসরু নাম প্রত্যাহার করলেও ইফতেখার মিঠু সেটি করেননি। গতকাল ঘোষণা দেননি, অনুমান করা যায় তিনি নির্বাচন করছেন।
গতকাল আদালত থেকে ১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার পুনরায় ফিরে পেয়েছে। তারা ভোট দিতে পারবেন। তবে যারা সরে গিয়েছিলেন তারা নির্বাচনে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবু, মোহামেডানের মাসুদউজ্জামানরা সমঝোতা করতেও চেয়েছিলেন। ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন, কিন্তু সাড়া পাননি। গতকাল তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘নির্বাচনে অস্থিরতা ও দৃষ্টিকটু হস্তক্ষেপে অসহায় ক্রিকেট সংগঠকদের স্মারকলিপি’ লিখে দুই পৃষ্ঠার চিঠি দিয়েছেন।
ঠিকানা/এসআর