নেতৃত্বে মেজর হাফিজ, মির্জা আব্বাস ও এহসানুল হক মিলন

‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন’ আসছে

প্রকাশ : ০৬-০৪-২০২৩ ১১:৫৪:০০ এএম , অনলাইন ভার্সন
 দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৩৮টি। সর্বশেষ নিবন্ধন দেওয়া হয় প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপিকে। এবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট ছাড়াও তিন থেকে চারটি দলকে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নিবন্ধন প্রদান করা হবে।
জানা যায়, আগামী জুন মাসে নির্বাচন কমিশন নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেবে। প্রস্তাবিত দলগুলোর দেওয়া তথ্যাদি এ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ২৩টি আবেদন রয়েছে নির্বাচন কমিশনে। কাগজপত্র যাচাই করার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে জেলা-উপজেলায় সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। জেলা-উপজেলা প্রশাসন থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে তাদের জেলা, উপজেলায় প্রস্তাবিত দলগুলো সম্পর্কে। তাদের অফিস আছে কি না, কমিটি কত সদস্যের, তারা অফিসে নিয়মিত আসেন কি না, নির্ধারিত হারে নারীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে কি না প্রভৃতি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। মাঠ প্রশাসন থেকে পাওয়া বাস্তব তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রস্তাবিত রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। সভাপতি, মহাসচিবসহ অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ পদে অপরিচিতি ও স্বল্প পরিচিতদের রাখা হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কিছুদিন আগে নেপথ্যের নাটের গুরুরা প্রকাশ্য আসবেন। এ পর্যায়ে দৃশ্যপটের আড়ালে থাকছেন তারা। বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে প্রস্তাবিত দলের আত্মপ্রকাশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ভিন্নতর হবে। অর্থাৎ নামে মাত্র একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকিয়ে রাখা হবে ভবিষ্যতের প্রয়োজন বিবেচনায়। আর বিএনপি শেষপর্যন্ত অংশ না নিলে দলটির নেপথ্যের কারিগররা প্রকাশ্যে আবির্ভূত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন। প্রকাশ্য ও নেপথ্যের নায়কেরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, নির্বাচন কমিশন তাদের দলের নিবন্ধন দেবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন এবং সাবেক মন্ত্রী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে মিলনের দীর্ঘ দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বর্তমানে সেই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে। নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়ায় সক্রিয় বলিষ্ঠ ভূমিকায় রয়েছেন সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর হাফিজউদ্দিন বীর প্রতীক। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যোগ্য, দক্ষ প্রশাসক হিসেবে তিনি যথেষ্ট খ্যাতিসম্পন্ন। ভোলার নির্বাচনী এলাকায়ও তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। আগামীতে তিনিই হবেন দলটির সভাপতি। আপাতত প্রকাশ্যে না হলেও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। ঢাকায় মাঝেমধ্যেই তারা বৈঠক করেন। নতুন দল গঠন প্রক্রিয়ায় বিএনপির ২৫ থেকে ৩০ জন সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, স্থায়ী কমিটির সদস্য, জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিশিষ্ট নেতারা রয়েছেন। বিএনপির আরো বেশ কয়েকজন নেতা, সাবেক এমপি, মন্ত্রীর সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সম্পর্ক রয়েছে।উদ্যোক্তারা গভীরভাবে আশাবাদী, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে তারা নতুন এই দলে যোগ দেবেন এবং নির্বাচনে অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে বিএনপির এ রকম নেতা ও নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় এই নেতারা নির্বাচন বর্জন করার প্রবল বিরোধী।

 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078