ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সামরিক দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানগত গুরুত্ব ক্রমে বেড়েই চলেছে। অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক-সামরিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির অসুস্থ প্রতিযোগিতা উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যতই বাড়ছে; অনুন্নত, উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের গুরুত্বও দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে, সমুদ্রবেষ্টিত কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত দেশগুলোর গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। যে কারণে বাংলাদেশ সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ কয়েকটি দেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এশিয়া ও আফ্রিকায় নিজেদের আধিপত্য ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় প্রতিযোগিতায় নেমেছে। বাণিজ্যিক-অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি তাদের মধ্যে সামরিক আগ্রাসী মনোভাবও বাড়িয়েছে, যা আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোসহ বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার জন্ম দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর ও এ অঞ্চলের দেশগুলোতে সামরিক কর্তৃত্ব, নিয়ন্ত্রণ একচ্ছত্রভাবে প্রতিষ্ঠা করতে নানা তৎপরতা চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ তাদের সামরিক শক্তি প্রতিষ্ঠার কেন্দ্রে রয়েছে। জাপান সাগর, চীন সাগর, দক্ষিণ চীন সাগর ও উপসাগরীয় এলাকাগুলোতে অবাধ যাতায়াত ও নিজেদের সামরিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা তাদের বেড়েই চলেছে। চীনের নৌ সামরিক শক্তির অভাবনীয় প্রসারই এর প্রধান কারণ।
নৌ সামরিক শক্তির দিক দিয়ে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাপিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানে চীনের অবস্থান। সাবমেরিনসহ শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজে সমৃদ্ধ চীন। চীনের এই অভাবনীয় সামরিক শক্তিবৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রকে ভাবিয়ে তুলেছে। চীনকে ঘিরে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির সর্বাত্মক চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত ও বাংলাদেশের গুরুত্ব তার কাছে এ কারণেই অনেক বেশি।
বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ স্বাধীনতার আগে থেকেই ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। নতুন করে তারা এখানে নৌ সামরিক ঘাঁটি করার প্রস্তাব এনেছে। বাংলাদেশ সরকার নীতিগতভাবে মার্কিন আকাঙ্খা, পরিকল্পনার বিপক্ষে নয়। তবে চীনকে বৈরী করতে পারে এমন কোনো সামরিক, বাণিজ্যিক কর্মকৌশল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঝুঁকিও নিতে চায় না। পাশাপাশি নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ, সিদ্ধান্ত নেবে না। বিষয়টি স্পর্শকাতর ও কঠিন হলেও মেয়াদকালেই সরকার একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারে বলে আভাস পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ৯৯ বছরের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে লিজ চায় সেন্টমার্টিনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা। ইতিপূর্বে তারা পুরো সেন্টমার্টিন দ্বীপই চেয়েছিল। মূল ভূখণ্ড থেকে জনসাধারণের নৌপথে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার সুযোগ অবারিত থাকবে। তবে বর্তমানের মতো গোটা সেন্টমার্টিন দ্বীপে সাধারণের চলাচল থাকবে না। নির্দিষ্ট এলাকায়ই তারা চলাচল, অবস্থান করতে পারবেন। এই পরিকল্পনা শুরুতেই বাস্তবায়ন করা হবে না রাজনৈতিক প্রচণ্ড ঝুঁকির কারণে। প্রথম ধাপে সেন্টমার্টিনের একটা নির্দিষ্ট অংশ বিদেশিদের কাছে লিজ দেওয়া হবে প্রমোদ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য। বিদেশিদের ব্যবহারের জন্য এই এলাকা নির্ধারিত থাকবে। স্থলভাগ ও সমুদ্রের নির্দিষ্ট পরিমাণ এলাকায় বিদেশি লিজগ্রহীতার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব থাকবে। পরবর্তী ধাপে এই অংশ মার্কিন সামরিক অবস্থান হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এশিয়া ও আফ্রিকায় নিজেদের আধিপত্য ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় প্রতিযোগিতায় নেমেছে। বাণিজ্যিক-অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি তাদের মধ্যে সামরিক আগ্রাসী মনোভাবও বাড়িয়েছে, যা আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোসহ বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার জন্ম দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর ও এ অঞ্চলের দেশগুলোতে সামরিক কর্তৃত্ব, নিয়ন্ত্রণ একচ্ছত্রভাবে প্রতিষ্ঠা করতে নানা তৎপরতা চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ তাদের সামরিক শক্তি প্রতিষ্ঠার কেন্দ্রে রয়েছে। জাপান সাগর, চীন সাগর, দক্ষিণ চীন সাগর ও উপসাগরীয় এলাকাগুলোতে অবাধ যাতায়াত ও নিজেদের সামরিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা তাদের বেড়েই চলেছে। চীনের নৌ সামরিক শক্তির অভাবনীয় প্রসারই এর প্রধান কারণ।
নৌ সামরিক শক্তির দিক দিয়ে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাপিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানে চীনের অবস্থান। সাবমেরিনসহ শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজে সমৃদ্ধ চীন। চীনের এই অভাবনীয় সামরিক শক্তিবৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রকে ভাবিয়ে তুলেছে। চীনকে ঘিরে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির সর্বাত্মক চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত ও বাংলাদেশের গুরুত্ব তার কাছে এ কারণেই অনেক বেশি।
বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ স্বাধীনতার আগে থেকেই ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। নতুন করে তারা এখানে নৌ সামরিক ঘাঁটি করার প্রস্তাব এনেছে। বাংলাদেশ সরকার নীতিগতভাবে মার্কিন আকাঙ্খা, পরিকল্পনার বিপক্ষে নয়। তবে চীনকে বৈরী করতে পারে এমন কোনো সামরিক, বাণিজ্যিক কর্মকৌশল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঝুঁকিও নিতে চায় না। পাশাপাশি নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ, সিদ্ধান্ত নেবে না। বিষয়টি স্পর্শকাতর ও কঠিন হলেও মেয়াদকালেই সরকার একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারে বলে আভাস পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ৯৯ বছরের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে লিজ চায় সেন্টমার্টিনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা। ইতিপূর্বে তারা পুরো সেন্টমার্টিন দ্বীপই চেয়েছিল। মূল ভূখণ্ড থেকে জনসাধারণের নৌপথে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার সুযোগ অবারিত থাকবে। তবে বর্তমানের মতো গোটা সেন্টমার্টিন দ্বীপে সাধারণের চলাচল থাকবে না। নির্দিষ্ট এলাকায়ই তারা চলাচল, অবস্থান করতে পারবেন। এই পরিকল্পনা শুরুতেই বাস্তবায়ন করা হবে না রাজনৈতিক প্রচণ্ড ঝুঁকির কারণে। প্রথম ধাপে সেন্টমার্টিনের একটা নির্দিষ্ট অংশ বিদেশিদের কাছে লিজ দেওয়া হবে প্রমোদ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য। বিদেশিদের ব্যবহারের জন্য এই এলাকা নির্ধারিত থাকবে। স্থলভাগ ও সমুদ্রের নির্দিষ্ট পরিমাণ এলাকায় বিদেশি লিজগ্রহীতার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব থাকবে। পরবর্তী ধাপে এই অংশ মার্কিন সামরিক অবস্থান হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।