প্রচণ্ড গরমে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা, তামিল অভিনেতা-রাজনীতিক থালাপতি বিজয়ের আগমন দেরি এবং বিপুল ভিড়—সবকিছু মিলিয়ে তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনা! নারী, শিশুসহ অন্তত ৩৮ জনের প্রাণহানি এবং বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কারুর জেলায় বিজয়ের সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছিল অন্তত ৩০ হাজার সমর্থক। দুপুর নাগাদ বিজয়ের সেখানে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তিনি প্রায় ছয় ঘণ্টা দেরিতে আসেন। ততক্ষণে সমাবেশস্থল গরমে অতিষ্ঠ ও জনসমাগমে গাদাগাদি হয়ে পড়ে। অনেকে অজ্ঞান হয়ে পড়তে শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিজয় মঞ্চে বক্তব্য শুরু করতেই হুড়োহুড়ি বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি বুঝে তিনি বক্তব্য থামিয়ে দেন এবং তার বিশেষভাবে তৈরি প্রচার বাস থেকে ভিড়ের দিকে পানি ছুড়ে দেন। কিন্তু ততক্ষণে একাংশ সমর্থক ভিড় ঠেলে বাসের কাছাকাছি আসতে গিয়ে পড়ে যান, সেখান থেকে শুরু হয় প্রাণঘাতী পদদলন।
তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রামানিয়ান ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, এ ঘটনায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। আরও ৪০ জনের বেশি মানুষ আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। ভিড় এতই ঘন ছিল যে অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে চরম বেগ পেতে হয়।
বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেট্ট্রি কাজগমের (টিভিকে) এই সমাবেশে প্রাণহানি রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। ক্ষমতাসীন ডিএমকে বিজয়ের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং জেলা প্রশাসনকে পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেছেন।
কারুরের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তামিল রাজনীতির পুরোনো প্রশ্ন নতুন করেছে উঠেছে—জনপ্রিয় তারকা রাজনীতিকদের বিশাল সমাবেশে কীভাবে জননিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। নিহতদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, আর রাজ্যজুড়ে চলছে শোক আর ক্ষোভের মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ঠিকানা/এনআই
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কারুর জেলায় বিজয়ের সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছিল অন্তত ৩০ হাজার সমর্থক। দুপুর নাগাদ বিজয়ের সেখানে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তিনি প্রায় ছয় ঘণ্টা দেরিতে আসেন। ততক্ষণে সমাবেশস্থল গরমে অতিষ্ঠ ও জনসমাগমে গাদাগাদি হয়ে পড়ে। অনেকে অজ্ঞান হয়ে পড়তে শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিজয় মঞ্চে বক্তব্য শুরু করতেই হুড়োহুড়ি বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি বুঝে তিনি বক্তব্য থামিয়ে দেন এবং তার বিশেষভাবে তৈরি প্রচার বাস থেকে ভিড়ের দিকে পানি ছুড়ে দেন। কিন্তু ততক্ষণে একাংশ সমর্থক ভিড় ঠেলে বাসের কাছাকাছি আসতে গিয়ে পড়ে যান, সেখান থেকে শুরু হয় প্রাণঘাতী পদদলন।
তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রামানিয়ান ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, এ ঘটনায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। আরও ৪০ জনের বেশি মানুষ আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। ভিড় এতই ঘন ছিল যে অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে চরম বেগ পেতে হয়।
বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেট্ট্রি কাজগমের (টিভিকে) এই সমাবেশে প্রাণহানি রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। ক্ষমতাসীন ডিএমকে বিজয়ের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং জেলা প্রশাসনকে পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেছেন।
কারুরের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তামিল রাজনীতির পুরোনো প্রশ্ন নতুন করেছে উঠেছে—জনপ্রিয় তারকা রাজনীতিকদের বিশাল সমাবেশে কীভাবে জননিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। নিহতদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, আর রাজ্যজুড়ে চলছে শোক আর ক্ষোভের মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ঠিকানা/এনআই