
যুক্তরাষ্ট্র সফররত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারার ওপর হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি থেকে শুরু করে এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল ও নেতৃবৃন্দ একে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী, নিরাপত্তা-ব্যবস্থার ব্যর্থতা এবং বাংলাদেশের নেতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন। বিএনপি বলছে কাপুরুষোচিত, এনসিপির দাবি নিরাপত্তা-ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতা, প্রেস সচিব বলছেন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা, জামায়াত আখ্যা দিল ‘ব্যাড কালচার’।
বিএনপির প্রতিক্রিয়া : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপ একেবারেই কাপুরুষোচিত আচরণ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একটি ‘সাসপেন্ডেড সন্ত্রাসী দল’, যার নেত্রী বিদেশে পালিয়ে গেছেন আর তাদের অস্তিত্ব এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত। তিনি মনে করেন, এ ধরনের বিচ্ছিন্ন হামলা আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতাকেই স্পষ্ট করে তুলে ধরছে।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিক্রিয়া : জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের মন্তব্য করেছেন, এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের নেতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, ১০-২০ জন এসে সেøাগান বা ডিম ছুড়তে পারে, তবে এটি নিঃসন্দেহে ‘ব্যাড কালচার’ এবং বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক। তার মতে, বিদেশে রাজনৈতিক সফরকারীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও সমন্বয় না থাকায় কূটনৈতিক ব্যবস্থার দুর্বলতাও এখানে প্রকাশ পেয়েছে।
এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্সের বিবৃতি : এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স এ ঘটনাকে শুধু রাজনৈতিক সহিংসতা নয়, রাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক মর্যাদার ওপর আঘাত বলেও আখ্যা দিয়েছে। তাদের ভাষ্য, সরকারি আমন্ত্রণে সফররত নেতাদের ন্যূনতম নিরাপত্তা না দেওয়া নিরাপত্তা-ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতার উদাহরণ। তারা প্রশ্ন তোলে, বিদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়া নেতারা যদি নিরাপত্তা না পান, তবে দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোর যৌক্তিকতা কী।
সংগঠনটি তিন দফা দাবি জানিয়েছে :
১. যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা।
২. বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলসহ পুরো ফরেন সার্ভিস টিমকে চাকরিচ্যুত করা। ৩. সফররত সকল নেতার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ঘটনাটিকে অনাকাক্সিক্ষত বলেছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, বিষয়টি কনস্যুলেট ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে। একই সঙ্গে তিনি প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ কার্যক্রম, এসডিজি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ, আইএমএফের সভা ও মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নেতাদের নিরাপত্তায় অবহেলা ইতিহাসের কাছে অমার্জনীয় ব্যর্থতা : রাষ্ট্রদূত আনসারী
মেক্সিকোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সফররত প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক সফরসঙ্গীদের নিরাপত্তায় ঘাটতি ইতিহাসের কাছে এক অমার্জনীয় ব্যর্থতা হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, জেএফকে বিমানবন্দরে আখতার হোসেন ও ডা. তাসনিম জারার ওপর হামলা ন্যক্কারজনক ও অগ্রহণযোগ্য। জাতিসংঘ অধিবেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের মর্যাদা ও গণতান্ত্রিক অঙ্গীকারের ওপর আঘাত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আখতার হোসেনের প্রতিক্রিয়া : এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি আওয়ামী লীগের হামলায় ভয় পান না। তার বক্তব্য, ‘দেশে যেমন আমরা তাদের টার্গেটে থাকি, বিদেশেও তা-ই। কিন্তু আন্দোলনের পথে আমরা পিছিয়ে আসব না। বাংলাদেশের মানুষ সাহসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস প্রতিহত করেছে, আগামীতেও করবে।’
ডা. তাসনিম জারার প্রতিক্রিয়া : এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, হামলাটি ব্যক্তি আখতার হোসেনের ওপর নয়, তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে হয়েছে। তার ভাষ্য, ‘এটি পরাজিত শক্তির ভয় ও হতাশার বহিঃপ্রকাশ। বরং এই আক্রমণ আখতার হোসেনকে আরও দৃঢ় করবে, দুর্বল করবে না।’ নিউইয়র্কে আখতার হোসেন ও ডা. তাসনিম জারার ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় সব রাজনৈতিক শক্তি নিন্দা জানিয়েছে। প্রবাসে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সমন্বিত ও কার্যকর নিরাপত্তা-ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন সবাই।
বিএনপির প্রতিক্রিয়া : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপ একেবারেই কাপুরুষোচিত আচরণ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একটি ‘সাসপেন্ডেড সন্ত্রাসী দল’, যার নেত্রী বিদেশে পালিয়ে গেছেন আর তাদের অস্তিত্ব এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত। তিনি মনে করেন, এ ধরনের বিচ্ছিন্ন হামলা আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতাকেই স্পষ্ট করে তুলে ধরছে।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিক্রিয়া : জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের মন্তব্য করেছেন, এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের নেতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, ১০-২০ জন এসে সেøাগান বা ডিম ছুড়তে পারে, তবে এটি নিঃসন্দেহে ‘ব্যাড কালচার’ এবং বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক। তার মতে, বিদেশে রাজনৈতিক সফরকারীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও সমন্বয় না থাকায় কূটনৈতিক ব্যবস্থার দুর্বলতাও এখানে প্রকাশ পেয়েছে।
এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্সের বিবৃতি : এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স এ ঘটনাকে শুধু রাজনৈতিক সহিংসতা নয়, রাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক মর্যাদার ওপর আঘাত বলেও আখ্যা দিয়েছে। তাদের ভাষ্য, সরকারি আমন্ত্রণে সফররত নেতাদের ন্যূনতম নিরাপত্তা না দেওয়া নিরাপত্তা-ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতার উদাহরণ। তারা প্রশ্ন তোলে, বিদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়া নেতারা যদি নিরাপত্তা না পান, তবে দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোর যৌক্তিকতা কী।
সংগঠনটি তিন দফা দাবি জানিয়েছে :
১. যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা।
২. বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলসহ পুরো ফরেন সার্ভিস টিমকে চাকরিচ্যুত করা। ৩. সফররত সকল নেতার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ঘটনাটিকে অনাকাক্সিক্ষত বলেছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, বিষয়টি কনস্যুলেট ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে। একই সঙ্গে তিনি প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ কার্যক্রম, এসডিজি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ, আইএমএফের সভা ও মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নেতাদের নিরাপত্তায় অবহেলা ইতিহাসের কাছে অমার্জনীয় ব্যর্থতা : রাষ্ট্রদূত আনসারী
মেক্সিকোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সফররত প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক সফরসঙ্গীদের নিরাপত্তায় ঘাটতি ইতিহাসের কাছে এক অমার্জনীয় ব্যর্থতা হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, জেএফকে বিমানবন্দরে আখতার হোসেন ও ডা. তাসনিম জারার ওপর হামলা ন্যক্কারজনক ও অগ্রহণযোগ্য। জাতিসংঘ অধিবেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের মর্যাদা ও গণতান্ত্রিক অঙ্গীকারের ওপর আঘাত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আখতার হোসেনের প্রতিক্রিয়া : এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি আওয়ামী লীগের হামলায় ভয় পান না। তার বক্তব্য, ‘দেশে যেমন আমরা তাদের টার্গেটে থাকি, বিদেশেও তা-ই। কিন্তু আন্দোলনের পথে আমরা পিছিয়ে আসব না। বাংলাদেশের মানুষ সাহসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস প্রতিহত করেছে, আগামীতেও করবে।’
ডা. তাসনিম জারার প্রতিক্রিয়া : এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, হামলাটি ব্যক্তি আখতার হোসেনের ওপর নয়, তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে হয়েছে। তার ভাষ্য, ‘এটি পরাজিত শক্তির ভয় ও হতাশার বহিঃপ্রকাশ। বরং এই আক্রমণ আখতার হোসেনকে আরও দৃঢ় করবে, দুর্বল করবে না।’ নিউইয়র্কে আখতার হোসেন ও ডা. তাসনিম জারার ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় সব রাজনৈতিক শক্তি নিন্দা জানিয়েছে। প্রবাসে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সমন্বিত ও কার্যকর নিরাপত্তা-ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন সবাই।