তিন দিনের ভারত সফর শেষে গত ২৩ আগস্ট দেশে ফেরেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে যাননি দলের কোনো কো-চেয়ারম্যান। যদিও জি এম কাদেরের আগের সফরগুলোতে বিমানবন্দরে তাদের দেখা যেত। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তিন দিনের ভারত সফর নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন।
দলীয় সূত্রমতে, ভারত সফরকালে বিজেপিসহ সাবেক রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক হয় জি এম কাদেরের। বৈঠকে আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘নো ডিভিশন উইথ ফার্স্ট লেডি (রওশন এরশাদ)’ এবং ‘নো চেইঞ্জ অব মেইন ট্র্যাক’। অর্থাৎ রওশন এরশাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিভাজন নেই। প্রধান ট্র্যাকের কোনো পরিবর্তন নেই বলে জানায় ভারত। তাই জাপাকে আগের ধারাতেই থাকতে বলা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে রওশন এরশাদকে সমর্থন এবং তার নেতৃত্বেই নির্বাচনে অংশ নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে থাকতে বলা হয় জি এম কাদেরকে। তাই পার্টির চেয়ারম্যান বিমানবন্দরে ভারত সফর নিয়ে মুখ খুলতে পারেননি।
এ ছাড়া ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করেছেন জি এম কাদের। ওই সব আলোচনায়ও জাতীয় পার্টিকে এখনই কোনো দিকে হেলে না পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জি এম কাদেরের ভারত সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। দলীয় প্রার্থীদের একটি তালিকাও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বিরোধীদলীয় নেত্রী। জি এম কাদের যখন ভারত সফরে, ঠিক তখনই রওশন এরশাদ নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে কাউন্সিলের ডাক দেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে হইচই পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া রওশনের প্রার্থী তালিকা আর নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণার মধ্য দিয়ে দলের মধ্যে গ্রুপিং আরও প্রকট হয়। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ওঠে, দেবর-ভাবির সমঝোতা হবে নাকি সরকারবিরোধী জোটে যাবেন জি এম কাদের।
এরই মধ্যে কোনো ধরনের প্রচার ছাড়াই থাইল্যান্ডে ট্রানজিট নিয়ে সিঙ্গাপুর গেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। সেখানে আগে থেকেই অবস্থানরত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাপা মহাসচিব। চুন্নুর সিঙ্গাপুর সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ঘনিষ্ঠ জাতীয় ছাত্রসমাজের শীর্ষ এক নেতা। তিনি বলেন, জি এম কাদেরের সিগন্যালেই তিনি সিঙ্গাপুর গেছেন। সেখানে বৈঠকও করেছেন।
অন্যদিকে জি এম কাদের দেশে আসার পর কাদেরপন্থী জাপার কো-চেয়ারম্যান মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, সালমা ইসলাম এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, রুস্তম আলী ফরাজি এমপি, পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ এমপি, রওশন আরা মান্নান এমপি, নাজমা আক্তার এমপি, নাসরিন জাহান রত্না এমপি, হাফিজ উদ্দিন এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেম রওশন এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই রওশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচন ঘিরে জাতীয় পার্টি এক গোলকধাঁধার মধ্যে পড়েছে।
আগামী নির্বাচনে তুরুপের টেক্কা হিসেবে মহাজোট ও বিরোধী জোটে গুরুত্ব পাচ্ছে জাতীয় পার্টি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবে নাকি বিএনপির সঙ্গে যোগ দেবে, নাকি এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে জাপা-এ নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। দলটির একাধিক সিনিয়র নেতা বলেছেন, নির্বাচন এলেই জাতীয় পার্টিতে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এটাও সেই নতুন খেলার অংশ। তবে জাতীয় পার্টি এবার খেলার ঘুঁটি হবে না। জি এম কাদের এখনো শক্ত অবস্থান নিয়ে আছেন। তাই কিছুদিনের মধ্যেই রাজনীতিতে নতুন কিছু ঘটতে পারে। তাদের মতে, জি এম কাদের এখনো আগের সিদ্ধান্তে অটল। বিদেশি বা দেশের ভেতরে কারও চাপে মাথানত করতে নারাজ তিনি। দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’ বা চেয়ারম্যান পদ হারানোর চাপ দিলেও তিনি সরতে নারাজ। তাই শেষ পর্যন্ত যারা পাশে থাকবে, তাদের নিয়েই সরকারবিরোধী বিএনপি জোটে যোগ দিতে পারেন। নিরপেক্ষ নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে রাজপথে শামিল হতে পারেন। কারণ হিসেবে ওই নেতারা বলছেন, ইতিমধ্যে বিএনপি থেকে আসন বণ্টন, নির্বাচনকালীন সরকার এবং নির্বাচন-পরবর্তী জাতীয় সরকারে জি এম কাদেরকে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় জাতীয় পার্টি। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি যে জোটে যাবে, তারা চালকের আসনে থাকবে।
এসব বিষয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বিমানবন্দরে জি এম কাদেরকে স্বাগত জানাতে দলীয়ভাবে কাউকে যেতে বলা হয়নি। তাই নেতাকর্মীরা কেউই যাননি। একটি মহল কো-চেয়ারম্যানদের নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। রওশন এরশাদ নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি দলের চেয়ারম্যান নন। দল থেকে যাদের বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা এসব করিয়েছে এবং মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। যাদের বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের দলে আর ফেরানো হবে না।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন এলেই জাতীয় পার্টি বিএনপির দিকে যাবে নাকি আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থাকবে, নাকি একাই নির্বাচনকে করবে- এমন নানা কিছু আলোচনা সামনে আসে। এবারও সেটা হচ্ছে। তবে দল নিজের মতো করেই সিদ্ধান্ত নেবে।
দলীয় সূত্রমতে, ভারত সফরকালে বিজেপিসহ সাবেক রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক হয় জি এম কাদেরের। বৈঠকে আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘নো ডিভিশন উইথ ফার্স্ট লেডি (রওশন এরশাদ)’ এবং ‘নো চেইঞ্জ অব মেইন ট্র্যাক’। অর্থাৎ রওশন এরশাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিভাজন নেই। প্রধান ট্র্যাকের কোনো পরিবর্তন নেই বলে জানায় ভারত। তাই জাপাকে আগের ধারাতেই থাকতে বলা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে রওশন এরশাদকে সমর্থন এবং তার নেতৃত্বেই নির্বাচনে অংশ নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে থাকতে বলা হয় জি এম কাদেরকে। তাই পার্টির চেয়ারম্যান বিমানবন্দরে ভারত সফর নিয়ে মুখ খুলতে পারেননি।
এ ছাড়া ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করেছেন জি এম কাদের। ওই সব আলোচনায়ও জাতীয় পার্টিকে এখনই কোনো দিকে হেলে না পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জি এম কাদেরের ভারত সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। দলীয় প্রার্থীদের একটি তালিকাও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বিরোধীদলীয় নেত্রী। জি এম কাদের যখন ভারত সফরে, ঠিক তখনই রওশন এরশাদ নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে কাউন্সিলের ডাক দেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে হইচই পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া রওশনের প্রার্থী তালিকা আর নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণার মধ্য দিয়ে দলের মধ্যে গ্রুপিং আরও প্রকট হয়। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ওঠে, দেবর-ভাবির সমঝোতা হবে নাকি সরকারবিরোধী জোটে যাবেন জি এম কাদের।
এরই মধ্যে কোনো ধরনের প্রচার ছাড়াই থাইল্যান্ডে ট্রানজিট নিয়ে সিঙ্গাপুর গেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। সেখানে আগে থেকেই অবস্থানরত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাপা মহাসচিব। চুন্নুর সিঙ্গাপুর সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ঘনিষ্ঠ জাতীয় ছাত্রসমাজের শীর্ষ এক নেতা। তিনি বলেন, জি এম কাদেরের সিগন্যালেই তিনি সিঙ্গাপুর গেছেন। সেখানে বৈঠকও করেছেন।
অন্যদিকে জি এম কাদের দেশে আসার পর কাদেরপন্থী জাপার কো-চেয়ারম্যান মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, সালমা ইসলাম এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, রুস্তম আলী ফরাজি এমপি, পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ এমপি, রওশন আরা মান্নান এমপি, নাজমা আক্তার এমপি, নাসরিন জাহান রত্না এমপি, হাফিজ উদ্দিন এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেম রওশন এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই রওশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচন ঘিরে জাতীয় পার্টি এক গোলকধাঁধার মধ্যে পড়েছে।
আগামী নির্বাচনে তুরুপের টেক্কা হিসেবে মহাজোট ও বিরোধী জোটে গুরুত্ব পাচ্ছে জাতীয় পার্টি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবে নাকি বিএনপির সঙ্গে যোগ দেবে, নাকি এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে জাপা-এ নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। দলটির একাধিক সিনিয়র নেতা বলেছেন, নির্বাচন এলেই জাতীয় পার্টিতে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এটাও সেই নতুন খেলার অংশ। তবে জাতীয় পার্টি এবার খেলার ঘুঁটি হবে না। জি এম কাদের এখনো শক্ত অবস্থান নিয়ে আছেন। তাই কিছুদিনের মধ্যেই রাজনীতিতে নতুন কিছু ঘটতে পারে। তাদের মতে, জি এম কাদের এখনো আগের সিদ্ধান্তে অটল। বিদেশি বা দেশের ভেতরে কারও চাপে মাথানত করতে নারাজ তিনি। দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’ বা চেয়ারম্যান পদ হারানোর চাপ দিলেও তিনি সরতে নারাজ। তাই শেষ পর্যন্ত যারা পাশে থাকবে, তাদের নিয়েই সরকারবিরোধী বিএনপি জোটে যোগ দিতে পারেন। নিরপেক্ষ নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে রাজপথে শামিল হতে পারেন। কারণ হিসেবে ওই নেতারা বলছেন, ইতিমধ্যে বিএনপি থেকে আসন বণ্টন, নির্বাচনকালীন সরকার এবং নির্বাচন-পরবর্তী জাতীয় সরকারে জি এম কাদেরকে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় জাতীয় পার্টি। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি যে জোটে যাবে, তারা চালকের আসনে থাকবে।
এসব বিষয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বিমানবন্দরে জি এম কাদেরকে স্বাগত জানাতে দলীয়ভাবে কাউকে যেতে বলা হয়নি। তাই নেতাকর্মীরা কেউই যাননি। একটি মহল কো-চেয়ারম্যানদের নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। রওশন এরশাদ নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি দলের চেয়ারম্যান নন। দল থেকে যাদের বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা এসব করিয়েছে এবং মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। যাদের বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের দলে আর ফেরানো হবে না।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন এলেই জাতীয় পার্টি বিএনপির দিকে যাবে নাকি আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থাকবে, নাকি একাই নির্বাচনকে করবে- এমন নানা কিছু আলোচনা সামনে আসে। এবারও সেটা হচ্ছে। তবে দল নিজের মতো করেই সিদ্ধান্ত নেবে।