
নূরুল ইসলাম সম্প্রতি সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) তরুণদের মধ্যে পরিচালিত এক জনমত জরিপে দেখা যায়, ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ মতামত পেয়ে বিএনপি শীর্ষে রয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষে মত দিয়েছেন ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে।
তবে দিন যত যাচ্ছে অর্থাৎ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, দেশের রাজনীতির সমীকরণও তত পাল্টাচ্ছে। বর্তমানে নয়া সমীকরণের পথে হাঁটছে দেশের রাজনীতি। দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় এখন দৃশ্যপটে নেই বিএনপির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। ভোট ও মাঠের রাজনীতিতে বিএনপি এখনো দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী জায়গায় থাকলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে একসময়ের চারদলীয় জোট সরকারের অংশীদার ও মিত্রদল জামায়াতে ইসলামী।
আওয়ামী লীগবিহীন মাঠে পরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামী এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। বিএনপিকে ঠেকাতে ইসলামী আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি (একাংশ), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও খেলাফত মজলিস, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), এবি পার্টি এবং গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে জোট বাঁধার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নির্বাচনের আগে নিজেদের রাজনৈতিক শক্তি ও তৎপরতা জানান দিতে এবার রাজপথে নামছে জামায়াত জোট। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরি এবং ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি সামনে রেখে মাঠে নামার ঘোষণা তাদের। এভাবেই বিএনপিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে জামায়াত।
এদিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর জাতীয় পার্টিকে (জাপা) নিষিদ্ধের জোর দাবি ওঠে। বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পতিত সরকারের কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছিল দলটি। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই দলটির নেতাদের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবি জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সম্প্রতি জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় মারাত্মক আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিলসহ জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এমন প্রেক্ষাপটে দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। তবে দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপি মনে করে, জাপাকে নিষিদ্ধ নয়, বরং দলটির নেতাদের অপরাধের বিচার হোক। এ ছাড়া জাপাকে নিষিদ্ধের নেপথ্যে রাজনীতির কী সমীকরণ কাজ করছে, তা নিয়েও রয়েছে নানা বিশ্লেষণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, জাপা নিষিদ্ধ হলে লাভবান হবে ছোট রাজনৈতিক দলগুলো, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হবে জনপ্রিয়তার বিচারে চতুর্থ বা পঞ্চম স্থানের দলগুলো। তবে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং সংসদে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন জাতীয় পার্টির নেতারা।
অন্যদিকে বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি নতুন কোনো নির্বাচনী জোটের ঘোষণা এখন পর্যন্ত না দিলেও হাসিনা সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা দলগুলোকে নিয়েই তৎপর রয়েছে। এদের সঙ্গে আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির। এমনকি আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর ছাড়া আরও কোনো সমমনা দল, জোট কিংবা ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে স্বাগত জানাবে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরও আগে থেকেই আগামী সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচনোত্তর সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। তার এ ঘোষণা এবং ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়কে সামনে রেখেই জনগণের কাছে যাচ্ছে বিএনপি। এতেই বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর দৃঢ় আস্থা। আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে জয়লাভের বিষয়েও তারা যথেষ্ট আশাবাদী।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবির পেছনে বড় ধরনের রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ রয়েছে। জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ হলে জামায়াত আসন্ন নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হবে, সেটি স্পষ্টত বলাই যায়, যা জামায়াতের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটতে পারে। তবে জাতীয় পার্টি যদি নিষিদ্ধ না হয়, তাহলে জামায়াতের প্রধান বিরোধী দল হওয়ার সম্ভাবনা চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করেন তারা। পাশাপাশি নির্বাচন ইস্যুতে শক্তি প্রদর্শনে ছোট কিছু দলের জন্যও জাপা নিষিদ্ধ হওয়া সুবিধাজনক। এ ছাড়া যেকোনো ইস্যু ধরে জামায়াত এবং এনসিপি যদি নির্বাচন বর্জন করে, তাহলে বিএনপির জন্য তা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ না হলে জামায়াত, এনসিপিসহ আরও কিছু দল বিএনপিকে চাপে ফেলতে পারবে না। এমন কিছু বিষয় আলোচনায় রয়েছে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, অভ্যুত্থানের এক বছর পর এসে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবির পেছনে প্রধানত জামায়াত ও এনসিপির রাজনীতি আছে। জামায়াত মনে করছে, তারা আগামী নির্বাচনে ৭০ থেকে ৮০টি সিট পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হতে পারবে। এমনটা হলে তা হবে তাদের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন। কিন্তু জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিতে পারলে সেটা হয়তো আর হবে না। কারণ, অনেক আওয়ামী লীগ নেতা আছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তারা তখন জাতীয় পার্টির প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তাহলে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হয়ে যেতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের মতে, শেষ পর্যন্ত ইসলামপন্থীরা এক লাইনে চলে আসতে পারে। অথবা বিরোধী দল হওয়ার জন্য ইসলামপন্থীরা এক ধারায় ঐক্যবদ্ধ হতে পারে নির্বাচনের আগে। আবার যারা বৈষম্যবিরোধী আছে, তাদের থেকে যেসব দল বের হচ্ছে, তাদের মধ্যেও একটা ঐক্য হতে পারে। যারা বাম ঘরানার অথবা সেক্যুলার ঘরানার, তাদের মধ্যেও একটা ঐক্য তৈরি হতে পারে। তবে এ অবস্থায় বিএনপির বিপরীতে বিকল্প কোনো শক্তি বা ধারা তৈরি হতে আরও সময় লাগবে।
তবে দিন যত যাচ্ছে অর্থাৎ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, দেশের রাজনীতির সমীকরণও তত পাল্টাচ্ছে। বর্তমানে নয়া সমীকরণের পথে হাঁটছে দেশের রাজনীতি। দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় এখন দৃশ্যপটে নেই বিএনপির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। ভোট ও মাঠের রাজনীতিতে বিএনপি এখনো দেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী জায়গায় থাকলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে একসময়ের চারদলীয় জোট সরকারের অংশীদার ও মিত্রদল জামায়াতে ইসলামী।
আওয়ামী লীগবিহীন মাঠে পরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামী এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। বিএনপিকে ঠেকাতে ইসলামী আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি (একাংশ), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও খেলাফত মজলিস, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), এবি পার্টি এবং গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে জোট বাঁধার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নির্বাচনের আগে নিজেদের রাজনৈতিক শক্তি ও তৎপরতা জানান দিতে এবার রাজপথে নামছে জামায়াত জোট। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরি এবং ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি সামনে রেখে মাঠে নামার ঘোষণা তাদের। এভাবেই বিএনপিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে জামায়াত।
এদিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর জাতীয় পার্টিকে (জাপা) নিষিদ্ধের জোর দাবি ওঠে। বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পতিত সরকারের কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছিল দলটি। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই দলটির নেতাদের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবি জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সম্প্রতি জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় মারাত্মক আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিলসহ জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এমন প্রেক্ষাপটে দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। তবে দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপি মনে করে, জাপাকে নিষিদ্ধ নয়, বরং দলটির নেতাদের অপরাধের বিচার হোক। এ ছাড়া জাপাকে নিষিদ্ধের নেপথ্যে রাজনীতির কী সমীকরণ কাজ করছে, তা নিয়েও রয়েছে নানা বিশ্লেষণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, জাপা নিষিদ্ধ হলে লাভবান হবে ছোট রাজনৈতিক দলগুলো, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হবে জনপ্রিয়তার বিচারে চতুর্থ বা পঞ্চম স্থানের দলগুলো। তবে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং সংসদে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন জাতীয় পার্টির নেতারা।
অন্যদিকে বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি নতুন কোনো নির্বাচনী জোটের ঘোষণা এখন পর্যন্ত না দিলেও হাসিনা সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা দলগুলোকে নিয়েই তৎপর রয়েছে। এদের সঙ্গে আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির। এমনকি আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর ছাড়া আরও কোনো সমমনা দল, জোট কিংবা ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে স্বাগত জানাবে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরও আগে থেকেই আগামী সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচনোত্তর সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। তার এ ঘোষণা এবং ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়কে সামনে রেখেই জনগণের কাছে যাচ্ছে বিএনপি। এতেই বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর দৃঢ় আস্থা। আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে জয়লাভের বিষয়েও তারা যথেষ্ট আশাবাদী।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবির পেছনে বড় ধরনের রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ রয়েছে। জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ হলে জামায়াত আসন্ন নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হবে, সেটি স্পষ্টত বলাই যায়, যা জামায়াতের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটতে পারে। তবে জাতীয় পার্টি যদি নিষিদ্ধ না হয়, তাহলে জামায়াতের প্রধান বিরোধী দল হওয়ার সম্ভাবনা চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করেন তারা। পাশাপাশি নির্বাচন ইস্যুতে শক্তি প্রদর্শনে ছোট কিছু দলের জন্যও জাপা নিষিদ্ধ হওয়া সুবিধাজনক। এ ছাড়া যেকোনো ইস্যু ধরে জামায়াত এবং এনসিপি যদি নির্বাচন বর্জন করে, তাহলে বিএনপির জন্য তা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ না হলে জামায়াত, এনসিপিসহ আরও কিছু দল বিএনপিকে চাপে ফেলতে পারবে না। এমন কিছু বিষয় আলোচনায় রয়েছে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, অভ্যুত্থানের এক বছর পর এসে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবির পেছনে প্রধানত জামায়াত ও এনসিপির রাজনীতি আছে। জামায়াত মনে করছে, তারা আগামী নির্বাচনে ৭০ থেকে ৮০টি সিট পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হতে পারবে। এমনটা হলে তা হবে তাদের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন। কিন্তু জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিতে পারলে সেটা হয়তো আর হবে না। কারণ, অনেক আওয়ামী লীগ নেতা আছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তারা তখন জাতীয় পার্টির প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তাহলে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হয়ে যেতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের মতে, শেষ পর্যন্ত ইসলামপন্থীরা এক লাইনে চলে আসতে পারে। অথবা বিরোধী দল হওয়ার জন্য ইসলামপন্থীরা এক ধারায় ঐক্যবদ্ধ হতে পারে নির্বাচনের আগে। আবার যারা বৈষম্যবিরোধী আছে, তাদের থেকে যেসব দল বের হচ্ছে, তাদের মধ্যেও একটা ঐক্য হতে পারে। যারা বাম ঘরানার অথবা সেক্যুলার ঘরানার, তাদের মধ্যেও একটা ঐক্য তৈরি হতে পারে। তবে এ অবস্থায় বিএনপির বিপরীতে বিকল্প কোনো শক্তি বা ধারা তৈরি হতে আরও সময় লাগবে।