নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনে আছে বিরোধী জোট। সামনের দিনে এই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ দিতে চায় বিএনপি। আসছে সেপ্টেম্বরে ঢাকায় কঠোর আন্দোলনের একাধিক রোডম্যাপ প্রস্তুত করেছে দলটি। লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার পর কে কোন দায়িত্ব পালন করবেন, তারও তালিকা তৈরি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ও সরকারের দমন-নিপীড়ন মাথায় রেখে একাধিক নেতাকে সমন্বয়ক হিসেবে রাখা হয়েছে। ঢাকার লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচিতে প্রস্তুত হতে নেতাকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে দিকনির্দেশনা। সেপ্টেম্বর মাসেই সরকার পতনে অলআউট মাঠের আন্দোলনে নামতে চায় তারা।
বিএনপি দৃশ্যত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় অবস্থানে থাকলেও পর্দার আড়ালে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে ভিন্ন খেলা। আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বাস্তবায়ন করা যে সম্ভব হবে না, দলের নীতিনির্ধারকদের কাছেও তা স্পষ্ট। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে পিছু হটে রাজনৈতিক সমঝোতায় নির্বাচনকালীন সরকারে মনোযোগী হচ্ছে দলটি।
বিএনপি ও জোটের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হচ্ছে না। তিন বছরের জন্য একটি সরকার গঠিত হচ্ছে - এটি প্রায় চূড়ান্ত। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চাচ্ছে তাদের দল থেকে বেশির ভাগ সদস্য দিয়ে, বিএনপি থেকে বড় অংশ নিয়ে এবং অন্য রাজনৈতিক দলগুলো থেকে শতাংশ হারে পদের মাধ্যমে এই ‘ছোট সরকার’ গঠিত হবে। তবে এ বিষয়ে বিএনপি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ওই সরকারে আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ সদস্য দিতে বিএনপি রাজি হচ্ছে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে খুব শিগগিরই বিএনপির হাইকমান্ডের বৈঠকে ছোট সরকারের ফরম্যাট ও পলিসি কী হবে, তা বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ছোট সরকারের প্রধান হিসেবে বিএনপি দেশের শীর্ষস্থানীয় এক ব্যক্তির ওপর নির্ভর করছে। সূত্রটির ভাষ্য, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে বিএনপির পছন্দ। তবে তিনি যদি না আসেন, তার যাকে পছন্দ, যাকে তিনি নির্দিষ্ট করে দেন, তাতেই বিএনপি রাজি থাকবে।
ওই সূত্রের ভাষ্য, বিএনপির হাতে আপাতত তিনটি অ্যাজেন্ডা রয়েছে। প্রথমত, তিন বছরের ছোট সরকারের মাধ্যমে তারা দেশের স্থায়ী নির্বাচনী ব্যবস্থা ঠিক করবে, যাতে এরপর সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সব জনগণ ভোট প্রয়োগ করতে পারে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনে দলীয় অবস্থান ও হস্তক্ষেপ মুক্তকরণ। তৃতীয়ত, সরকার গঠনের পর কিছু জরুরি প্রস্তাব রেখে যাবে ছোট সরকার, সেখানে আইন-আদালত সংস্কার, সংবিধানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিবর্তনের কথা উল্লেখ থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলছে, পর্দার আড়ালে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে ১০ জন, বিএনপির পক্ষ থেকে পাঁচজন, অন্যান্য দল থেকে তিন-দুই-এক হারে প্রস্তাবনা আসে। প্রাথমিকভাবে বিএনপি আওয়ামী লীগের বৃহৎ সংখ্যায় কোনোভাবেই রাজি হচ্ছে না। এ বিষয়গুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক মিশনগুলোও যুক্ত রয়েছে, তারা আগামী নির্বাচনে দেশে কোনোভাবেই সংঘাত-সহিংসতা চাচ্ছে না। সব দলকে সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে কূটনৈতিক মিশনেও স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার চাচ্ছে। অন্যদিকে চীন, রাশিয়া, ভারত ক্ষমতাসীন সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশে আগামীতে একটি অনিশ্চিত অবস্থা যে তৈরি হচ্ছে, তা দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের কাছেও স্পষ্ট।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির মধ্যে যে তিন বছরের ছোট সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি, তা খন্দকার মোশাররফের জানার বাইরে। সিনিয়র স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে তার সঙ্গে পুরো বিষয়টি সরাসরি আলোচনা করবে বিএনপি। এ জন্য দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও চিকিৎসার নামে সিঙ্গাপুরে গেছেন। মির্জা আব্বাসের সঙ্গে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসও রয়েছেন। তারা দুজনই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, সিঙ্গাপুরে ছোট সরকারের রূপরেখা নিয়ে তারেক রহমানের বিশেষ মাধ্যম ও মোশাররফসহ শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হবে। দলের আরো দু-একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তিনজন ভাইস চেয়ারম্যানও সিঙ্গাপুরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সরাসরি বৈঠকের মাধ্যমে ছোট সরকারের কী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হবে, তা চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কূটনৈতিক পলিসি এবং কয়েকটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ দূতের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আগামীতে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। গণতন্ত্রবিরোধী সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
বিএনপি দৃশ্যত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় অবস্থানে থাকলেও পর্দার আড়ালে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে ভিন্ন খেলা। আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বাস্তবায়ন করা যে সম্ভব হবে না, দলের নীতিনির্ধারকদের কাছেও তা স্পষ্ট। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে পিছু হটে রাজনৈতিক সমঝোতায় নির্বাচনকালীন সরকারে মনোযোগী হচ্ছে দলটি।
বিএনপি ও জোটের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হচ্ছে না। তিন বছরের জন্য একটি সরকার গঠিত হচ্ছে - এটি প্রায় চূড়ান্ত। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চাচ্ছে তাদের দল থেকে বেশির ভাগ সদস্য দিয়ে, বিএনপি থেকে বড় অংশ নিয়ে এবং অন্য রাজনৈতিক দলগুলো থেকে শতাংশ হারে পদের মাধ্যমে এই ‘ছোট সরকার’ গঠিত হবে। তবে এ বিষয়ে বিএনপি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ওই সরকারে আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ সদস্য দিতে বিএনপি রাজি হচ্ছে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে খুব শিগগিরই বিএনপির হাইকমান্ডের বৈঠকে ছোট সরকারের ফরম্যাট ও পলিসি কী হবে, তা বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ছোট সরকারের প্রধান হিসেবে বিএনপি দেশের শীর্ষস্থানীয় এক ব্যক্তির ওপর নির্ভর করছে। সূত্রটির ভাষ্য, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে বিএনপির পছন্দ। তবে তিনি যদি না আসেন, তার যাকে পছন্দ, যাকে তিনি নির্দিষ্ট করে দেন, তাতেই বিএনপি রাজি থাকবে।
ওই সূত্রের ভাষ্য, বিএনপির হাতে আপাতত তিনটি অ্যাজেন্ডা রয়েছে। প্রথমত, তিন বছরের ছোট সরকারের মাধ্যমে তারা দেশের স্থায়ী নির্বাচনী ব্যবস্থা ঠিক করবে, যাতে এরপর সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সব জনগণ ভোট প্রয়োগ করতে পারে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনে দলীয় অবস্থান ও হস্তক্ষেপ মুক্তকরণ। তৃতীয়ত, সরকার গঠনের পর কিছু জরুরি প্রস্তাব রেখে যাবে ছোট সরকার, সেখানে আইন-আদালত সংস্কার, সংবিধানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিবর্তনের কথা উল্লেখ থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলছে, পর্দার আড়ালে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে ১০ জন, বিএনপির পক্ষ থেকে পাঁচজন, অন্যান্য দল থেকে তিন-দুই-এক হারে প্রস্তাবনা আসে। প্রাথমিকভাবে বিএনপি আওয়ামী লীগের বৃহৎ সংখ্যায় কোনোভাবেই রাজি হচ্ছে না। এ বিষয়গুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক মিশনগুলোও যুক্ত রয়েছে, তারা আগামী নির্বাচনে দেশে কোনোভাবেই সংঘাত-সহিংসতা চাচ্ছে না। সব দলকে সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে কূটনৈতিক মিশনেও স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার চাচ্ছে। অন্যদিকে চীন, রাশিয়া, ভারত ক্ষমতাসীন সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশে আগামীতে একটি অনিশ্চিত অবস্থা যে তৈরি হচ্ছে, তা দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের কাছেও স্পষ্ট।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির মধ্যে যে তিন বছরের ছোট সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি, তা খন্দকার মোশাররফের জানার বাইরে। সিনিয়র স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে তার সঙ্গে পুরো বিষয়টি সরাসরি আলোচনা করবে বিএনপি। এ জন্য দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও চিকিৎসার নামে সিঙ্গাপুরে গেছেন। মির্জা আব্বাসের সঙ্গে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসও রয়েছেন। তারা দুজনই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, সিঙ্গাপুরে ছোট সরকারের রূপরেখা নিয়ে তারেক রহমানের বিশেষ মাধ্যম ও মোশাররফসহ শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হবে। দলের আরো দু-একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তিনজন ভাইস চেয়ারম্যানও সিঙ্গাপুরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সরাসরি বৈঠকের মাধ্যমে ছোট সরকারের কী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হবে, তা চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কূটনৈতিক পলিসি এবং কয়েকটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ দূতের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আগামীতে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। গণতন্ত্রবিরোধী সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।