রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ পয়েলা সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকাল ৩টায় ছাত্রসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে সারা দেশ থেকে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী সমাগমের টার্গেট করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণদের দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেবেন বলে জানান আয়োজকরা। এতে সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আজ মুখরিত হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কয়েক মাস পরেই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে থাকছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখেই আগেভাগেই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র পক্ষে জাগরণ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজম্মের আস্থা রয়েছে—এমন বার্তাই দিতে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। দেশবাসীকে আগামী নির্বাচনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকার আহ্বান জানাবে তারা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে ছাত্রসমাজের করণীয় তুলে ধরবেন ও দেশবাসীর কাছে ভোট চাইবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া স্বাধীনতাবিরোধী, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশবাসী ও ছাত্রসমাজকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানাবেন শেখ হাসিনা।
৩১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সমাবেশের প্রস্তুতির বিষয়টি জানাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। এ সময় তারা বলেন, স্মরণকালের বৃহত্তম ছাত্রসমাবেশ হবে এটি। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘শুক্রবারের ছাত্র সমাবেশ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন আনবে। এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে আমরা বার্তা দিতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, জাতির পিতার আদর্শে বলীয়ান থাকব। একই সঙ্গে খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদিদের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করার কোনো জায়গা ছাত্রসমাজে নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটি ছাত্রলীগের সমাবেশে সীমাবদ্ধ নেই। দেশের ৫ কোটি শিক্ষার্থী তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এই সমাবেশে যুক্ত থাকবে। আগামী নির্বাচনে এই তরুণদের শক্তির ওপর ভিত্তি করে শেখ হাসিনা নিরঙ্কুশ ব্যালট বিপ্লবে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে আজকের ছাত্রসমাজ আপসহীন জায়গায় রয়েছে।’ সব প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করে, যারা প্রগতিশীল রাজনীতিচর্চা করে এমন ছাত্র সংগঠনকে সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আসন্ন ২০২৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও নৌকার কোনো বিকল্প নেই। এই প্রশ্নে ছাত্রসমাজ, তরুণসমাজ আজ এক ও ঐক্যবদ্ধ। এই ছাত্রসমাবেশ থেকে সারা বিশ্বে আমরা একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, তরুণসমাজ জাতির পিতার কন্যার সঙ্গে ছিল, আছে ও থাকবে। আমরা প্রত্যাশা করছি সারা দেশের ৫ লাখ শিক্ষার্থীর মহামিলনমেলা হবে এই সমাবেশ।’
এদিকে গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন দেশের বৈধ সরকারকে হটাতে ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যে চক্রান্ত চলছে ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে তার প্রতিবাদ করা হবে। সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণদের দিকনির্দেশনা দেবেন।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ঠিকানা/এসআর
শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আজ মুখরিত হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কয়েক মাস পরেই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে থাকছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখেই আগেভাগেই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র পক্ষে জাগরণ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজম্মের আস্থা রয়েছে—এমন বার্তাই দিতে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। দেশবাসীকে আগামী নির্বাচনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকার আহ্বান জানাবে তারা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে ছাত্রসমাজের করণীয় তুলে ধরবেন ও দেশবাসীর কাছে ভোট চাইবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া স্বাধীনতাবিরোধী, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশবাসী ও ছাত্রসমাজকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানাবেন শেখ হাসিনা।
৩১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সমাবেশের প্রস্তুতির বিষয়টি জানাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। এ সময় তারা বলেন, স্মরণকালের বৃহত্তম ছাত্রসমাবেশ হবে এটি। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘শুক্রবারের ছাত্র সমাবেশ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন আনবে। এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে আমরা বার্তা দিতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, জাতির পিতার আদর্শে বলীয়ান থাকব। একই সঙ্গে খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদিদের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করার কোনো জায়গা ছাত্রসমাজে নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটি ছাত্রলীগের সমাবেশে সীমাবদ্ধ নেই। দেশের ৫ কোটি শিক্ষার্থী তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এই সমাবেশে যুক্ত থাকবে। আগামী নির্বাচনে এই তরুণদের শক্তির ওপর ভিত্তি করে শেখ হাসিনা নিরঙ্কুশ ব্যালট বিপ্লবে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে আজকের ছাত্রসমাজ আপসহীন জায়গায় রয়েছে।’ সব প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করে, যারা প্রগতিশীল রাজনীতিচর্চা করে এমন ছাত্র সংগঠনকে সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আসন্ন ২০২৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও নৌকার কোনো বিকল্প নেই। এই প্রশ্নে ছাত্রসমাজ, তরুণসমাজ আজ এক ও ঐক্যবদ্ধ। এই ছাত্রসমাবেশ থেকে সারা বিশ্বে আমরা একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, তরুণসমাজ জাতির পিতার কন্যার সঙ্গে ছিল, আছে ও থাকবে। আমরা প্রত্যাশা করছি সারা দেশের ৫ লাখ শিক্ষার্থীর মহামিলনমেলা হবে এই সমাবেশ।’
এদিকে গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন দেশের বৈধ সরকারকে হটাতে ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যে চক্রান্ত চলছে ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে তার প্রতিবাদ করা হবে। সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণদের দিকনির্দেশনা দেবেন।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ঠিকানা/এসআর