
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ নতুন ৫টি রাজনৈতিক দল।
অন্য দলগুলো হলো : আমজনতার দল, জনতার দল, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। ইসির উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহর সই করা এক চিঠি থেকে জানা যায়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন আবেদন চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দিয়ে গেজেট প্রকাশ ও নিবন্ধন সনদ প্রদান করবে সংস্থাটি।
বৈঠক শেষে কমিশন সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি এবার নিবন্ধন পাচ্ছে এটা নিশ্চিত হলেও দলটির জন্য প্রতীক এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দলটি প্রতীক হিসেবে ইসির কাছে বরাদ্দ চেয়েছে শাপলা ফুল। আবার দলটির দ্বিতীয় পছন্দে লাল শাপলা এবং তৃতীয় পছন্দে রয়েছে সাদা শাপলা। কিন্তু শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় এটিকে কোনো দলের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া যাবে না বলে এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে কমিশন।
এদিকে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতীকসহ আরও কয়কটি প্রতীকের অনুমোদন চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। এসব প্রতীকের অনুমোদন পেলে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করবে কমিশন। এরপর নিবন্ধন পেতে যাওয়া দলগুলোর নিবন্ধন চূড়ান্ত করবে কমিশন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রতিবার কয়েক শ দল আবেদন করলেও ইসির শর্ত পূরণ করে নিবন্ধন পায় মূলত ২ থেকে সর্বোচ্চ ৫টি দল। আবার যেসব দল নিবন্ধন পায় না, তারা অভিযোগ তুলে সরকারের ইশারায় সুনির্দিষ্ট কয়েকটি দলকে নিবন্ধন দেয় ইসি। এবার ১৪৪টি দল নিবন্ধনের আবেদন করে। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে টেকে ২২টি দল।
প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে থাকা দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ফরওয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)–সিপিবি (এম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ–শাজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।
বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫৫টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রেখেছে কমিশন।
আইন অনুযায়ী, নিজ দলের প্রতীকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে ইসির নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। আর নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, তিন ভাগের এক ভাগ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়।
এ ছাড়া কোনো দলের কেউ পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে বা পূর্বের নির্বাচনের ৫ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। এ প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব নিয়মকানুনই সাধারণত খেয়াল করা হয়।
ঠিকানা/এনআই
অন্য দলগুলো হলো : আমজনতার দল, জনতার দল, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। ইসির উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহর সই করা এক চিঠি থেকে জানা যায়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন আবেদন চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দিয়ে গেজেট প্রকাশ ও নিবন্ধন সনদ প্রদান করবে সংস্থাটি।
বৈঠক শেষে কমিশন সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি এবার নিবন্ধন পাচ্ছে এটা নিশ্চিত হলেও দলটির জন্য প্রতীক এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দলটি প্রতীক হিসেবে ইসির কাছে বরাদ্দ চেয়েছে শাপলা ফুল। আবার দলটির দ্বিতীয় পছন্দে লাল শাপলা এবং তৃতীয় পছন্দে রয়েছে সাদা শাপলা। কিন্তু শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় এটিকে কোনো দলের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া যাবে না বলে এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে কমিশন।
এদিকে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতীকসহ আরও কয়কটি প্রতীকের অনুমোদন চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। এসব প্রতীকের অনুমোদন পেলে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করবে কমিশন। এরপর নিবন্ধন পেতে যাওয়া দলগুলোর নিবন্ধন চূড়ান্ত করবে কমিশন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রতিবার কয়েক শ দল আবেদন করলেও ইসির শর্ত পূরণ করে নিবন্ধন পায় মূলত ২ থেকে সর্বোচ্চ ৫টি দল। আবার যেসব দল নিবন্ধন পায় না, তারা অভিযোগ তুলে সরকারের ইশারায় সুনির্দিষ্ট কয়েকটি দলকে নিবন্ধন দেয় ইসি। এবার ১৪৪টি দল নিবন্ধনের আবেদন করে। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে টেকে ২২টি দল।
প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে থাকা দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ফরওয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)–সিপিবি (এম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ–শাজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।
বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫৫টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রেখেছে কমিশন।
আইন অনুযায়ী, নিজ দলের প্রতীকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে ইসির নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। আর নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, তিন ভাগের এক ভাগ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়।
এ ছাড়া কোনো দলের কেউ পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে বা পূর্বের নির্বাচনের ৫ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। এ প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব নিয়মকানুনই সাধারণত খেয়াল করা হয়।
ঠিকানা/এনআই