ভোটে অযোগ্য হচ্ছেন আ.লীগের পলাতক নেতারা

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:২৮ , অনলাইন ভার্সন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিধানে নতুন শর্ত যুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর তা হলো কোনো আদালত কাউকে ফেরারি ঘোষণা করলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’র (আরপিও) ১২ অনুচ্ছেদের (১) উপদফায় এই বিধান যুক্ত করে সংসদ নির্বাচনের প্রধান এই আইনের খসড়া ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে ইসি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত নির্বাচনগুলোতে সাজাপ্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্বাচনে অযোগ্য হতেন। নতুন এই বিধান কার্যকর হলে মামলার রায় ঘোষণার আগে শুনানিতে অনুপস্থিতির দায়ে আদালত কাউকে পলাতক ঘোষণা করলে তিনি আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা হারাবেন। খসড়া আইনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধানও তুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রার্থী বা তার প্রস্তাবকারী/সমর্থনকারীকে সশরীরে রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এসব বিধান কার্যকর হলেই আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়বেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিমত, সারা দেশে দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে বিপুলসংখ্যক মামলা চলমান। আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী দীর্ঘদিন ওইসব মামলায় হাজির না হওয়ার কারণে আদালত তাদের ফেরারি ঘোষণা করছেন। ফলে এসব নেতাকর্মী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য হচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, অর্থ পাচারসহ অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধের মামলায় আদালত কর্তৃক ফেরারি হলে তারাও নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা নেই, কিন্তু রোষানলে পড়ার আতঙ্কে পলাতক রয়েছেন, তাদেরও অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার এত দিন যে সুযোগ ছিল, সেই পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির সিংহভাগ কেন্দ্রীয় নেতা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ বিভিন্ন আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। নিয়ম অনুযায়ী, মামলা চলমান অবস্থায় আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মগোপনে থাকলে আদালত নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় তাদের পলাতক ঘোষণা করে থাকেন। ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ অনেকের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আরপিও খসড়া চূড়ান্ত করেছি। এটি অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করতে আইন মন্ত্রণালয়ে চলে যাওয়ার কথা। তিনি বলেন, আদালত কর্তৃক ফেরারিরা নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ার বিধান আমাদের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে রেখেছি। তিনি আরও বলেন, এই বিধানের অপব্যবহার হতে পারে, সেই শঙ্কা থেকে ইসি তখন চিঠি দিয়েছিল। এখন আমরা সূক্ষ্মভাবে বিবেচনা করে ফেরারি আসামিদের নির্বাচনে অযোগ্য করার কথা বলেছি। এ ছাড়া অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমার সুযোগ বাতিলের প্রস্তাব করেছি।

 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041