
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এখন জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার পথে আছে। কিন্তু এই সনদ যদি আইনি কোনো ভিত্তি না পায়, তবে ঐকমত্য অর্থহীন হয়ে যাবে। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে তিনি আরো বললেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতে যদি আগামী জাতীয় নির্বাচন না হয়, তাহলে জাতি কী পাবে? কারণ যারা নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসবে বিষয়টি তাদের হাতে চলে যাবে। সেক্ষেত্রে তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারে, আবার না-ও পারে। এমনটি হলে ‘জুলাই স্পিরিট’ থেকে দেশ পথচ্যুত হবে, সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার টকশোটিতে একক অতিথি হিসেবে ছিলেন জামায়াতের শীর্ষ স্তরের নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) আলোচনা অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখা গেছে ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যানেলে। জুলাই সনদ ছাড়াও জাতীয় নির্বাচন, জোট রাজনীতি, পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াতের অবস্থান স্পষ্ট করেন এই টকশোর অতিথি আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এই দাবি বাস্তবায়নে তারা আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। এমনকি পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাবে কি না, তা নিয়েও ভাবছে দলটি। এর মাধ্যমে জামায়াত কী আসলে এই সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির কৌশল হাতে নিয়েছে? এমন প্রশ্ন করেন ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন।
“নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনো অনীহা নেই। আমরাই প্রথম নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলেছি। সবার আগেই ৩০০ আসনে আমাদের প্রার্থীও চূড়ান্ত। কিন্তু আমরা চাই সঠিকভাবে একটি নির্বাচন হবে, যেনতেন প্রকারে নয়। আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই, স্বচ্ছ নির্বাচন চাই”, এভাবেই জবাব দেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি আরো দাবি করেন, দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রতিটি নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষেত্রে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কেন্দ্র দখলের সুযোগ বন্ধ হবে। প্রশ্নমুক্ত অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে নানা বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হচ্ছে জামায়াতের। তবে এ পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক শত্রুতা মানতে রাজি নন ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, রাজনীতিতে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে। এক্ষেত্রে পরস্পর সংলাপের মাধ্যমে বিরোধের অবসান হতে পারে। জামায়াত এ ধরনের আলোচনায় আগ্রহী। কিন্তু তারা দাওয়াত দিলে বিএনপি আসে কি না, সেই সংশয় থেকে সংলাপের উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এক্ষেত্রে বিএনপি এগিয়ে এলে ভালো হয় বলে তিনি মনে করেন।
তবে বিএনপি না থাকলেও অন্য কিছু দল নিয়ে যে জামায়াত রাজনৈতিক জোট করার উদ্যোগ নিয়েছে সেই কথা জানালেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, যারা জুলাই চেতনা ধারণ করতে চায়। যারা দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চায়। যারা নতুন একটি বাংলাদেশ দেখতে চায়, তাদের নিয়ে যদি জোট না-ও হয়, অন্তত এক ধরনের নির্বাচনী ঐক্য অবশ্যই হবে- আশা করছেন জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
ঠিকানা/এএস
৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার টকশোটিতে একক অতিথি হিসেবে ছিলেন জামায়াতের শীর্ষ স্তরের নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) আলোচনা অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখা গেছে ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যানেলে। জুলাই সনদ ছাড়াও জাতীয় নির্বাচন, জোট রাজনীতি, পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াতের অবস্থান স্পষ্ট করেন এই টকশোর অতিথি আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এই দাবি বাস্তবায়নে তারা আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। এমনকি পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাবে কি না, তা নিয়েও ভাবছে দলটি। এর মাধ্যমে জামায়াত কী আসলে এই সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির কৌশল হাতে নিয়েছে? এমন প্রশ্ন করেন ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন।
“নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনো অনীহা নেই। আমরাই প্রথম নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলেছি। সবার আগেই ৩০০ আসনে আমাদের প্রার্থীও চূড়ান্ত। কিন্তু আমরা চাই সঠিকভাবে একটি নির্বাচন হবে, যেনতেন প্রকারে নয়। আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই, স্বচ্ছ নির্বাচন চাই”, এভাবেই জবাব দেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি আরো দাবি করেন, দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রতিটি নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষেত্রে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কেন্দ্র দখলের সুযোগ বন্ধ হবে। প্রশ্নমুক্ত অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে নানা বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হচ্ছে জামায়াতের। তবে এ পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক শত্রুতা মানতে রাজি নন ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, রাজনীতিতে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে। এক্ষেত্রে পরস্পর সংলাপের মাধ্যমে বিরোধের অবসান হতে পারে। জামায়াত এ ধরনের আলোচনায় আগ্রহী। কিন্তু তারা দাওয়াত দিলে বিএনপি আসে কি না, সেই সংশয় থেকে সংলাপের উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এক্ষেত্রে বিএনপি এগিয়ে এলে ভালো হয় বলে তিনি মনে করেন।
তবে বিএনপি না থাকলেও অন্য কিছু দল নিয়ে যে জামায়াত রাজনৈতিক জোট করার উদ্যোগ নিয়েছে সেই কথা জানালেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, যারা জুলাই চেতনা ধারণ করতে চায়। যারা দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চায়। যারা নতুন একটি বাংলাদেশ দেখতে চায়, তাদের নিয়ে যদি জোট না-ও হয়, অন্তত এক ধরনের নির্বাচনী ঐক্য অবশ্যই হবে- আশা করছেন জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
ঠিকানা/এএস