ইছমত হানিফা চৌধুরী
আমরা প্রতিটি পরীক্ষায় ভালো করতে চাই, যা আমাদের ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার পথকে প্রসারিত করে। কিন্তু এই ভালো রেজাল্ট ও ভালো শিক্ষার্থী হওয়া সহজ নয়। আবার ভালো শিক্ষার্থী হওয়া খুবই সহজ। নিয়মানুবর্তিতা যেকোনো মানুষের জীবনে সফলতা নিয়ে আসে। তাই নিয়ম করে লেখাপড়া করলেও ভালো শিক্ষার্থী হওয়া সম্ভব। একজন ভালো শিক্ষার্থী শুধু শিক্ষাজীবনেই নয়, ব্যক্তিজীবনেও সফল হতে পারে। এর জন্য তাকে হতে হবে ভালো শিক্ষার্থী। সারা বছর কিছু নিয়ম মানলে পরীক্ষা হবে খুব সহজ।
বন্ধুরা, কে কে পরীক্ষা সহজ করতে চাও বলো। যা-ই হোক, এখনো সময় আছে আমরা চাইলে নিজেকে ভালো শিক্ষার্থী হিসেবে তৈরি করতে পারব। আর ভালো ছাত্রের জন্য পরীক্ষা কোনো ব্যাপার নয়। ভালো শিক্ষার্থী শুধু পরীক্ষা নয়, জীবনে সব ক্ষেত্রে সফল হতে পারে। একটু চিন্তা করে দেখো, যাদের সবাই ভালো শিক্ষার্থী বলে, তাদের বৈশিষ্ট্য কী। ওরা দেখতে আমাদের মতোই, আমাদের বন্ধু। শুধু কিছু নিয়ম মেনে লেখাপড়া করে বলেই ওরা আজ ভালো শিক্ষার্থী, যা চাইলে আমরা সবাই ভালো শিক্ষার্থী হতে পারি।
যেকোনো মানুষের ছাত্রজীবন পরিণত জীবনের প্রস্তুতি পর্ব। আমরা অনেক সময় বলতে শুনি, সে খুব প্রতিভাবান। এই তথ্য ভুল। জগতে প্রত্যেক মানুষই প্রতিভা নিয়ে আসে। প্রতিভা হলো সাধনা, পরিশ্রম, অনুসন্ধিৎসা এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তির সম্মিলনে অর্জিত সেই মানসিক ও শারীরিক শক্তি, যা দ্বারা মানুষ কঠিন কাজ সমাধা করতে পারে। একজন ভালো শিক্ষার্থী কখনো অনিয়মিত হয় না। প্রতিদিন স্কুলে দেখবে, যে ক্লাসের ভালো ছাত্র বা ছাত্রী, সে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করে এবং প্রতিদিনের হোমওয়ার্ক প্রতিদিন স্যারের কাছে জমা দেয়। এটা হলো ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। যদি প্রতিদিন সময় করে পড়াশোনা করো এবং দিনের কাজ দিনে করো, তখন আর পরীক্ষার আগে কষ্ট করতে হবে না। দেখবে, যা পড়তে যাবে, সেটা অটোমেটিক মাথায় চলে আসছে।
মনোযোগী হওয়া : ক্লাসে মনোযোগী হওয়া আরও একটি ভালো দিক। খেয়াল করলে দেখবে, একজন ভালো শিক্ষার্থী প্রতি ক্লাসে বেশ মনোযোগী থাকে আর স্যাররা কোনো প্রশ্ন করলে চট করে তার উত্তর দেয়। তুমি যদি প্রতিদিন ক্লাসে স্যার কী পড়ায়, তা খেয়াল করো, তাহলে তুমিও অনেক ভালো ছাত্র/ছাত্রী হয়ে উঠতে পারবে। আশা করি, এখন থেকে সবাই আমরা নিয়ম মেনে রুটিন করে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন পড়ব। আমাদের পরীক্ষা এলে আর কোনো চিন্তা নেই। প্রতিদিনের পড়া যদি মুখস্থ থাকে, তবে যেকোনো জায়গা থেকে প্রশ্ন এলেও আমাদের জন্য পরীক্ষা হবে খুবই সহজ। আমরা সবাই পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে নতুন ক্লাসে উঠব আর এভাবে সবাই ভালো শিক্ষার্থী হয়ে যাব নিশ্চিত।
কৌশলী হওয়া : যেকোনো বিষয়ে শুধু পড়লে আর বুঝলেই হবে না। সেই জিনিসটা কেন হলো, কীভাবে হলো, না হলে কী হতো ইত্যাদি বিষয়ের ওপর যদি প্রশ্ন করা যায় এবং সেগুলোর উত্তর বের করা যায়, তাহলে সেই জিনিসটা খুব ভালোভাবে মাথায় ঢোকে। ফলে পরীক্ষার সময় বা কেউ জিজ্ঞেস করলে চট করে আমরা সেগুলোর উত্তর দিতে পারি। এটাও কিন্তু ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
ক্লাসে সক্রিয় থাকা : ক্লাসে সক্রিয় থাকা বলতে, শিক্ষকেরা ক্লাসে কী পড়াচ্ছেন, তা খেয়াল করতে হবে। আর সেগুলো শিক্ষক জিজ্ঞেস করলে চট করে উত্তর দিতে হবে। এতে শিক্ষকদের কাছে অনেক প্রিয় হয়ে উঠবে। এর ফলে দেখবে, তুমি পড়াশোনাসহ অনেক বিষয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে সাহায্য পাবে।
সাবধানে বন্ধুত্ব করা : আমাদের চারপাশে এমন অনেকে আছে, যাদের কেউ ভালো আবার কেউ খারাপ। আর একজন ভালো শিক্ষার্থীর সব সময় উচিত খারাপদের এড়িয়ে চলা। সব সময় ভালোদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে। এর মানে এটা নয় যে যাদের ক্লাস রোল অনেক কম (৫০ জনের মধ্যে ৩৫-৫০ বা ১০০ জনের মধ্যে ৫০-১০০), তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে না। এদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করবে, যদি তারা ভালো হয়। অনেক সময় দেখা যায়, একজন ভালো ছাত্র বা ছাত্রী স্কুলে নতুন ভর্তি হয়েছে। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার রোল অনেক কম হবে। তো তাদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করা উচিত, যদি তাকে দেখে ভালো মনে হয়। আমরা জানি, ‘সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।’ এর মানে, ভালো কেউ খারাপের সঙ্গে মিশলে ভালোও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এটাকে যদি আমরা একটু পজিটিভ নিই, তাহলে দেখবে কথাটি আসে, খারাপ কেউ ভালোর সঙ্গে মিশলে সেও ভালো হয়ে যায়। অর্থাৎ একজন বন্ধুকে সব সময় ভালো কাজে উৎসাহিত করলে সেও তোমার উৎসাহে ভালো হয়ে যেতে পারে।
ভালো ছাত্র কে না হতে চায়! কিন্তু সারাক্ষণ শুধু বই নিয়ে থাকলে কী ভালো ছাত্র হওয়া যায়? না যায় যায় না। তার জন্য চাই সঠিক কিছু পদ্ধতি মেনে চলা। পড়াশোনায় একজন ভালো ছাত্র হওয়ার উপায় অনেক। তার মধ্যে সহজতর পদ্ধতিগুলো জানা থাকলে যেকোনো একজন ছাত্রই হয়ে উঠতে পারে ভালো ছাত্র।
প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অনেক দামি আর বৈচিত্র্যময়। তাই এই মুহূর্তগুলোকে কাজে লাগানোই হচ্ছে প্রতিভাবান লোকেদের কাজ। ছাত্রজীবনেও এ রকম একটি ছকে বাঁধা জীবন নয়, বরং বৈচিত্র্যময় একটি কাল অতিক্রম হয়। একে অনেক শিক্ষার্থীই সাজিয়ে ফেলে নিজেদের মতো করে। যার ফলাফল নিশ্চিত ভালো রেজাল্ট।
আজ থেকে আমাদের এই প্রত্যয় হোক, আমরা ভালো শিক্ষার্থী হবই। সবাই ভালো থাকো বন্ধুরা, আজকের মতো বিদায়। আবার দেখা হবে।
আমরা প্রতিটি পরীক্ষায় ভালো করতে চাই, যা আমাদের ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার পথকে প্রসারিত করে। কিন্তু এই ভালো রেজাল্ট ও ভালো শিক্ষার্থী হওয়া সহজ নয়। আবার ভালো শিক্ষার্থী হওয়া খুবই সহজ। নিয়মানুবর্তিতা যেকোনো মানুষের জীবনে সফলতা নিয়ে আসে। তাই নিয়ম করে লেখাপড়া করলেও ভালো শিক্ষার্থী হওয়া সম্ভব। একজন ভালো শিক্ষার্থী শুধু শিক্ষাজীবনেই নয়, ব্যক্তিজীবনেও সফল হতে পারে। এর জন্য তাকে হতে হবে ভালো শিক্ষার্থী। সারা বছর কিছু নিয়ম মানলে পরীক্ষা হবে খুব সহজ।
বন্ধুরা, কে কে পরীক্ষা সহজ করতে চাও বলো। যা-ই হোক, এখনো সময় আছে আমরা চাইলে নিজেকে ভালো শিক্ষার্থী হিসেবে তৈরি করতে পারব। আর ভালো ছাত্রের জন্য পরীক্ষা কোনো ব্যাপার নয়। ভালো শিক্ষার্থী শুধু পরীক্ষা নয়, জীবনে সব ক্ষেত্রে সফল হতে পারে। একটু চিন্তা করে দেখো, যাদের সবাই ভালো শিক্ষার্থী বলে, তাদের বৈশিষ্ট্য কী। ওরা দেখতে আমাদের মতোই, আমাদের বন্ধু। শুধু কিছু নিয়ম মেনে লেখাপড়া করে বলেই ওরা আজ ভালো শিক্ষার্থী, যা চাইলে আমরা সবাই ভালো শিক্ষার্থী হতে পারি।
যেকোনো মানুষের ছাত্রজীবন পরিণত জীবনের প্রস্তুতি পর্ব। আমরা অনেক সময় বলতে শুনি, সে খুব প্রতিভাবান। এই তথ্য ভুল। জগতে প্রত্যেক মানুষই প্রতিভা নিয়ে আসে। প্রতিভা হলো সাধনা, পরিশ্রম, অনুসন্ধিৎসা এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তির সম্মিলনে অর্জিত সেই মানসিক ও শারীরিক শক্তি, যা দ্বারা মানুষ কঠিন কাজ সমাধা করতে পারে। একজন ভালো শিক্ষার্থী কখনো অনিয়মিত হয় না। প্রতিদিন স্কুলে দেখবে, যে ক্লাসের ভালো ছাত্র বা ছাত্রী, সে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করে এবং প্রতিদিনের হোমওয়ার্ক প্রতিদিন স্যারের কাছে জমা দেয়। এটা হলো ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। যদি প্রতিদিন সময় করে পড়াশোনা করো এবং দিনের কাজ দিনে করো, তখন আর পরীক্ষার আগে কষ্ট করতে হবে না। দেখবে, যা পড়তে যাবে, সেটা অটোমেটিক মাথায় চলে আসছে।
মনোযোগী হওয়া : ক্লাসে মনোযোগী হওয়া আরও একটি ভালো দিক। খেয়াল করলে দেখবে, একজন ভালো শিক্ষার্থী প্রতি ক্লাসে বেশ মনোযোগী থাকে আর স্যাররা কোনো প্রশ্ন করলে চট করে তার উত্তর দেয়। তুমি যদি প্রতিদিন ক্লাসে স্যার কী পড়ায়, তা খেয়াল করো, তাহলে তুমিও অনেক ভালো ছাত্র/ছাত্রী হয়ে উঠতে পারবে। আশা করি, এখন থেকে সবাই আমরা নিয়ম মেনে রুটিন করে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন পড়ব। আমাদের পরীক্ষা এলে আর কোনো চিন্তা নেই। প্রতিদিনের পড়া যদি মুখস্থ থাকে, তবে যেকোনো জায়গা থেকে প্রশ্ন এলেও আমাদের জন্য পরীক্ষা হবে খুবই সহজ। আমরা সবাই পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে নতুন ক্লাসে উঠব আর এভাবে সবাই ভালো শিক্ষার্থী হয়ে যাব নিশ্চিত।
কৌশলী হওয়া : যেকোনো বিষয়ে শুধু পড়লে আর বুঝলেই হবে না। সেই জিনিসটা কেন হলো, কীভাবে হলো, না হলে কী হতো ইত্যাদি বিষয়ের ওপর যদি প্রশ্ন করা যায় এবং সেগুলোর উত্তর বের করা যায়, তাহলে সেই জিনিসটা খুব ভালোভাবে মাথায় ঢোকে। ফলে পরীক্ষার সময় বা কেউ জিজ্ঞেস করলে চট করে আমরা সেগুলোর উত্তর দিতে পারি। এটাও কিন্তু ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
ক্লাসে সক্রিয় থাকা : ক্লাসে সক্রিয় থাকা বলতে, শিক্ষকেরা ক্লাসে কী পড়াচ্ছেন, তা খেয়াল করতে হবে। আর সেগুলো শিক্ষক জিজ্ঞেস করলে চট করে উত্তর দিতে হবে। এতে শিক্ষকদের কাছে অনেক প্রিয় হয়ে উঠবে। এর ফলে দেখবে, তুমি পড়াশোনাসহ অনেক বিষয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে সাহায্য পাবে।
সাবধানে বন্ধুত্ব করা : আমাদের চারপাশে এমন অনেকে আছে, যাদের কেউ ভালো আবার কেউ খারাপ। আর একজন ভালো শিক্ষার্থীর সব সময় উচিত খারাপদের এড়িয়ে চলা। সব সময় ভালোদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে। এর মানে এটা নয় যে যাদের ক্লাস রোল অনেক কম (৫০ জনের মধ্যে ৩৫-৫০ বা ১০০ জনের মধ্যে ৫০-১০০), তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে না। এদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করবে, যদি তারা ভালো হয়। অনেক সময় দেখা যায়, একজন ভালো ছাত্র বা ছাত্রী স্কুলে নতুন ভর্তি হয়েছে। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার রোল অনেক কম হবে। তো তাদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করা উচিত, যদি তাকে দেখে ভালো মনে হয়। আমরা জানি, ‘সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।’ এর মানে, ভালো কেউ খারাপের সঙ্গে মিশলে ভালোও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এটাকে যদি আমরা একটু পজিটিভ নিই, তাহলে দেখবে কথাটি আসে, খারাপ কেউ ভালোর সঙ্গে মিশলে সেও ভালো হয়ে যায়। অর্থাৎ একজন বন্ধুকে সব সময় ভালো কাজে উৎসাহিত করলে সেও তোমার উৎসাহে ভালো হয়ে যেতে পারে।
ভালো ছাত্র কে না হতে চায়! কিন্তু সারাক্ষণ শুধু বই নিয়ে থাকলে কী ভালো ছাত্র হওয়া যায়? না যায় যায় না। তার জন্য চাই সঠিক কিছু পদ্ধতি মেনে চলা। পড়াশোনায় একজন ভালো ছাত্র হওয়ার উপায় অনেক। তার মধ্যে সহজতর পদ্ধতিগুলো জানা থাকলে যেকোনো একজন ছাত্রই হয়ে উঠতে পারে ভালো ছাত্র।
প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অনেক দামি আর বৈচিত্র্যময়। তাই এই মুহূর্তগুলোকে কাজে লাগানোই হচ্ছে প্রতিভাবান লোকেদের কাজ। ছাত্রজীবনেও এ রকম একটি ছকে বাঁধা জীবন নয়, বরং বৈচিত্র্যময় একটি কাল অতিক্রম হয়। একে অনেক শিক্ষার্থীই সাজিয়ে ফেলে নিজেদের মতো করে। যার ফলাফল নিশ্চিত ভালো রেজাল্ট।
আজ থেকে আমাদের এই প্রত্যয় হোক, আমরা ভালো শিক্ষার্থী হবই। সবাই ভালো থাকো বন্ধুরা, আজকের মতো বিদায়। আবার দেখা হবে।